Call

পিরিয়ডের ব্যথা অনেক নারীই সহ্য করতে পারেন না। এসময়ে তারা বিভিন্ন অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ওষুধগুলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা বুদ্ধিমানের কাজ। আসুন জেনে নিই ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কীভাবে পিরিয়ডের এই অসহ্য ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ১. গরম সেঁক : মাসিকের সময় প্রচন্ড তলপেট ব্যথা হয়। আর এই তলপেট ব্যথায় গরম পানির সেঁক নিলে পেট ব্যথায় বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং কিছুটা কম অনুভূত হয় ব্যথা। তাই গরম পানির সেঁক দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। যেকোনো ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন এই হট ওয়াটার ব্যাগ। গরম পানি ভরে নিলেই সেঁক দেয়া যায় এই হট ওয়াটার ব্যাগ গুলোতে। এছাড়াও ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় গরম করেও সেঁক দেয়া যায়। ২. মনোযোগ সরিয়ে নিন : পেট ব্যথা শুরু হলে কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। যখন পেট ব্যথা হয় তখন অফিসের কাজ কিংবা ফেসবুকিং করা শুরু করে দিন। মুভিও দেখতে পারেন। ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা বলতে বলতে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই মনোযোগ অন্য দিকে সরে যাবে এবং পেট ব্যথা কম মনে হবে। ৩. ভিটামিনযুক্ত খাবার : মাসিকের ব্যথা কমাতে কিছু বিশেষ ভিটামিনের ভূমিকা আছে। আর তাই যারা মাসিকের সময় পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা সবসময় ভিটামিন ই যুক্ত খাবার (চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, আম ইত্যাদি), ভিটামিন বি৬ (ভাত, মাছ,ওটমিল, কলা ইত্যাদি), ভিটামিন বি১ (ডিম, মাছ, সবুজ সবজি, গম ইত্যাদি) খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো খেলে পেশীর সংকোচনজনিত মাসিকের ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে। ৪. সুবিধাজনক অবস্থানে শুয়ে থাকুন : মাসিকের সময় বিভিন্ন অবস্থানে শুয়ে থাকলে অনেক সময় আরাম পাওয়া যায় কিছুটা। এই অবস্থা এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে সাধারণত পাশ ফিরে শুয়ে হাঁটু ভাজ করে বুকের কাছাকাছি এনে শুয়ে থাকলে সাময়িক প্রশান্তি পাওয়া যায়। ৫. ম্যাসাজ : মাসিকের সময় অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিন। কারণ মাসিকের সময় পুরো শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিলে শরীর শিথিল থাকে এবং তলপেট ব্যথা কিছুটা কম হয়। ফলে মাসিকের সময় প্রশান্তি পাওয়া যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ