আমাদের এলাকায় একটা নদী আছে-ধরা হয় যমুনা শাখা নদী, সেই নদীর পাশেই আমাদের এলাকার ঈদগাহ ময়দান, মসজিদ এবং মাদরাসা অবস্থিত। এই নদীর বালু উত্তোলনের জন্য প্রতি বৎসর একটা নির্দিষ্ট এলাকা নির্বাচিত হয় এবং নিলাম বা ডাক অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আওতায় সেটা চলে যায় এবং ডেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন হয় । এমনিতেই ডেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ তারপরেও তারা তুলছে, কিন্তু এখন তারা আমাদের ঈদগাহ, মসজিদ এবং মাদ্রাসার পাশে ডেজার মেশিন লাগাচ্ছে এবং বালু উত্তোলন করছে, যার ফলে পুরো এলাকা ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে । এমতাবস্থায় আমাদের এলাকার সব বড় বড় নেতারা বাধা দিলেও কাজ হচ্ছেনা, টাকার জোরে এলাকার চেয়্যারম্যান থেকে শুরু করে এমপি পর্যন্ত থেমে আছে কেউ বাধা দিচ্ছেনা ।
এলাকার কিছু লোক বাধা দিতে আসলে তাদের জীবনের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা দোষারোপ করে জেলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে (হতে পারে প্রশাসনও তাদের হাতে) এবং অনেক লোকের রক্তও ঝরে গেছে । উল্লেখ্য যে, এই বালু উত্তোলনের সাইটে ডেজার মেশিন যারা পরিচালনা করছে তারা আমাদের এলাকার মধ্যে অনেক হিংস্র প্রকৃতির এবং তারা সবসময় বিভিন্ন নেশার মধ্যে থাকে এইজন্য তাদের সাথে জোর খাটিয়ে লাভ হচ্ছেনা, উল্টো আঘাত হানিয়ে যাচ্ছে, মানতেই হবে এলাকার সব সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককেই নিয়োগ দিয়েছে তারা ।
এই ঈদগাহ-এ প্রতি বসর পাচ গ্রামের প্রায় দশ হাজারের বেশি মুসলিম একত্রিত হয় । এই সব গ্রামের লোকেরা বাধা দিতেও ভয় পাচ্ছে । কেউ এক হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে না সবাই ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে ।
এমন অবস্থায় আমরা কয়েজন এর প্রতিবাদে গোপনে অনুসন্ধানী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাচ্ছি, এখন আমাদের করণীয় কী ? কি করলে ঈদগাহ, মসজিদ, মাদ্রাসা বাঁচানো যাবে ?