Call

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিরক মিশ্রিত। যা মুখে বলা ও হৃদয়ে বিশ্বাস করা অমার্জনীয় গোনাহের কাজ। উক্ত সংগীতে ‘বাংলা’-কে ‘মা’ সম্বোধন করা হয়েছে এবং গানের মধ্যে উক্ত কল্পিত মায়ের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে মায়ের মুখের ‘মধুর হাসি’, ‘মুখের বাণী’, মায়ের বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামের তাওহীদ বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরোধী। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত শিরক, জাহিলিয়্যাহ দ্বারা পরিপূর্ণ। সুতরাং এটি গাওয়া সম্পূর্ণ হারাম। প্রমানঃ (১) জাতীয় সঙ্গীতের কথাগুলো নিম্নরূপঃ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে মরি হায়, হায় রে ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা খেতে, আমি কী দেখেছি মধুর হাসি।। কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো, কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো- মা তোর বদন খানি মলিন হলে আমি নয়ন ও মা আমি নয়ন জলে ভাসি সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। গানের কথা থেকে এ বিষয়গুলো খুবই স্পষ্ট- শিরকঃ (১) এখানে বার বার 'মা' বলে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে বোঝানো হচ্ছে। এটা শিরক। কারণ হিন্দুরা তাদের মিথ্যা উপাস্য দেবীদের 'মা' বলে ডেকে থাকে। ভারতীয় হিন্দুরা তাদের দেশের ভূখণ্ডকে দেবী মনে করে। এ সঙ্গীতের রচয়িতা এই শিরকী আকীদা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বাংলার ভূখন্ডকে দেবী (বাতিল মাবুদ) সাব্যস্ত করে, একে 'মা' বলে সম্বোধণ করেছে। যা সুস্পষ্ট শিরক। (২) বারবার "তোমার আকাশ, তোমার বাতাস" বলে এই গানে বাংলার আকাশ, বাতাসকে এই কথিত দেবী তথা 'মা' এর সাথে সংশ্লিষ্ট করে বলা হচ্ছে এই আকাশ, বাতাস এই কথিত মায়ের!! অথচ আল্লাহ তায়ালা কুরআনে অসংখ্য আয়াতে ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আসমানে যা আছ, জমীনে যা আছে সবই আল্লাহর। (সুরা বাকারাঃ ২৮৪; সুরা আলে ইমরানঃ ১০৯, ১২৯; সুরা নিসা ১২৬, ১৩১, ১৩২ সহ আরো বহু আয়াত) সুতরাং যে ব্যাক্তি এই কথিত 'মা' তথা মিথ্যা দেবী/উপাস্যের জন্য আকাশ, বাতাস, আমের বন, ভরা ক্ষেত ইত্যাদি মালিকানা হিসেবে সম্পৃক্ত করে, সে শিরক করেছে। (৩) জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় মানুষ আবেগে চোখ বন্ধ করে, মনের গভীর থেকে গেয়ে থাকে, অনেক সময় আবেগের আতিশয্যে তাদের চোখ বেয়ে পানিও গড়িয়ে পড়ে এবং তারা এই সমস্ত আবেগ বাংলাদেশ নামক "মা" তথা মিথ্যা উপাস্যর জন্য প্রদর্শন করে, অথচ আল্লাহ ব্যাতীত কারো জন্য জন্য এমন আবেগ-ভালোবাসা প্রদর্শন শিরক। আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে তাদেরকে আল্লাহর ভালবাসার মত ভালবাসে। (সুরা বাকারাঃ ১৬৫) যদি এই সঙ্গীতে (১), (২) এ উল্লেখিত শিরকে আকবর নাও থাকত, তারপরেও এই গান গাওয়ার সময় উপরোক্ত পন্থায় আবেগ প্রদর্শন হারাম। কেননা এরূপ আবেগ-বিনয়-নম্রতা একজন মুসলিম কেবল নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর জন্যই প্রদর্শন করে থাকে। সুতরাং এই সঙ্গীতে শিরক মিশ্রিত হওয়ায় এই আবেগ প্রদর্শন আরো কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম কার্যে পরিণত হয়েছে। জাহিলিয়্যাহঃ জাতীয় সঙ্গীতের প্রচলন মূলত জাতীয়বাদ তথা জাহিলিয়াতের চেতনা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। অথচ আসাবিয়্যাহ তথা জাতীয়বাদ সম্পূর্ণ হারাম। এ সম্পর্কে প্রচুর দলীল আছে। কিন্তু মূল আলোচনার বিষয়বস্ত জাতীয়বাদ না হওয়ায় তা উল্লেখ করা হল না। শুধু এই হাদীসটি উল্লেখ করা হলঃ যে ব্যাক্তি জাতীয়তার দিকে আহ্বান করবে সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যে এর জন্য লড়াই করবে সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, যে জাতীয়তাবাদের (বিশ্বাসের) উপর মৃত্যুবরণ করবে, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয়। (আবু দাউদঃ ৫১২১)। উপরের আলোচনা থেকে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট - বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত একটি শিরকি সঙ্গীত। যে ব্যাক্তি সজ্ঞানে এই শিরক করবে, অর্থাৎ (১), (২), (৩) এ উল্লিখিত শিরক সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরও করবে তাকে তাকফীর করা হবে। তার জান-মাল হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে অজ্ঞ হয়, তবে তার অজ্ঞতার কারণে 'উযর বিল জাহল নীতি অনুযায়ী তাকে তাকফীর করা থেকে বিরত থাকা হবে। আর আল্লাহই তায়ালাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

বাংলাদেশ দেশ হওয়ার কত আগে রবি ঠাকুর মারা গেছে। আর ওনি কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত লেখলেন? বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা উচিত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ