পড়াশুনার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি রুটিন করে নিতে হবে। আপনি কবে,কখন কোন বিষয়টি কতক্ষন সময় ধরে পড়বেন। কখন খাবার খাবেন। কখন খেলাধুলা করবেন ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজকর্মের। এবং সেটা অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে। এতে করে আপনার জীবন সুশৃঙ্খলতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হবে। আপনি হয়ে উঠবেন নিয়মানুভুতিশীল ব্যক্তিত্ব। এতে করে আপনার আচরণেরও পরিবর্তন ঘটবে। যথা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করা। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। ফলে আপনার মেজাজও থাকবে ফুরফুরে এবং কথাবার্তায়ও নমনীয়তা প্রকাশ পাবে। অসৎ সঙ্গ এবং অসৎ কর্মকান্ড এড়িয়ে চলুন। আত্মসংজমী এবং পরিশ্রমী হউন। কোন না কোন ভাবে নিজেকে যে কোন ভালো কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনমত খেলাধুলা করুন। অবসর সময়ে বিভিন্ন মনিষীর উপদেশমূলক বইগুলো পড়ুন। ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করুন এবং দৃঢ় সংকল্পের সাথে এগিয়ে চলুন। যে কোন বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে না বোধক চিন্তা করবেন না। একটি প্রবাদ মনে রাখবেন যে কোন বিষয় ভালো মনে গ্রহণ করুন, ভালো কিছু চিন্তা করুন এবং ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। এই প্রবাদটিই আপনাকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
নিজেকে আদর্শ মানুষ হিসাবে তৈরি করতে কিছু কাজ করতে পারেন-। সবার আগে নিজেকে সাবলম্বী করুন। আপনি যদি নিজে নিজে টিউশনি করান তবে আপনি একজন আদর্শ মানুষ হতে পাড়বেন। কারণ আপনি যদি টিউশনি করান তবে পরিবারের উপর আপনাকে নির্ভর করে থাকতে হবে না। নিজেকে স্বাধীন মনে হবে। আপনি যদি টিউশনি করান তবে নিজেও কিছু শিখতে পাড়বেন। এবং অন্যকেউ কিছু শিখাতে পারবেন। এটা মজাদার অভিজ্ঞতা। এটা আদর্শ মানুষ হতে সাহায্য করবে আপনাকে।
আপনি প্রশ্নে বলেছেন একজন আদর্শ মানুষ হতে চান।প্রশ্নটি পরিষ্কার নয়,তারপরেও ধরে নিচ্ছি আপনি আদর্শবান মানুষ হতে চান।প্রথমে শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেছেন তাই শিক্ষার বিষয়ে বলি।শিক্ষা হচ্ছে মানুষের আচার-ব্যবহার,চরিত্র,মূল্যবোধ সহ প্রভৃতি বিষয়ের ইতিবাচক পরিবর্তন।তাই আদর্শবান মানুষ হতে গেলে পড়তে হবে শেখার জন্য এবং মূল্যবোধ শিক্ষাটা হতে হবে উত্তম রূপে।এককথায় হতে হবে প্রকৃত শিক্ষিত ব্যক্তি।আর সর্বোপরি মনুষ্যত্ব বিদ্যমান থাকতে হবে।অর্থাৎ,খারাপ এবং অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।মানুষের বিপদে সাহায্য করতে হবে।