আমার নাম নিশাত।আমার স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং পড়ার।আমি ২০১৭ সালে এসএসসি দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ৩.৫০ পেয়ে পাশ করি ও চতুর্থ বিষয় উচ্চতর গণিতে ফেল ছিল।তাই কলেজে ভর্তি হইনি।আমার রেজাল্ট সন্তোস জনক না হওয়ায় আমি ২০১৮ সালে সকল বিষয়ে মান উন্নয়ন দিতে গিয়ে ৫ম পরীক্ষার(ইংরেজি ২য় পত্র) দিন নকল করার মতো দোষণীয় কাগজ সঙ্গে রাখায় আমাকে বহিষ্কার করা হয়।তারপর ৭ মাস পরে বোর্ড থেকে চিঠি আসে।চিঠিতে বলা ছিল বহিষ্কারের কারণ ও ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আবেদন করতে বলে।আবেদন করি ও ক্ষমা চাইা১০ দিন পরে চিঠি আসে আমার ১৮ সালের পরীক্ষা বাতিল করা হলো।নিবন্ধনের মেয়াদ থাকলে ১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবো।আমার নিবন্ধনের মেয়াদ ১৯ সাল পর্যন্তই ছিল।পরীক্ষা দিবো,ভালো রেজাল্ট করবো।এই আশা নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই।কিন্তু পরীক্ষার ০৫ দিন আগে জানতে পারি আমার প্রবেশপত্র আসেনি,আমি পরীক্ষা দিতে পারবো না।কারন ০২ বার মান উন্নয়ন হয়না।বোর্ড মনে করেছিল আমি নিয়মিত ছাত্র ছিলাম।তাই ওরা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পত্র দিয়েছিল।কিন্তু অবশেষে আর পরীক্ষা দিতে পারলাম না।সবাই বলে ডিপ্লমা পড়তে।কিন্তু সেটা পড়ার ইচ্ছে নেই আমার।বাবা বলেছিল ইন্টারের পর বেসরকারি ভার্সিটিতে পড়াবে।কিন্তু আমি বেসরকারীতে পড়তে চাইনা।আমি ইন্ডিয়াতে ০৯ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাইলাম।সেটারও নাকি সময় চলে গেছে।আমি জানি দেশে ভালো কোথাও জায়গা নেই আমার।ইন্টারে বিজ্ঞান বিভাগে ভালো কলেজে পড়তে পারবো কিনা জানিনা।ভাবছি কঠোর পরিশ্রম করবো।ইংরেজিতে কথা বলতে শিখবো।আমেরিকার মেসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অফ চেকনোলোজিতে পড়বো।কিন্তু কিভাবে আমি আমার লক্ষে যেতে পারবো?কিভাবে আমি সফলকাম হবো?আমি যেখানে পড়তে চাই তা কি সম্ভব হবে?আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।দয়া করে কিছু পরামর্শ দিন।আমি যেখানেই পড়ি,আমি চাই সেটার যেনো মূল্য থাকে এবং আমারো।দয়া করে বলুন।মাঝখানে পারিবারিক ও বাড়ির প্রাইভেট শিক্ষক নিয়ে কিছু সমস্যাও ছিল।যা লিখে বলা সম্ভব নয়।    
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো। আপনি হয়তো পড়াশুনার ক্ষেত্রে কিছুটা ব‍্যর্থ হয়েছেন, তাই বলে জীবনে ব‍্যর্থ হয়ে যান নি। যারা পরীক্ষা দিয়েছে আর ভালো রেজাল্ট করেছে, তারাই সত‍্যিকারের সফল নয়। বরং যারা তাদের জীবনকে সুন্দর ও সুষমামন্ডিত করতে পেরেছে, তারাই সত‍্যিকারের সফল। কেউ লেখাপড়া করে ভালো চাকরি করে, আবার কেউ লেখাপড়া না করেও ভালো ব‍্যবসা করে। কেউ লেখাপড়া করে সফল, আবার কেউ লেখাপড়া না করেও সফল। আপনার লেখাগুলোতে (প্রশ্নের ব‍্যাখ‍্যায়) কাব‍্যিক ভাব রয়েছে। আপনি চাইলে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে পারেন। কবিতা, গল্প, গদ‍্য, পদ‍্য, প্রবন্ধ, নাটক, রম‍্য ইত‍্যাদি রচনা করে বড় লেখক হতে পারেন। পেশা হিসেবে ব‍্যবসাকে বেছে নেন। আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল হোন। বাড়িতে হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলুন। পুকুরে মাছ চাষ এবং জমিতে শাক-সবজি ও ফল-মূল চাষ করুন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করুন আর আত্মনির্ভরশীল হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন। পাশাপাশি ইংরেজিতে কথা বলা ও কম্পিউটার শিখুন। ইংরেজিতে কথা বলার জন‍্য বাংলা ইংরেজি ডিকশনারী সবচেয়ে উপযোগী। যত ইংরেজি শব্দের অর্থ জানবেন, তত ইংরেজিতে কথা বলা আপনার জন‍্য সহজ হবে। কম্পিউটার ও ইংরেজিতে কোর্স করে কম্পিউটার ও ইংরেজি এক্সপার্ট হয়ে যান। কম্পিউটার ও ইংরেজি ভাষার মাধ‍্যমে উন্নত বিশ্বের ব‍্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন আর আপনার ব‍্যবসার প্রসার ঘটান। আপনার উৎপাদিত পণ‍্য দিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা মিটান, পাশাপাশি বিদেশে তা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করুন। একজন সফল ব‍্যবসায়ী হওয়ার সাথে একজন ভালো মানুষ হোন। যাতে মানুষ আপনাকে একজন সৎ ও সফল ব‍্যবসায়ী হিসেবে সম্মান করে। চলার পথে কখনো ব‍্যর্থ হলে ধৈর্য্য ধরুণ ও এগিয়ে যান। সফলতার সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠুন, পড়ে গেলে (ব‍্যর্থ হলে) আবার উপরে উঠুন। ইচ্ছাশক্তি আর চেষ্টার মাধ‍্যমে একদিন পৌঁছে যাবেন সফলতার সর্বোত্তম শিখরে। আপনার জন‍্য শুভ কামনা রইলো। ধন‍্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ