আপনি যতটা সময় বের করেছেন তাই আপনার জন্য যথেষ্ট।তবে সময় বের করা বা রুটিন তৈরি কোন কাজের না যদি তা অনুসরণ না করতে পারেন।অর্থাৎ রুটিন তৈরি করলেন,দুইদিন সেই রুটিনেই পড়লেন কিন্তু তারপর থেকে আবার সেই আগের মতই চললেন,তাহলে কিন্তু হবে না।আপনি যদি আগামী ১১ মাস আপনার তৈরি রুটিন মনোযোগের সহিত অনুসরণ করতে পারেন,তবে এতেই আপনি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।
রাতে মোটেও না ঘুমিয়ে যদি শুধু পড়াশুনা করেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কয়েকদিন পড়াশুনা করার পর শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বেন যার ফলে পড়াশুনায় বিরাট ঘাটতি চলে যাবে। আপনি যে সময়টা বের করেছেন তাকে আরেকটু পরিমার্জনা করুন। ১১ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে সময়টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসুন। বেশি পড়লেই যে বেশি ভালো রেজাল্ট এমনটা নয়। মুখস্থের চেয়ে সবকিছু বুঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে কমপক্ষে চার ঘণ্টা ও দিনে ২-৩ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। ২৪ ঘণ্টার ৬ ঘণ্টা কমপক্ষে ঘুম না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সর্বপরি পড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখে তারপরেই এগোন। পড়াশুনাটাকে সময়সাপেক্ষ না করে মানসম্মত করুন। তাহলেই বেশি উপকৃত হবেন।
প্রথমেই চিন্তা ভুলে যান ।কেননা দশম শ্রেনীর বই এমন কিছুই নয় যা আপনি অন্তত 6 মাস মন দিয়ে পড়লেও শেষ হবে না। আমি সেটা খুব ভালো করেই জানি। এজন্য দিনে প্রতিটা বইয়ের অন্তত একটা করে টপিক শেষ করবেন।তাহলে বই শেষ করতে 10 মাসও লাগবে না।আর হ্যা রাতে ঘুমানোর সময় না কমিয়ে মোবাইল টেপার সময়টা দয়া করে কমালেই হবে।আর প্রতিটা ক্লাস দয়া করে মনোযোগ দিয়ে করবেন।ক্লাস কখনোই হেলায় কাটাবেন না। কেননা এ সময়েই স্যারেরা সবচেয়ে important suggestion দেন।
আমাদের সমাজে প্রচলিত ভুল ধরণা হলো - বেশি পড়লে ভালো পড়া হবে। আসলে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।আপনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন । এই বিশ্বাস আপনাকে শিক্ষতে কাজে লাগাতে হবে। যেমন- আপনি কঠিন কাজকেও যাতে সোজা ভাবেন। আরো একটি উপাদান হলো সাহস। সাহস থাকলে কাজ করতে আরো সুবিধা হয়। ক্লাস ফাঁকি না দিয়ে ঠিক মতো ক্লাস করুন। আপনি যদি ঠিক মতো ক্লাস করেন তাহলে সেখানে ১১ ঘণ্টা নয়! ৮ ঘণ্টা হলেও চলবে। কিছু কিছু কাজ মেধা দিয়ে করতে হয়। সকল পড়ার কাজ বা সকল পড়ার সমস্যা যদি নিজের মেধা দিয়ে সমাধান করতে পারেন তাহলে ভালো। না পারলে সমস্যা নেই। (এখানে বেশি না পড়লেও চলবে)
আপনি আপনার শরীরের জন্যে পরিমিত বিশ্রাম না নিলে আপনি অসুস্থ হয়ে পরবেন। এর ফলে আপনার পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আপনি আপনার রুটিনটি সংশোধন করুন। আপনার বিশ্রাম দরকার তাই আপনি ১১ ঘন্টা সময় থেকে কমিয়ে ৬-৭ ঘন্টা ঠিক করুন। বেশি পড়লেই যে বেশি ভালো রেজাল্ট এমনটা নয়। পাঠগুলো বুঝে বুঝে পড়ুন এবং প্রতিটি বিষয়ের মূলভাব নিয়ে আলোচনা করুন। আপনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাস আপনাকে সাহায্য কাজে লাগাতে হবে। আপনি যদি আগামী ১১ মাস আপনার তৈরি রুটিন মনোযোগের সহিত নিয়মিত অনুসরণ করতে পারেন, তবে এতেই আপনি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন। রুটিনমাফিক চলার চেষ্টা করুন এতে আশা করি এতে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাবেন।