Manik Raj

Call

পরীক্ষায় ভাল করার মূল চাবিকাঠি জীবনটা হচ্ছে একটা বৃক্ষ। একে সাজাতে হয় বিভিন্ন ভাবে। সুশোভিত করতে হয় ফুলে - ফলে। চাই চেষ্টা ও সাধনা। ছাত্র (ছাত্র ও ছাত্রী উভয়কে) পরীক্ষা হচ্ছে এমনি এক চেষ্টা বা সাধনার সিঁড়ি। এ পার হতে অনেকে চিন্তিত ও হতাশ। তাই পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার কিছু পথ-পদ্ধতি, দিকনির্দেশনা নিচে আলোচনা করা হলঃ পরীক্ষা পূর্ব প্রস্তুতিঃ ১। পড়ার কৌশলঃ ছাত্র-ছাত্রীরা হল অধ্যয়ণ জগতের কারিগর। কিভাবে পড়লে ভাল করা যাবে এটা তাদের নিজেদের আবিষ্কার করতে হবে। একটানা বসে না পড়ে দাঁড়িয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে। মাঝে মাঝে হাঁটা-হাঁটা করে নিতে হবে। এতে করে পড়ায় মন বসবে। ২। পাঠে মনোযোগঃ পড়ার টেবিলে নিখিল বিশ্বের চিনাত ভাবনা ছেড়ে দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। অনেক বষয় নিয়ে চিন্তা আসতে পারে, কিন্তু এটা এ মুহূর্তে আমার কাজ নয় বলে মনকে বোঝাতে হবে। ৩। বুঝে পড়াঃ শুধু তোতা পাখির মত না বুঝে মুখস্থ করলে তা কখনোই স্থায়ী হবে না। চিত্র থাকলে তা মিল করে পড়তে হবে। ৪। সময় নির্ধারণঃ সময় হল বিশ্বের দ্রুততম মানবের জুতার মত। এটার যথাযথ মূল্যায়ণ না দিলে সাফল্য কোনদিন আসবে না। বেশি রাত না জেগে ভোরে উঠে পড়া উত্তম। ৫। প্রশ্ন নির্বাচনঃ পাঠ্য বইয়ের প্রত্যেকটা বিষয়ের উপর যথেষ্ট ধারণা রাখার চেষ্টা করতে হবে। শয়নে-স্বপনে এর ধ্যান করতে হবে। তবে পরীক্ষায় ভাল করার জন্য বিশেষ কিছু প্রশ্নের উপর থাকতে হবে অসাধারণ দখল। তাই বলে এই নয় যে পরীক্ষায় ভাল করলেই সব হয়ে গেল। এখন ভিত কাচা হলে পরে সাফল্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর শেষ ভাল যার সব ভাল তার। ৬। মুখস্থ করার কৌশলঃ কিছু বিষয় আছে যা সর্বদা মুখস্থ রাখতে হয়। এক্ষেত্রে যদি কোন কিছুর সাথে সাদৃশ্য করা যায় তবে তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যেমন- “মিছাইল মানব” বলা হয় ‘আবুল কালাম আজাদ‘ কে। আপনার ভাইয়ের নাম ধরুন আজাদ। তখন তার সাথে এই তথ্যের মিল করে পড়তে পারেন। ৭। স্থান নির্ধারণঃ শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ মানিসিক স্বাস্থের জন্য ভাল। তাই পড়ার স্থানটা এমন হলে খুবই ভাল হয়। যদি এটা সম্ভব না হয় তবে পারিবারিক সাহায্য একান্ত কাম্য হবে। ৮। নির্ভুল লেখাঃ বাসায় বসে বারংবার লিখে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। লেখা ভুল হবে তখনই যখন আপনি তা লিখে অভ্যস্ত নন। সুতরাং নির্ভুল লেখার একমাত্র শর্ত বারবার অনুশীলন। ৯। নোট তৈরিঃ নিজে নোট তৈরি করে পড়ার কোন বিকল্প নেই। নিজে কষ্ট করে কিছু করলে সেটা একদিকে যেমন বোঝা যায় তেমনি মনেও থাকে। তাই নিয়মিত নোট তৈরি করা ভাল ফলাফল সহজতর হয়। ১০। আল্লাহর সাহায্য কামনাঃ প্রতি ওয়াক্ত নামজের শেষে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। (স্ব স্ব ধর্মের জন্য স্ব স্ব…) ১১। শরীরের প্রতি যত্নবান হওয়াঃ নিজের শরীরের দিকে সবস্ময় খেয়াল রাখতে হবে। শরীর ভাল না থাকলে কিছুই সম্ভব নয়। ১২। ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম স্বচ্ছ মেধার মূলকথা। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান একান্ত জরুরি। পরীক্ষার প্রস্তুতিঃ ১। পরীক্ষার হলে যা যা লাগবে তা আগে থেকে টেবিলের পাশে ঠিক করে রাখতে হবে। ২। পরীক্ষার হলে আধা ঘণ্টা আগে পৌঁছতে হবে। ৩। হলে যা যা পূরণ করা দরকার তা খেয়াল করে করতে হবে। যতই ভাল পরীক্ষা দেওয়া হোক না কেন যদি তথ্যে ভূল থাকে তবে ফলাফল আসবে না বা ভূল আসবে। ৪। কোন প্রশ্ন আগে লিখবেন তা আগে ভাবে নিন। কারণ আপনি কেমন পারদর্শী তা পরীক্ষক আপনার প্রথম লেখা উত্তর দেখে ধারণা পাবেন। ৫। রিভিশনঃ খাতা যাতে একবার রিভিশন দেওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাড়া হুড়োর মাঝে অনেক কিছুই ভূল যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। ৬। মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিন। তাহলে ভূল কম হবে। ৭। সুন্দর লেখাঃ সুন্দর চিরজীবন সুন্দর। আপনার লেখা সুন্দর হলে তা আপনাকে কিছু অতিরিক্ত নম্বর পেতে সহায়তা করতে পারে। ৮। সময় নির্ধারণঃ কোন প্রশ্নের জন্য কতটুকু লিখবেন তা বলে দেবে ডান পাশের নম্বর বিন্যাস। মনে রাখবেন, হলে সময় নষ্ট করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা। ৯। কাটা কাটিঃ কাটা কাটি করা মানে পরীক্ষকের বিরাগভাজন হওয়া। সুতরাং এটা পরিহার করা বাঞ্চনীয়। ১০। পরীক্ষায় অসৎ উপায় একদম অবলম্বন করবেননা। পরীক্ষার ফলাফল আপনার জীবনের মোড় বদলে দিতে পারে। তাই এ নিয়ে কোন অবহেলা একটা শিক্ষার্থীর কাছে কারো কাম্য নয়।

Talk Doctor Online in Bissoy App
CrazyPABEL

Call

মনদিয়ে পড়াশুনা করুন ।পড়ালেখার সময় বাড়িয়ে দিন।প্রতিদিন সকল বিষয় পড়েন ।সহজ বলে কোনো বিষয় ফেলে রাখবেন না।যে যে বিষয় আপনা কাছে কঠিন মনে হবে ওগুলোর পিছনে আরো বেশি সময় দিন ।দরকার হলে ভালো ও দ্ক্ষ কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে পারেন ।বিভিন্ন সংকেত ও বিক্রিয়া গুলো ভালো ভাবে চর্চা করুন।মুখস্ত না করে বুজতে চেষ্টা করেন। আপনার পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ই আপনাকে সফলতা এনে দিবে।

Talk Doctor Online in Bissoy App