শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
marjansimi

Call

মুখে ডাবের পানি ব্যবহার করুন ভালো হয়ে যাবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পানি কম খাওয়ার কারনে এটি হয়, প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ লিটার পানি পান করুন। বেশি সেভ হলে মুখে এই সমস্যা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ayesha

Call

প্রচলিত একটি কথা আছে, প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম। ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়। আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে। ব্রণের প্রকারভেদঃ ১) ট্রপিক্যাল একনি– অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে। ২) প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি– কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়। ৩) একনি কসমেটিকা– কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে। ৪) একনি ডিটারজিনেকস– মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ৫) স্টেরয়েড একনি– স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় । ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় : কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব। ব্রণ হলে কী করবেন: দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন। ব্রণে হাত লাগাবেন না। তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন। মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন। রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন। ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যান। রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন। তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না। চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও: তেলতেলে হয়ে যায়। ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন। বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান। কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন। আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্রণের প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে রেটিন-এ ক্রীম অথবা পেনক্সিল ২.৫% জেলটি নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সূর্য ডোবার পর ( সন্ধার পর ) শুধু গোটাগুলোতে ১/২ দিন ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। লালভাব বা এলার্জি যদি খুব বেশি হয় তবে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

1/ ভাই মুখে গোটা উঠার প্রধান কারন মুখ অপরিষ্কার রাখা। তাই প্রতিদিন সকাল-দুপুরে ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখুন। 2/ আপনার যদি মুখে গোটা হয়েই থাকে তাহলে মুখের গোটায় খুচবেন না। কারন, এতে গোটার জীবানু মুখের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুখের অন্যান্য অংশে গোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 3/ আপনি সবসময় মুখ টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার রাখবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ