আপনাকে আপনার পরিশ্রমই নিতে পারে কাংখিত সাফল্যে। আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। আর একটা কথা আপনি যদি আপনার পাঠ্য বই অংকের সবগুলো সূত্র আয়ত্বে আনতে পারেন তবে আপনি হবেন অংকের বস। আর সৃজনশীলের জন্য পার্ট ভাগ করে লিখতে হয়। ৪ টি পার্টে নিয়ম মত লিখলে পূর্ণ নাম্বর বা কাছাকাছি পাওয়া যায়। আর এ বিষয়ে আপনি শ্রেণী শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন।
গণিতে অধিক মনোযোগ দিন। গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা শুধু অংক অনুশীলন করুন।
যদি আপনার স্কুলের স্যার ভালো পড়িয়ে থাকেন তবে তার ক্লাসটি মনোযোগ দিয়ে করুন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো টুকে নিন।
যদি তা না হয় তবে বাড়িতে বলুন গণিতের জন্য শিক্ষক রেখে দিতে। সেই শিক্ষকের কাছ থেকে ভালোভাবে প্রত্যেকটি অংক বুঝে নিন।
অংকের জন্য কোনো গাইড না দেখে বইটি ভালো করে বুঝুন। M.C.Q. এর জন্য পাঞ্জেরী বা লেকচার দেখতে পারেন।
অন্যান্য বিষয়ের সৃজনশীলের জন্যঃ
ক নং উত্তরটিতে একটি ধাপ।
১. জ্ঞানমূলকঃ উত্তরটি এক বাক্যে বা এক শব্দেও লিখলেও হবে। সময়ের ওপর নির্ভর করে। তবে এক বাক্যের বেশি নয়।
খ নং উত্তরটিতে দুইটি ধাপ।
১. জ্ঞানমূলকঃ এক বাক্যে উত্তরটি লিখুন।
২. অনুধাবনমূলকঃ উত্তরটি গুছিয়ে নিজের মত করে লিখুন।
গ নং উত্তরটিতে তিনটি ধাপ।
১. জ্ঞানমূলকঃ এখানে উত্তরটি একবাক্যে লিখবেন।
২. অনুধাবনমূলকঃ এখানে পাঠ্যবইয়ের অংশটুকু লিখবেন। কোনো অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখবেন না।
৩. প্রয়োগমূলকঃ এখানে উদ্দীপক হতে লিখবেন। হুবুহু তুলে না দিয়ে নিজের মত করে সাজিয়ে নিন।
ঘ নং এ চারটি ধাপ।
১. জ্ঞানমূলকঃ একই।
২. অনুধাবনমূলকঃ একই।
৩. প্রয়োগমূলকঃ একই।
৪. উচ্চতর দক্ষতাঃ পাঠ্যবই এবং উদ্দীপকের সমন্বয় ঘটিয়ে লিখুন। এখানে মূলত সিদ্ধান্ত দিতে হয়। শেষ বাক্যে সেটিই লিখুন।
অতিরিক্ত এবং অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখে খাতা ভরবেন না। এতে নম্বর বাড়া তো নয়ই, কমার আশংকা আছে।
হাতের লেখা যথাসম্ভব ভালো করার চেষ্টা করুন। মার্জিন ঠিকভাবে কাটুন। চিত্রগুলো সঠিক এবং নিঁখুতভাবে আঁকার চেষ্টা করুন।