তেলের মাধ্যমে কিভাবে একটি ইন্জিন অবিরাম চলতে থাকতে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

১.পিস্টন যখন সিলিন্ডারের শীর্ষাংশে পৌছে তখন সিলিন্ডারে থাকা বায়ুকে উচ্চচাপে সংকোচিত করে। ঠিক সেই সময় ডিজেল ফুয়েল -ইঞ্জেক্টরের মাধ্যমে সিলিন্ডারে স্প্রে করা হয়। সিলিন্ডারের উচ্চচাপ এবং তাপের কারণে তখনই দহন শুরু হয়। ২.দহনের ফলে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাতে পিস্টন সিলিন্ডারের নীচের অংশে চলে যায়। এই স্ট্রোককে বলে পাওয়ার স্ট্রোক(power stroke)। ৩.পিস্টন নীচে যাওয়ার ফলে বহির্গমণ ভাল্ভ খুলে যায় এবং পরিত্যক্ত গ্যাস(exhaust gases) বের হয়ে যায়।ফলে সিলিন্ডার চাপমুক্ত হয়। ৪.পিস্টন যখন আরো নীচে যায় তখন বায়ু অন্তর্গমন ভাল্ভ খুলে ফলে পরিষ্কার বায়ু(fresh air) সিলিন্ডারে প্রবেশ করে এবং এই পরিষ্কার বায়ুও পরিত্যক্ত গ্যাস কে বহির্গমনে সহায়তা করে। ৫.পিস্টন আবার সিলিন্ডারেরউপরের অংশে যেতে থাকে,ফলে বায়ু অন্তর্গমন ভাল্ভ এবং বহির্গমন ভাল্ভ বব্ধ হয়ে যায়। ৬.পিস্টনেরউর্ধ্বগমনেরফলে সিলিন্ডারেরপরিষ্কার বায়ু সংকোচিত হয়। এই স্ট্রোককে বলে কম্প্রেশন স্ট্রোক(compression stroke)। ৭.এরপর পিস্টন সিলিন্ডারের শীর্ষাংশে যায় এবং উপরোল্লিখিত প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই বর্ণনা থেকেদেখা যায় যে,টু-স্ট্রোকডিজেল ইঞ্জিন এর সিলিন্ডারে শুধুমাত্র পরিষ্কার বায়ু থাকে, ফলেপরিবেশ সংক্রান্ত কোন সমস্যারসম্মুখীন হতে হয়না। অপরদিকে, টু-স্ট্রোকডিজেল ইঞ্জিনএর সাথে অবশ্যই টার্বোচার্জার অথবা সুপারচার্জার থাকতে হবে,ফলে টু-স্ট্রোক ডিজেল ইঞ্জিন ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে যায়। তথ্যসূত্র: How Two-stroke Engines Work https://youtu.be/DZt5xU44IfQ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ