শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কারণসমূহ আন্ত্রিক গ্যাসের (intestinal gas) প্রধান কারণ হল খাবার যা আমরা আমাদের কিছু অভ্যাসের সাথে খাই। কিছু খাবার অত্যধিক আন্ত্রিক গ্যাস সৃষ্টির দিকে নিয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে: ডাল বিন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকোলি, ব্রাসেল স্প্রাউটস-এর মত কপি জাতীয় শাকসবজি দুগ্ধজাত দ্রব্য ফ্রাক্টোজ-এর মত কার্বোহাইড্রেট অথবা সরবিটল-এর মত চিনির বিকল্পগুলো  সোডা এবং বিয়ার-এর মত বায়ুভরা পানীয় মদ আলু এবং ভাতের মত শ্বেতসারজাতীয় খাবার চুইং গাম এবং মিষ্টির অত্যধিক ব্যবহার ধূমপান কখনও কখনও অত্যধিক আন্ত্রিক গ্যাস নীচের ব্যাধিগুলোর ক্ষেত্রে একটা উপসর্গ হিসাবে উপস্থিত হয়। প্যানক্রিয়াটাইটিস (অটোইমিউন টাইপ)   এটা প্যানক্রিয়াস-এর (অগ্ন্যাশয়) একটা প্রদাহ জিইআরডি (GERD) (গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজঅর্ডার)  এমন একটা অবস্থা যেখানে পুনরাবৃত্তিমূলক বিপরীত প্রবাহ বা পাকস্থলীর খাবারগুলো খাদ্যনালীর মধ্যে উল্টোদিকে বেয়ে এসে অত্যধিক উদ্গার বা ঢেঁকুর তোলার কারণ ঘটায়। ডায়াবেটিস দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্ত শর্করা বিলম্বিত মলত্যাগের কারণ সৃষ্টি করে (গ্যাস্ট্রোপেরিসিস হিসাবে পরিচিত) যা একটা পেটভরা থাকার অনুভূতি (স্ফীতি) আনে, পেটফাঁপা এবং গ্যাস উৎপাদন করে।   আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোন’জ ডিজিজ ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী) প্রদাহমূলক ব্যাধি যা পরিপাক (হজম) নালীর স্ফীতি (ফোলা) সৃষ্টি করে এবং হজমে বাধা দেয় যা অন্যান্য উপসর্গ, যেমন পেট খারাপ, পেট ব্যথা, জ্বর, ওজন কমা এসবের সাথে আন্ত্রিক গ্যাসের অতি বেশি উৎপাদন ঘটায়।  ইরিটেব্‌ল বাওয়েল সিনড্রোম কোষ্ঠকাঠিন্য (পায়খানা শক্ত হওয়া) বা পেট খারাপ, পেটফাঁপা, এবং খিঁচুনির মত উপসর্গগুলির দ্বারা একটা অবস্থা চিহ্নিত করে কোনরকম সনাক্তযোগ্য বা জানা কারণ ছাড়া।  পেপটিক আলসার (পাকস্থলীর ক্ষত)    একটা অবস্থা যেখানে  পাকস্থলী বা অন্ত্রগুলিতে সুরক্ষামূলক পর্দার ক্ষতির কারণে খোলা ক্ষতের (আলসার) সৃষ্টি হয়।   সিলিয়্যাক ডিজিজ একটা অটোইমিউন ব্যাধি যাতে গ্লুটেন বা গম-সংবলিত খাবারগুলি খাওয়া একটা প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়ার কারণ হয় যা অন্ত্রের দেয়াল নষ্ট করতে শুরু করে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ