প্রথমেই বলছি ভাই সব সময় সব রেফারেন্স মনে থাকেনা। আর অনেক সময় কেউ যদি আপনাকে ভুল রেফারেন্স দেয় আপনি বুঝবেন কি করে।
আপনার উত্তর হলো
রোজা ভাংগার যে কারন ও মাসায়ালা রয়েছে তাতে উল্লেখ নেই তারাবিহের নামাজ না পরলে রোজা হবেনা। তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। যা ইচ্ছায় না পড়লে গুনাহ হয়। তাই তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে। কিন্তু এশারের নামাজ আপনাকে পরতেই হবে। কারন কিছু কিছু কারনে রোজা মাফ হলেও নামাজ মাফ নেই। আর নামাজ ছাড়া রোজা রাখলে তা হবেনা। আমি ফরজ নামাজের কথা বলছি।
তারাবীহ নামাজের সঙ্গে রোজার কোনো সম্পর্ক নেই দুইটাই আলাদা ভিন্ন ইবাদত। তারাবীহ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। তবে বীনা ওজরে তারাবীহ নামাজ ছেড়ে দিলে কবিরা গুনাহ হবে।
আর সিয়াম বা রোজা একটা ফরজ এবাদত। তবে তারাবীহ নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। এটি রোজার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
তারাবীহ নামাজ না পড়লেও রোজা হয়ে যাবে, তবে তার সাওয়াবের পরিপূর্ণতায় ত্রুটি থেকে যাবে। কেননা, তারাবীহ রমজান মাসের অন্যতম আমল ও বৈশিষ্ট্য।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সাওয়াবের আশায় রমজানে তারাবীহ নামাজ আদায় করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারীঃ ৭৫৯)।