বাইক পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কি? যেমনঃ ডিটারজেন্ট, সেম্পু, ইত্যাদি অথবা কোন ক্লিনার কি অাছে পরিস্কারের জন্য, অার গাড়ি কতদিন পর পর ধোয়া ভালো?
ওয়াশের আগে যা যা লক্ষ রাখতে হবে-
বাইক ওয়াশের জন্য তৈরি নয় এমন cleaning products এড়িয়ে চলুন। কারণ তাতে কঠোর ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিক সলভেন্ট থাকতে পারে যা আপনার বাইকের ধাতব রঙ ও প্লাস্টিকের ক্ষতি করতে পারে।
ড্রাইভ করে এসেই বাইক ওয়াস করবেন না। এটা বাইকের ইঞ্জিনের জন্য খুবই বিপদজনক।
উচ্চ চাপ যুক্ত স্প্রে ব্যবহার করবেন না। এটা আপনার মোটরসাইকেলর ক্ষতি করতে পারে।
বাইক ওয়াশে কি কি লাগে-
১. শ্যাম্পু/শাওয়ার জেল (বাইকের জন্য আলাদা শ্যাম্পু পাওয়া সেটি নিতে পারেন, তা না হলে মাথায় দেয়া শ্যাম্পুর ২-৩টি মিনি প্যাকই যথেষ্ট)
২. কিছু নরম সুতির কাপড়/টিস্যু পেপার, টুথব্রাশ, রংএর ব্রাশ এবং সামান্য মবিল(ইনজিন ওয়েল)
৩. হ্যান্ড শাওয়ারসহ পানির পাইপ, অথবা বালতি এবং মগ
ওয়াশের সময় করনীয়
প্রথমে বাইকটিকে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে দিন। এরপর ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করুন।
এবার আবার ঠান্ডা পানি ও স্পঞ্জ বা নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। মাফলার আউটলেট এবং বৈদ্যুতিক অংশে পানির স্প্রে করবেন না।
বাইক ওয়াশের ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার করে প্লাস্টিক অংশ পরিষ্কার করুন।
বেশি বা জমাট বাঁধা ময়ালা পরিস্কারের জন্য একটু বেশি সময় ব্যাবহার করুন, তাড়াহুড়া করতে গিয়ে শক্ত কিছু দিয়ে ঘষাঘষি করবেন না। অনেক সময় বাইকের হেডলাইটে পোকা মরে শক্ত হয়ে লেগে থাকে। এই ক্ষেত্রে ভেজা কাপর দিয়ে কিছক্ষন ভিজিয়ে রাখুন, নিজ থেকেই উঠে যাবে।
পরিষ্কার করার পরে, প্রচুর পানি দিয়ে মোটরসাইকেল সকল অংশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন কোন অংশে ডিটারজেন্ট এর অবশিষ্টাংশ লেগে না থাকে।
এবার আবার ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করুন, এতে আপনার বিশ্রামও হয়ে যাবে পাশাপাশি বাইক থেকে পানিও ঝরে যাবে।
এবার শুকনো কাপর দিয়ে বাইকটি ভালভাবে মুছে ফেলুন।
বাইটি শুকিয়ে গেলে, ইঞ্জিন টি চালু করুন। সম্ভব হলে কয়েক মিনিট চালান। সব কিছু ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরিক্ষা করুন।
মোটর সাইকেলের ধৌতকরণ ও শুষ্ককরণ শেষ করার পর অবিলম্বে ড্রাইভ চেইন লুব্রিকেট করুন।
ওয়াশের পরে করণীয়
যখন আপনি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলবেন তখন বাইকটিকে আস্তে আস্তে চালান, অতিরিক্ত পানি বের করে ফেলার জন্য আস্তে আস্তে ব্রেকগুলো চাপুন। এরপর গভীর গর্ত ও ক্রেনগুলো থেকে পানি শুকানোর জন্য বড় রাস্তায় একটি লং ড্রাইভ করে আসুন।
যদি এইসব জায়গায় পানি থাকে তাহলে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাড়িতে ফিরে আসার পর একটি ছোট আশজাতীয় ন্যাকড়া দিয়ে ওয়াইন্ডস্ক্রীন ও বডিওয়ার্কে লেগে থাকা দাগগুলো মুছে ফেলুন।
বাইক ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত পরিষ্কার করবেন না। তবে, নিয়মতি পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন।
আসলে বাইক পরিস্কার করার আগে লক্ষ করুন বাইকে কাদা মাটি লেগেছে কিনা বা বাইকের নিচের মাঝের অঙশে কাদা মাটি আছে কিনা।যদি এরকম কিছু থাকে তাহলে এ হ্মেত্রে বাইক পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি পানি স্প্রে করানো। সাথে ডিটার্জেন্ট হলেই যথেষ্ট বালতিতে ডিটার্জেন্ট গুলিয়ে নিয়ে কাপর দিয়ে বা ব্রাস দিয়ে পরিস্কার করুন।
যদি বাইকে ধুলোবালি পড়ে তাহলে শুতি কাপর দিয়ে মুছে নিবেন।
তাছাড়া বাইক কতদিন পর পর ধুতে হবে সেটির কোন ধারাবাধা নিয়ম নেই। কেনো না পছন্দের বাইকটি সব সময়েই আকর্ষনীয় রাখতে সর্বদাই পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে পারেন।এতে কোন সমস্যা নেই।
মনে করে সকালে অফিসে গেলেন বিকালে ফিরে এসেসে বাইকটিতে শুধু পানি স্প্রে করে পরিস্কার করে নিলেন ব্যাস হয়ে গেলো।তবে ২/৩ দিন পর পর ডিটার্জেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। কোন সমস্যা নাই এসব আপনার নিজের ব্যক্তিগত ব্যপার।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।