ভাই আমার আম্মুর কোমরে ও পায়ে ব্যথার জন্য দাঁড়িয়ে কিংবা বসে নামাজ পড়তে কষ্ট হয়। তাই তিনি চেয়ারে বসে নামাজ পড়েন? এতে ইসলাম কি বলে? আমার মায়ের নামাজ পড়া হচ্ছে তো? এটি জায়েজ আছে তো?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mahadi

Call

যে ব্যক্তি দাড়াতে ও রুকু সিজদাহ করতে সক্ষম সে চেয়ারে বসে নামায ইদায় করলে তা সহীহ হবে না। যে দাড়াতে ও জমিনে বসতে সক্ষম কিন্তু সিজদাহ করতে অক্ষম সে দাড়িয়ে নামায আদায় করবে। শুধু সিজদাহ বসে ইশারায় করবে। আর যে বক্তি দাড়াতে সক্ষম কিন্তু নিচে বসতে সক্ষম নয় সে দাড়িয়ে নামায পড়বে তবে রুকু,সিজদাহ ও বৈঠকের সময় চেয়ারে বসবে। এবং ইশারায় রুকু ও সিজদাহ করবে। যে ব্যক্তি দাড়াতে ও বসতে কোনটতেই সক্ষম নয় সে পূরো নামায চেয়ারে বসে ইশারায় আদায় করতে পরবে। উপরের মাসআলাগুলো দলীলসহ আলোচনা পূর্বে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে।

এখানে একটি প্রসিদ্ধ আপত্তি রয়েছে। তা হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানাসহ খায়রুল কুরূনে রোগও ছিল চেয়ারও ছিল। কিন্তু ঐ তিন যুগে চেয়ারে বসে নামাযের কোন নযীর নেই। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবনের শেষ দিকে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি তখন জমিনে বসে নামায পড়েছেন চেয়ারে নয়। কাজেই চেয়রে বসে নামায পড়া নাজায়েয ও বিদআত। যদি এটা জায়েয হত তবে সাহাবায়ে কেরাম বা খাইরুল কুরূনের কেউ অবশ্যই চেয়ারে বসে নামায পড়তেন।

আপত্তিটির জবাব বুঝতে হলে একটু লম্বা আলোচনা দরকার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য বসে নামায পড়তে বলেছেন। তিনি ইমরান (রা) কে বলেছেন “যদি তুমি (দাড়াতে) সক্ষম না হও তবে বসে (নামায পড়বে)”

এখানে হাদীসে দাড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য قعود(বসা) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আর তা সম্পূর্ন শর্তমূক্ত। নির্দিষ্ট কোন ধরনকে খাস করা হয়নি বা নির্দিষ্ট কোন ধরনকে বাদও দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ জমিনের উপর বসতেই হবে বা এমনভাবে বসা যাবে বা এমনভাবে বসা যাবে না কোনটিই বলা হয়নি। বরং শব্দটিকে মুতলাক (শর্তমুক্ত ) রাখা হয়েছে। যা সর্ব প্রকার বসাকে শামিল করে।অর্থাৎ যে সকল সূরতের উপর “বসা” শব্দ প্রয়োগ হয় তার সবগুলোই এখানে প্রযোজ্য হবে।

তাছাড়া আরবী ভাষায় قعود শব্দের জন্য জমিনের জপর বসা জরুরী নয়। আহলে আরব কিয়ামের বিপরীতে قعود শব্দ ব্যবহার করে থাকে। আল্লামা আবুল হুসাইন আহমাদ ইবনে ফারেস (রহ) বলেন-
إذا كان قائماً كانت الحال التي تخالفها القُعود

অর্থঃ যখন কেউ দণ্ডায়মান হয়,সেটাই قعود (বসা) এর বিপরীত অবস্থা হয়। (মু’জামু মাক্বয়ীসিল লুগাত ১/৪৭৩)

লিসানুল আরবে রয়েছে-
القعود نقيض القيتم
অর্থঃ কিয়ামের বিপরীত অবস্থাকেই قعود (বসা) বলে। -লিসাসুল আরব ৩/৩৫৭
অর্থাৎ শাব্দিক অর্থে قعود শব্দের মধ্যে জমিনে বসার কোন অর্থ নেই। বরং দাড়ানোর বিপরীতে অবস্থাকেই قعود বলে।চাই জমিনে বসা হোক বা চেয়ারে বা অন্য কোন কিছুতে।

এছাড়াও আহলে আরব চেয়ারের উপর বসাকে قعود শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করে থাকে। বিভিন্ন হাদীসে চেয়ারে বসার জন্য قعود শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সুনানে আবু দাউদ ও নাসঈ শরীফের একটি রেওয়ায়েতে রয়েছে-

عن عَبْدَ خَيْرٍ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا – رضى الله عنه – أُتِىَ بِكُرْسِىٍّ فَقَعَدَ عَلَيْهِ

অর্থঃ আবদে খাইর (রহঃ) থেকে বর্নিত তিন বলেন, আমি আলী (রা) কে দেখেছি,(তার জন্য) একটি চেয়ার আনা হয়েছে। অতঃপর তিনি তার উপর বসেছেন। (সুনানে আবু দাউদ হা:১১৩ ,নাসাঈ শরীফ হা: ৯৩)

عن أَبي رِفَاعَةَ………….. فَأُتِيَ بِكُرْسِيٍّ خِلْتُ قَوَائِمَهُ حَدِيدًا فَقَعَدَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ……

অর্থঃ হযরত আবু রিফাআহ (রাঃ) থেকে বর্নিত……………. অতঃপর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য) একটি চেয়ার আনা হল। তিনি বলেন, আমি ধরনা করি তার পায়াগুলো লোহার ছিল। অতঃপর তিনি তার উপর বসলেন। (নাসাঈ শরীফ হা:৫৩৯২)

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ ذَكَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَعَدَ عَلَى بَعِيرِهِ
অর্থঃ হযরত আবু বাকরাহ (রা) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উটের উপর বসলেন। -বুখারী শরীফ হা:৬৭
عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ

অর্থঃ ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপরে বসলেন। (মুসলিম শরীফ,হা: ৭৫৭৬)

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি হাদীসে “বসা” শব্দের জন্য قعود ব্যবহার করা হয়েছে। যার কোনটি জমিনে বসার অর্থে ব্যবহার হয়নি। বরং কোনটি মিম্বরের উপর,কোনটি ছাওয়ারীর উপর,কোনটি চেয়ারের উপর বসার জন্য বাবহারিত হয়েছে। কাজেই ইমরান (রাঃ) এর রেওয়ায়েতে فقاعدا (বসে পড়বে) শব্দকে জমিনে বসার মথ্যে সীমাবদ্ধ করা ঠিক নয়। বরং চেয়ারে বসার উপরেও শব্দটি প্রযোজ্য হবে।

তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাওয়ারীতে বসেও নামায আদায় করতেন।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُصَلِّى عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ.

অর্থঃ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ছাওয়ারীর উপর আরোহীত অবস্থায় ছাওয়ারীর দিকে ফিরে নামায পড়তেন। -সহীহ মুসলিম,হা: ১৬৪৫

كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ وَيُوتِرُ عَلَيْهَا وَيُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ

অর্থঃ ইবনে উমর (রাঃ)তার ছাওয়ারীর উপর নামায পড়তেন এবং তার উপর বেতর পড়তেন। আর তিনি বলতেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন করতেন। (সহীহ বুখারী হাঃ১০৯৫)

ছাওয়ারীতে বসে নামায পড়ার সাথে চেয়ারে বসে নামায পড়ার যথেষ্ট মিল রয়েছে। সুতরাং খায়রুল কুরুনে এর কোন নযীর ছিল না একথা বলাও ঠিক নয়।

যাই হোক, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমিনে না বসে তথা ছাওয়ারীতে বসে নামায আদায় করেছেন। পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, দাড়াতে অক্ষম ব্যক্তি যখন বসে নামায আদায় করবে এবং তাশাহহুদের ন্যয় বসতে পারবে না সে তার সুবিধামত সূরতে বসবে । কোন খাস সূরতে তার জন্য বসা জরুরী নয়। হাফেজ ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন-
لم يبين كيفية القعود فيؤخذ من إطلاقه جوازه على أي صفة شاء المصلى

অর্থঃ বসার ধরন বর্ননা করেনি। কাজেই নিঃশর্তভাবে উল্লেখ করা থেকে মুছল্লীর জন্য তার ইচ্ছামত বসা জায়েয হওয়া গ্রহন করা হবে। (ফাতহুল বারী ২/৫৮৬ )

সুতারাং চেয়ারে বসাও যেহেতু এক প্রকার বসা তাই তাও বসে নামায পড়ার মধ্যে শামিল থাকবে। তাছাড়া বসা বলা হয় মানুষের শরীরের উপরের অর্ধেক সোজা হওয়াকে। দাড়িয়ে ও বসে নামায পড়ার মধ্যে পার্থক্য হল,দাড়িয়ে নামায পড়ার সময় নিচের অংশ ও উপরের অংশ উভয়টিই সোজা থাকাবে। আর বসে নামায পড়ার ক্ষেত্রে শুধু উপরের অংশ সোজা থাকাই যথেষ্ট। নিচের অংশ মুসল্লী তার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন ভাবে রাখতে পারে। আল মুহিতুল বুরহানীতে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-

والقيام المطلق إنما يكون باستواء الشق الأعلى والأسفل والشق الأعلى أصل؛ لأن الآدمي لا يعيش إلا به والشق الأسفل تبع؛ لأنه يعيش بدونه……….. فأما صلاة التطوع شرعت عند قيام النصف الأعلى، فإذا صلى قاعداً فقد صلى،

অর্থঃ পরিপূর্ন কিয়াম হয় (শরীরের) নিচের অংশ ও উপরের অংশ সোজা হওয়ার দ্বারা। উপরের অংশই হল মূল। কেননা মানুষ তা ছাড়া বাঁচতে পারে না। আর নিচের অংশ হল অনুগামী। কেননা (মানুষ ) তা ছাড়াও বেঁচে থাকে।…………….. আর নফল নামায উপরের অর্ধেক সোজা থাকা অবস্থায় শরিয়াত সম্মত করা হয়েছে। কাজেই কেউ যখন বসে নামায পড়ল,(কেমন যেন ) সে পরিপূর্ন নামায পড়ল।(আল-মুহীতুল বুরহানী ১/৪২১)

উপরের ইবারত দ্বারা বুঝা গেল, বসে নামায পড়ার বস্তবতা হল উপরের অংশ সোজা থাকবে নিচের অংশ নয়। আর তা জমিনে বসে নামায পড়া , ছাওয়ারীতে বসে নামায পড়া এবং চেয়ারে বসে নামায পড়া সর্ব প্রকারের উপর পরিপূর্নভাবে প্রযোজ্য হয়।

আর রাইল, রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও চেয়ার ব্যবহার করেননি। এটা চেয়ারে বসে নামায নিষদ্ধ হওয়ার দলীল হতে পারে না। কেননা কোন জিনিস কখনও না করা তা নিষদ্ধ হওয়ার দলীল নয়। কত জিনিসই তো রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারেননি অথচ তা মুবা্হ‌ তাছাড়া রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক কোন কিছুকে ব্যপকভাবে বর্ননা করার পর নির্দিষ্ট কোন সূরতকে এখতিয়ার করা দ্বারা অন্যান্য সূরতগুলো নিষিদ্ধ হয় না। সুতরাং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক মুতলাকভাবে (ব্যপকভাবে) বসে নামায পড়ার অনুমতি দেওয়ার পর নিজে সর্বদা নিচে বসে নামায পড়ার দ্বারা চেয়ারে বসে নামায পড়া নিষিদ্ধ হবে না। বরং কেন কিছু নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য শরয়ী দলীল প্রয়োজন। আর তা এখনে অনুপস্থিত।

আর রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম নিচে বসে নামায পড়তেন কেননা তারা এতে অভ্যস্ত ছিলেন। তারা বেশি ছাওয়াবের আশায় নামাযে অতিরিক্ত কষ্ট সহ্য করার মধ্যে স্বস্তি অনুভব করতেন। যেমন আবু দাউদের একটি রেওয়ায়েতে রয়েছে রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল (রাঃ) কে বলেছিলেন-

يا بلال اقم الصلوة ارحنا بها
অর্থঃ হে বেলাল! নামাযের ইকামত দাও ,নামায(সম্পন্ন হওয়ার) দ্বারা আমাদের প্রশান্তি দান কর। )সুনানে আবু দাউদ হা: ৪৯৮৫(

অর্থাৎ নামায দ্বারা তারা প্রশান্তি লাভ করতেন,নামায থেকে নয়। তারা চেয়ারে বসে এজন্য নামায পড়েননি যে ,চেয়ারে বসে নামায পড়লে তা সহীহ হবে না। বরং তারা নামাযে তাদের গোলামিত্ব পরিপূর্ন মাত্রায় প্রকাশ করতেন। কেননা নামাযের হেকমত হল বান্দা বিনয়াবনত হয়ে পরিপূর্ন মাত্রায় গোলামীত্ব প্রকাশ করবে। আর তা চেয়ারে বসার চেয়ে জমিনে বসলে পরিপূর্ন মাত্রায় প্রকাশ পায়।

মাসআলাঃ ইশারায় রুকু সিজদার সময় সিজদাতে রুকুর চেয়ে বেশি ঝুকবে। (সুনানে বাইহাক্বী হা: ৩৪৮৪)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
FoyEz00

Call

কেউ যদি দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু রুকু-সিজদা বা শুধু সিজদা করতে সক্ষম না হয়, তার জন্য বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। সে ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবে। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা উত্তম। (দুররে মুখতার ২/৫৬৭, ফতোয়ায়ে আলমগিরি ১/১৩৬)

যেসব অক্ষমতার কারণে দাঁড়ানোর আবশ্যকতা রহিত হয়ে যায়, তা দুই প্রকার :

১. হাকিকি বা মৌলিক অর্থাৎ এমন অক্ষম, যে দাঁড়াতে পারে না।

২. হুকমি বা বিধানগত অর্থাৎ সে এমন অক্ষম নয় যে দাঁড়াতে পারে না, বরং দাঁড়ালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অথবা এমন দুর্বলতা থাকে, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষমতা বলে বিবেচিত। যেমন অসুস্থতা, যার ব্যাপারে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে দাঁড়ালে রোগ বৃদ্ধি পাবে অথবা সুস্থতা ফিরে আসতে বিলম্ব হবে কিংবা দাঁড়ানোর কারণে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়- এসব অবস্থায় বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। (দুররে মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার-২/৫৬৫)

যদি অসহনীয় ও অস্বাভাবিক ব্যথা না হয়, বরং সামান্য ব্যথা অনুভব হয়, তবে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষমতা বলে বিবেচিত হবে না। এমতাবস্থায় বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। (তাতারখানিয়া-যাকারিয়া বুক ডিপো-২/৬৬৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ