আসলে মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষণ।
সাধারণত ০৯-১৩ বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় এবং ৪৫-৪৯ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাত্ গড়ে ২৮ দিন পর পর মাসিক হয়। একে মাসিকচক্র বলে।
কারো কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয়।মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে।
একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয়। যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়।
যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না। তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর এই রক্ত পড়াটাকেই মুলত মাসিক/মিন্স/পিরিয়ড/ ঋতুস্রাব ও ইত্যাদি নামে চিনে থাকি।
আসলে মাসিক/মিন্স বিষয়টি মেয়েদের গোপন সংক্রান্ত বিষয় যা অন্য কাউকে বা কোন ছেলে কে বলতে লজ্জ্ববোধ করে কিন্তু তাদের বান্ধুবি দের কাছে বলতে তেমন লজ্জ্বা বোধ করে না কারন তাদের বিষয় গুলো একই।
তবে আজ মেয়েদের মাসিক আছে বলেই আজ আমি আপনি আমরা সবাই জন্ম গ্রহন করতে পারতেছি কাজেই এই মেয়েদের মাসিক নিয়ে ছেলেদের বা কারো হাসি ঠাট্টা করা উচিৎ না। আসা করি বুঝতে পারছেন।