শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

মাসিকঃ আসলে সাধারণত ০৯-১৩ বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় । স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি মাসেই মাসিক হয়ে থাকে এবং তা ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। মেয়েদের প্রতি ২৪ থেকে ৩২ দিন অর্থাত্‍ গড়ে ২৮ দিন পর পর মাসিক হয়। একে মাসিকচক্র বলে।

কারো কারো ক্ষেত্রে এ ২৮ দিনের চক্রটি কম বা বেশি হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকেই মাসিকচক্র শুরু হয়।মেয়েরা যখন বড় হয় তখন প্রতি মাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু বের হয়ে ডিম্ববাহী নালীতে আসে।
একই সময় জরায়ুতে রক্তে ভরা নরম পর্দা তৈরি হয়। যদি এ সময় যৌনমিলন হয় তাহলে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরি হয়। এই ভ্রুণ রক্তে ভরা নরম পর্দায় গিয়ে বসে ও ধীরে ধীরে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়।

যদি শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর মিলন না হয়, তাহলে এই পর্দার আর প্রয়োজন হয় না। তখন এই রক্তে ভরা পর্দা ডিম্বাণুসহ মাসিক হিসেবে যোনিপথ দিয়ে বেরিয়ে আসে। কোনো আঘাত বা অসুখের কারণে এই রক্ত পড়ে এটাকেই মুলত মাসিক/মিন্স/পিরিয়ড/ ঋতুস্রাব ও ইত্যাদি নামে চিনে থাকি। আসা করি বুঝতে পারছেন।

স্বপ্নদোষঃ   আসলে স্বপ্নদোষ হলো অনিচ্ছা কৃত ভাবে বা অনাকাঙ্খিত ভাবে ছেলেদের ঘুমের মধ্যে বীর্য আসে যাকে আমরা স্বপ্নদোষ নামে চিনি । এটি ছেলেদের হয়ে থাকে তবে ছেলেদের এই স্বপ্নদোষ আসা বাধ্যতা মূলক না । একজন ছেলের স্বপ্নদোষ হলেও হতে পারে কিন্তু না হলেও কোন সমস্যা নেই । স্বপ্নদোষ প্রতিটি ছেলেরই হতে বা না হলে সমস্যা বা রোগ তা কিন্তু না  এই স্বপ্নদোষ হয় মুলত ছেলেদের বীর্যথলিতে বীর্যের পরিমান বেশি হলে যা অতিরিক্ত  বীর্য গুলোস্বপ্নাবেশে বেরি আসে যা অনাকাঙ্খিত ভাবে হয়ে যায় ।  

কিন্তু প্রতিটি মেয়েদের মাসিক হতেই হবে যা একজন মেয়ে প্রাপ্তবয়স হলেই তার মাসিক আসা বাধ্যতামুলক হতেইহবে যা তাদের ৯-১৩ বছর বয়স থেকে শুরু হয় আর যা ৪৫-৪৯ বছর বয়স পর্যন্ত যেতে থাকে । এটি সকল নারীদের জন্য বাধ্যতামুলক আসতে হবে যদিকারো না আসে বা অনিয়ম করে আসে তাহলে গাইনি চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে হয়। কিন্তু কোন ছেলের স্বপ্নদোষ না হলে বা কম হলে তার কোন সমস্যা নেই বা কোন রোগ নয়। তবে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে অবশ্যই হোমিও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসানিতে হবে। 

আসা করি আমার কথা বুঝতে পারছেন।




ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ