দয়া করে সাহায্য করেন বয়স ২০ বছর। ব্যায়াম ছাড়া লম্বা হওয়া যাই কি? খাবার খাওয়ার মাধ্যমে? ৬ মাসের মধ্যে ? বা এমন কোনো ঔষধ নেই??? যেটা খুব সহজে ঔষধএর দোকানে পাওয়া যাবে?
২০বছর পর আর বেশি লম্বা হওয়া যায় না। তবুও আপনি নিচের step গুলো ফলো করতে পারেন, এগুলি করলে আপনার হাইট ৩-৪ইন্চ বাড়তেও পারে। ১. এই বৃদ্ধি পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এই পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দ্বারা মানবদেহে হরমোন বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বেআইনি যার কারণে একজন ডাক্তার কখনই আপনাকে এরকম কিছু প্রেস্ক্রাইব করবে না, এবং এটি খুবই ব্যয়বহুল যার কারণে এটি সাজেশন করা উচিত হবে না। ২. দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ায় অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীররের হাড়ের বৃদ্ধি ঘটায়। আরেকটা ব্যাপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরুর মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয় এবং সেই প্রকিয়াজাতকরণ দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প। ৩. নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম (ওজন উদ্ধরণ) হরমোন (HGH) বৃদ্ধি করে। এটি বৃদ্ধি সংক্রান্ত হরমোনের মাত্রা আরও উন্নত করার জন্য বহুল পরিচিত এবং পদ্ধতি খুবই কার্যকর। আর অতিরিক্ত পেশী আপনাকে আরো সাহয্য করবে আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হতে। ৫. Niacin supplementation : Niacin একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন নামক ভিটামিন B3। একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, ৫০০গ্রাম নিয়াসিন নেওয়া মানুষের থেকে সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি কম ঘটে। ৬.মানসিক চাপ কমান : স্ট্রেস বা মানসিক চাপ যা হচ্ছে আপনার লম্বা বৃদ্ধি হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাঁধা। যাতে আপনার হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং করটিসল উত্পাদিত হয়। ভিটামিন C সম্পূরকসমূহ যা করটিসল কমাতে জোর সহায়তা করে। ৮. ঘুম : কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘমানো । এটি সবচেয়ে সহজ এবং অনেক কার্যকরী উপায়। সঠিক এবং সুন্দর ভাবে ঘোমানো আপনার দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে আপনাকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। ড্রাগ এবং অ্যালকোহল এই ২টিই আপনার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বড় বাঁধা। ধূমপান যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহের হরমোন গঠনও কমিয়ে ফেলে।
প্রকৃত পক্ষে-মানুষ লম্বা বা বেঁটে হওয়া নির্ভর করে বংশগত বৈশিষ্ট্যের ওপর যেমন বাবা ও মায়ের ক্রোমোজোম এবং বংশগত কারণ ছাড়াও গ্রোথ হরমোনের ঘাটতির কারনে মানুষ বেঁটে হতে দেখা যায় । জেনিটিক সাইন্স অনুসারে গ্রোথ হরমোন মস্তিষ্কের পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে যদি পর্যাপ্ত পরিমান তৈরি না হয় তা হলে উচ্চতা হ্রাস পায় একেবারে কম তৈরি হলে মানুষ একদম বামনের মত হয়ে যায় কথা টি সত্য বা প্রমানিত ।অন্যদিকে মেয়েদের তুলনায় চেলেরা লম্বা হওয়ার কারন জেনেটিক ছাড়া ও পুরুষদের শরীরে অ্যাড্রোজেন ৮% বেশী নিঃসরণ হয় সে জন্য । আপনি যদি আপনার বংশগত কারণে বেঁটে হয়ে থাকেন , তারপর ও আর 1/2 ইঞ্ছি পর্যন্ত লম্বা হতে পারবেন একজন হরমোন ও জেনেটিক বিশেষজ্ঞের পরামর্ষে । অর্থাৎ ৮০% লম্বা হবেন মা বাবা বা বংশগত কারণে এবং বাকি ২০% । বংশ গত দিকে আরেক টি বিষয় বেশির ভাগ পরিলক্ষিত হয় , বাবার উচ্চতা – ৫ ইঞ্চি অথবা + মায়ের উচ্চতা = মেয়ের উচ্চতা । মায়ের উচ্চতা +৫ ইঞ্চি অথবা + পিতার উচ্চতা= ছেলের উচ্চতা বিবেচনা করা হয় জেনেটিক সুত্রের অন্য এক সুত্রে । তবে সকল ক্ষেত্রে যে তা হবে সেটা ও ঠিক নয় নয় । জন্মের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু অবস্থায় বছরে ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এরপর এই হার কমে আসে এবং ৫/৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই হার বছরে ১০-১২ সেন্টিমিটার। ৬/৭ বছরে আরও কমে বছরে ৫-৬ সেন্টিমিটার হারে বাড়ে। আবার বয়ঃসন্ধিকালে হঠাৎ করেই লম্বা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং বছরে ১০-১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে থাকে। ১৪/১৫ বছরের পর থেকে বৃদ্ধির হার আবারও কমতে থাকে, সে সময় ১ সেন্টিমিটার হারে বেড়ে চলে ১৯ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে গড়ে ১৮ বছর পর আর উচ্চতা ব্রিদ্দি পায়না , সে জন্য ১৪-১৬ বছরের ভিতরেই লম্বা হওয়ার চিন্তা করতে হয় বা যদি কেউ চান আরেক টু লম্বা হতে তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষ নেওয়া উচিৎ ।