মানুষের ধর্ম ইসলাম। কেননা, প্রতিটি নবজাতকই ফিতরাতের উপর জন্মলাভ করে।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র সৃষ্টিকে নিজ দ্বীনের উপর সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী সময়ে লোকেরা কেউ ইয়াহূদিয়্যাৎ কেউ নাসরানিয়্যাৎ ককূল করে নিয়েছে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি নবজাতকই ফিতরাতের উপর জন্মলাভ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ইয়াহুদী, নাসারা বা মাজুসী বা (অগ্নিপূজারী) রূপে গড়ে তোলে। (সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২০/ হাদিস নম্বরঃ ১২৭৬)।
আল্লাহর ফিতরাত (স্বাভাবিক রীতি বা দ্বীন ইসলাম), যার উপর (চলার যোগ্য করে) তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রূমঃ ৩০)।
কুরআন ও হাদীসে ফিতরাত দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে:
১. ইসলাম। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: প্রত্যেক সন্তান ফিতরাতের ওপর জন্ম গ্রহণ করে। অর্থাৎ ইসলামের ওপর জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর পিতা-মাতা তাকে ইয়াহূদী বানায় অথবা খ্রিস্টান বানায় অথবা অগ্নিপূজক বানায়। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৫৮, সহীহ মুসলিম হা: ২৬৫৮)।
২. রাসূলদের সুন্নাত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছেন যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: পাঁচটি কাজ করা ফিতরাতের অন্তর্ভুক্তন খাতনা করা, নাভির নিচের পশম পরিস্কার করা, বগলের পশম তোলা, নখ খাট করা ও গোঁফ খাট করা। (সহীহ বুখারী হা: ৫৮৮৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৫৭)।