শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১) যে কোন রকমের মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে। ২) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যেকোন ওষুধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে। ৩) আসক্ত ব্যক্তি/ আসক্ত বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। (যতড়্গণ পর্যন্ত না চিকিৎসা গ্রহণ করে তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে নতুন জীবন গ্রহণ শুরু করেছে। ৪) যখনই নেশার ইচ্ছা হবে/ নেশার কথা মনে হবে তখন যেন আসক্ত ব্যক্তি নেশা জীবনের অসহায় অবস্থাগুলোর কথা মনে করে। ৫) মিথ্যে বলার অভ্যাস দূর করতে হবে। ৬) হঠাৎ কোন অনুষ্ঠানে / যেকোন পরিস্থিতিতে বন্ধুরা ড্রাগ/ রাসায়নিক দ্রব্যগ্রহণ করতে বললে "না" বলা শিখতে হবে। (কারণ আসক্তরা মাদকদ্রব্য পেলে সহজে "না" বলতে পারে না এটা অনেকটা পাহাড় থেকে পড়ন্ত্য পাথরকে ঠেকানো যেমন কষ্টকর তেমনি চিকিৎসার পর একবার মাদকদ্রব্য ব্যবহার শুরম্ন করলে তার নিয়ন্ত্রণও কষ্টকর)। ৭) মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে পুনরায় ভারসাম্য অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অভ্যাসের প্রয়োজন যা অল্পদিনে সম্ভব নয়। ৮) মস্তিষ্কের বিচার করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এটিকে পুনরায় স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আনসে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধন শক্ত হতে হবে। ৯) মাদকাসক্তি সম্বন্ধে সঠিক তথ্য জানা থাকতে হবে। ১০) জীবনের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। ১১) যে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করার কৌতূহল কমাতে হবে। কারণ মাদকাসক্তির প্রধান কারণ হিসেবে এখনো কৌতূহল ও দুঃসাহসিক মনোভাবকে বিবেচনা করা হয় (বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে)। ১২) সিগারেট যে এক ধরনের মারাত্মক নেশা, সিগারেটের মধ্যেও যে অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো থাকে সে ধারণা করতে হবে। ১৩) জীবনের স্বাভাবিক অবস্থাকে মেনে নেয়ার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। নিজের পরিবার এবং পরিবেশ থেকে আনন্দ পেতে শিখতে হবে। ১৪) নিজের আবেগ দমন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আবেগের প্রভাবই নেশার দিকে নিয়ে যায়। ১৫) মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ভুলধারণাগুলো শোধরাতে হবে। ১৬) বাস্তবে পাওয়া দুঃসাধ্য এমন কিছু চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুবা ব্যক্তি অন্যান্য সহজ, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে অথবা সে জীবনের অন্যান্য দিকগুলো অবহেলা করতে শুরু করবে। ১৭) ব্যক্তির প্রতিদিনের সাধারণ দায়িত্বগুলি মেনে চলতে অভ্যস্ত হতে হবে। নিজের আগ্রহ হল সবকিছু। শুধু ইয়াবা নায় সকল প্রকার মাদক থেকে মুক্তি পাওয়া যায় যদি ইচ্চা থাকে........।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি এই সমস্যা থেকে নিজে থেকেই মুক্তি পাবার সিদ্ধান্ত নিলে এটাই আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী ঔষধ । এভাবেই মনে সাহস আর প্রতিজ্ঞা রেখে আগে নিজের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন আনুন । এরপর হচ্ছে চিকিৎসা আর সমাধান এর পথে এগিয়ে যাওয়া। ১) ভুলেও হঠাৎ করেই এটা বন্ধ করতে যাবেন না , এতে উল্টো আরও ক্ষতি হতে পারে । ২) মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা না নিতে চাইলেও একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নিন । ৩) যেসব বন্ধুদের সাথে বসে এটি নিতেন , তাদের কে সরাসরি এড়িয়ে যান , প্রয়োজনে যোগাযোগ বন্ধ করে দিন , তাদের ফোন নম্বর ডিলিট, ব্লক করুন । নিজের নম্বরও চেন্জ করুন । ৪) যাদের কাছ থেকে ইয়াবা কিনতেন , যতগুলো লিংক আপনার জানা আছে সবার নম্বর ডিলিট করুন । ৫) বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এন্টি-ডিপ্রেশন , ভিটামিন , ঘুমের ঔষধ বা এরকম কিছু যেসব ঔষধ দিবে  ,দীর্ঘমেয়াদি ঔষধ হলেও ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত ঔষধ আর পুষ্টিকর খাবার খাবেন । ৬) বাসায় একা থাকবেন না । ৭) মন ভালো হয়ে যায় এরকম মুভি দেখুন , গান শুনুন ৭) পরিবার প্রথমে একটু অস্বস্তিকর আচরন করলেও , পরিবারের সাথেই বেশীরভাগ সময় কাটান । ৮) ইয়াবার সাইড ইফেক্টস গুলো জানুন, ব্যাপারগুলো খুব গুরুত্বের সাথে জানুন, বুঝুন, চিন্তা করুন , ৯) ক্যালকুলেশন করুন এই জিনিসটির জন্য কি কি ভুল , অপরাধ করেছেন ; যা আপনি সুস্থ অবস্থায় হয়তো করতে পারতেন না ১০) সর্বাপরি মনে জোর রেখে চিকিৎসা নিন । ১১) প্রতিজ্ঞা করুন সুস্হ হবার পর আবারও এরকম কিছুতে জড়াবেন না । ১২) আল্লাহ্ সর্বশক্তিমানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ