আমি ধূমপানের বিকল্প হিসাবে চা কফি কিংবা উপাদেয় জুস এসব পান করার কথা ভাবুন। কারণ আপনি যদি কিছু না কিছু পান করেন আর খুব বেশি চিন্তা না করেন তবে নিকোটিনের নেশা ভুলে যেতে পারবেন।
ব্যস্ততা বাড়ালে তা আপনার জন্য অনেকটাই কাজে দেবে। ব্যস্ত হয়ে উঠলেই আপনি ভুলে যেতে পারেন নিকোটিনের লোভ। তবে কাজের ফাঁকে সব সময় মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। সেসব খাবার ভুলিয়ে দেবে আপনার নিকোটিনের নেশা।
নিজেকে ধূমপান থেকে বিরত রাখার উপায় অনেক। তবে নিজে ঠিক না হলে তেমন কোন লাভ নেই। বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দেয়ার ফলাফল হচ্ছে ধূমপানের প্রারম্ভিক পর্ব। তাই সেই বন্ধুদের সাথে কিছুদিন না মিশে দেখুন যারা ধূমপান করেন।
ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি বৃদ্ধি, মস্তিস্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে ধূমপানের।
অনেকেই ধূমপান নামক এই ঘাতককে চিরতরে নির্বাসনে দিতে চান কি‘ নানা কারণে ধূমপান আর ছাড়া হয় না। বিশেষজ্ঞগণ ধূমপানের আসক্তি থেকে নিজেকে রক্ষার ১৩টি উপায় বলে দিয়েছেন। এসব অনুসরণ করলে অবশ্যই ধূমপান ছাড়া সম্ভব।
এই ১৩টি উপায় হচ্ছে-
১) প্রথমে সিদ্ধা- নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। অর্থাৎ কি কারণে ধূমপান ছাড়তে চান। যেমন ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কামাতে।
২)কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিকনয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে।
৩) নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
৪)নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
৫) একা একা ধূমপান না ছেড়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য (যদি ধূমপায়ী থাকেন), বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের উৎসাহিত করে একসঙ্গে ধূমপান ত্যাগের ঘোষণা দিন।
৬)মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন।
৭)অ্যালকোহল পরিহার করুন।
৮)মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ঘর পরিষ্ক্ষার করতে চেষ্টা করুন।
৯)ধূমপান ত্যাগের জন্য বার বার চেষ্টা করুন। একবার ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বার আর ধূমপান করবেন না।
১০)নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
১১)প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন ফলমুল খান।
১২) ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন।
১৩)আর ধূমপান ছাড়-ন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই এটা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।
এছাড়াও আপনি নিচের স্ক্রিনশটটি ফলো করুন
দেখুন সিগারেট খাওয়া কতটা ক্ষতিকর।
স্ক্রিনশটটি << সমন্বয়ক মিলন আহাম্মেদ>> এর উত্তর
থেকে নেওয়া।
ধন্যবাদ।
যদি আপনার ইচ্ছা থাকে এবং আপনি চাইলে অবশ্যই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে পারবেন ।একটু চিন্তা করুন ।ধরুন আজকে সিগারেট খাচ্ছেন ৫টা ।যদি ৫টার চেয়ে কাল থেকে ৪টা করে খান তবে খুব কষ্ট হবে বলে মনে হয় না ।এভাবে এক সপ্তাহ ৪টা করে সিগারেট খান ।এখানে সুবিধা এক সপ্তাহে ৭টা সিগারেট কম খেলেন ।তার পর সপ্তাহে ৩টা করে চালিয়ে গেলেন ।এভাবে পর সপ্তাহে ২টা অতঃপর শেষে ১টা এভাবে কমিয়ে ফেলুন ।তারপর দুই তিনদিন পর একটা খান ।অবশেষে সিগারেট খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন ।এক্ষেত্রে সুবিধা হলো অনেক বেশি ।নিকোটিন এর নেশা একেবারে ছাড়া যায় না ।তাই আস্তে আস্তে ছাড়তে হয় ।আবার যখন সিগারেট খাওয়া কমিয়ে ফেলবেন তখন শরীর হতে অনেক রোগ দূরে সরে যাবে এবং আপনি ভালো অনুভব করবেন ।তখন সিগারেট এর কুফল ভালোভাবে বুঝবেন এবং এটা হতে বিরত থাকবেন ।তবে কখনো সিগারেট এর সংখ্যা বাড়াবেন না ।আমার মতে এ পদ্ধতিটাই আপনার জন্য বেস্ট হবে ।