কাটা দাগ দুর করতে নিজের তৈরিকৃত পেষ্ট ব্যাবহার করুন। দুই চামচ বেসন, ১ চিমটে হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো এবং ১ চামচ কমলার খোসা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেষ্ট তৈরী করুন। এবার এটা দাগে ভাল করে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করুন। দাগ দূর হবে এবং কাঁটা, ছিলে দাগ দূর করতে medrama ক্রীম টি ব্যবহার করতে পারেন।
→কাটা দাগ দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি : ১. লেবুর রস:একটি টাটকা লেবু দু’টুকরো করে নিন। তারপর কাটা দাগের উপর লেবুর টুকরো ঘষে নিন। লেবুর রস সেইদাগ দূর করবে কয়েক দিনের মধ্যে। ২. বরফের টুকরো:দাগ দূর করার অন্যতম সহজ ঘরোয়া উপায় এটি। একটি বরফের টুকরো নিয়ে দাগের উপর কিছুক্ষণ ঘষে নিতে হবে। ৩. অ্যালোভেরা:ফ্রেশ অ্যালোভেরার জেল দাগের উপর লাগান। কয়েকদিন এর ব্যবহারেভালো ফল পাবেন।
দাগ দূর করার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে সহজ সমাধান চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ঘোলঃ ঘোলের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা বাদামি দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে শরীরের বাদামি জায়গায় ঘোল মাখিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রসঃ এতে রয়েছে বিশেষ উপাদান। যা শরীরের গাঢ় দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও চাইলে গোটা লেবু মাঝ বরাবর কেটে আক্রান্ত স্থানে ঘষতে পারেন। গোসলের আগে এই অভ্যাস শরীরের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। ডিমের কুসুমঃ এটা হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং উজ্জ্বলতাবর্ধক। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। ক্যাস্টর অয়েলঃ যা রেড়ির তেল নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে শোষণকারী উপাদান। যা বার্ধক্যজনিত দাগ দূর করে। ভালো ফলাফলের জন্য এই তেল তুলোয় মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। চন্দনঃ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে চন্দনের জুড়ি নেই। চন্দনগুঁড়া, গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীঃ বিভিন্ন চর্মরোগের সমাধান দিতে পারে অ্যালোভেরা। এটা শরীরের পোড়াদাগ দূর করতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করে ৪৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন দুবার, টানা একমাস এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। চিনিঃ ত্বকে চিনি ঘষার মাধ্যমে মৃত কোষ দূর করা যায়। চিনির মধ্যে ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান থাকে যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। পেঁপেঃ এই ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম যা ত্বকের কালিমা দূর করে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে তাজা পেঁপে ঘষে মিনিট বিশেক পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে দুবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বেকিং সোডার ব্যবহার: ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডায় পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে ফেলুন। এরপর এই পেস্ট দাগের উপরে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহারেই দ্রুত দাগের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।কাঠবাদামের ব্যবহার: ৩ টি কাঠবাদাম পুরো রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কাঠবাদামের উপরের বাদামী পাতলা খোসা ছাড়িয়ে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এই পেস্ট নিয়মিত লাগান দাগের উপরে। খুব দ্রুত ফলাফল নজরে পড়বে।
•দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করুন। এতে নতুন কোষ গঠন হয় দ্রুত। •একটি তুলোর বল গ্রিন টি তে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিন। দাগ হালকা হবে। •আক্রান্ত স্থান মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন দিনে ৬/৭ বার করে প্রতিদিন। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাগ দূর করে। •ভিটামিন ই তেল কিংবা ক্যাপস্যুল ভেঙে আক্রান্ত স্থানে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। চামড়ার উঁচুনিচু ভাব দূর করে মসৃণতা ফিরিয়ে আনবে •একটি কলা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ দূর হতে সাহায্য করবে।