মুখ ভালভাবে পরিষ্কার করুন : মুখ ভালভাবে ধোয়া হল তৈলাক্ত ত্বকের যত্নের মূল চাবিকাঠি । এমনভাবে মুখ ধুতে হবে যাতে মুখের অতিরিক্ত তেল উঠে যায় কিন্তু লিপিড অথবা গ্রন্থির ভিতরের পুরা তেল উঠে না যায় ।কারণ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল ও লিপিড আমাদের দরকার ।তাই যেই ক্লিনজার ব্যবহার করবেন তা যেন মৃদু সিনথেটিক ডিটারজেন্ট হয় (মুখের জন্য তৈরী) এবং যেটা তেল ,মোম এবং লিপিডমুক্ত যেন থাকে ।এটি মুখকে শুষ্ক না করেই অতিরিক্ত তেল ধুয়ে ফেলে।মৃদু সাবান এবং আইভরি অথবা প্রাকৃতিক সাবান ব্যবহার করা ভাল ।দিনে ২/৩ বার মুখ ধোবেন এর বেশীনা ।মুখ ধোয়ার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন ।মুখ অনেক ঘসবেন না ধোয়ার সময় ।শুধুমাত্র হালকা ম্যাসাজ করে নিবেন মশ্চারাইজার : মৃদু , তেল মোম ও লিপিডমুক্ত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন । তৈলাক্ত ভাব দূর হবে সব সময়ে ফ্রেশওয়াস দিয়ে মুখ সাফ করবেন ময়লা তৈলাক্ত ভাব একদম চলে যাবে
তৈলাক্ততা দূর করার কয়েকটি সহজ উপায় -শশার রস তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। – কলা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দুর করায় বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এজন্য একটা পাকা কলার পেস্ট এর সাথে ১ টেবিল চামুচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। -এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না। – গ্রিন টি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করায় বেশ উপকারি। এই গ্রিন টি দিয়ে সহজেই একটি মাস্ক আপনি তৈরি করে নিতে পারেন মুখে মাখার জন্য। এজন্য আপনাকে ২ টেবিল চামচ গ্রিন টি এর সাথে ১ টে. চামচ মুলতানি মাটি, ১ টে. চামচ মধু ও এক চা চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। মুখে মাখুন। ২০ মিনিট রেখে দিন। ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রাতে করা ভালো। -গোলাপ জল, লেবুর রস সমান পরিমাণে নিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে আধ ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আলতো ভাবে তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন ধীরে ধীরে। এতে ব্রণ এবং ফুসকুড়ির দাগ উধাও হয়ে যাবে। – প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি আপনার বকের তৈলাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে। ডাক্তারদের মতে প্রতি দিন ৮ থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা শরীরের জন্য খুব উপকারী। (সংগৃহীত)