যদি কেউ অভিনয় করে, আদর করে স্ত্রীকে আম্মা ডাকেন তা গুনাহ কি?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আলেমদের মতে, তিনি যে ভাবে এই কথা বলুক না কেনো. তার বৌউ তালাক হয়ে যাবে.. আপনি বৌউকে এটাও বলতে পারবেন না যে তুমি দেখতে আমার মায়ের মত...

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

স্ত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করা হল জিহার করা ।কেহ যদি তার স্ত্রীর কোন অঙ্গ মায়ের অঙ্গের সাথে তলনা করা হলে স্ত্রীর সেই অঙ্গ স্বামির জন্য হারাম হয়ে জাবে সেই অঙ্গটা কেটে ফেলতে হবে নতুবা কৃত দাস আযাদ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্ত্রীকে মায়ের সাথে অথবা মায়ের কোন অংগের সাথে তুলনা করাকে ‘যিহার’ বলে। প্রাচীন আরব সমাজে স্ত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করার মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হত। ইসলামে এর মাধ্যমে সরাসরি বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় না। তবে অসঙ্গত কথা বলার কারণে কাফফারা দিতে হয়।

কেউ কাফফারা আদায়ের পূর্বে সহবাস করে ফেললে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবে ও আল্লাহ তাআলার নির্দেশের অবাধ্য হবে, তাকে অবশ্যই তাওবা করতে হবে, তবে কাফফারা মাফ হবে না।

আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে যিহার করে তারা যেন জেনে রাখে যে, তারা তাদের মা নয়। তাদের মা তো তারাই যারা তাদের প্রসব করেছে। তারা তো কেবল অসঙ্গত ও মিথ্যা কথা বলে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী। (সুরা মুজাদালাহঃ ২)।

নিজের স্ত্রীকে অথবা তার কোন অঙ্গকে ‘মা’ এর সাথে অথবা ‘স্থায়ীভাবে বিবাহ হারাম’ এমন কোন মহিলার পৃষ্ঠদেশ তুল্য বলে আখ্যায়িত করাকে যিহার বলে।

একথা বলার উদ্দেশ্য হল, মায়ের সঙ্গে মেলামেশা যেমন হারাম স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশাও তদ্রুপ হারাম করা। আরবে জাহেলী যুগ হতে যিহার প্রথা চলে আসছে। জাহেলী যুগে যিহারকে তালাক বলে গণ্য করা হত। যিহারের পর স্ত্রীকে আর ফিরিয়ে নেয়ার অবকাশ ছিল না।

কিন্তু ইসলামী বিধানে যিহার দ্বারা তালাক হয় না; কেবল কাফফারা ফরয হয়। কাফফারা পরিশোধ না করা পর্যন্ত স্ত্রী সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ থাকে। কাফফারা পরিশোধের পর যথারীতি ঘর সংসার করা যায়। কাফফারা পরিশোধ না করা পর্যন্ত যিহারকারী স্ত্রীকে স্পর্শ করতে পারবে না।

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে যিহার করে, তারপর তাদের উক্তি প্রত্যাহার করে নেয়, তাদের জন্য পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একজন দাস মুক্তির বিধান দেয়া হল। এটা তোমাদের জন্য নির্দেশ। আর তোমরা যা কিছু কর তৎসম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। অনন্তর যে উহার সামর্থ্য রাখে না তাকে পারস্পরিক স্পর্শের পূর্বে একটানা দু’মাস ছিয়াম রাখতে হবে। যে তারও সামর্থ্য রাখে না তাকে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে। এই বিধান এজন্য যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে তোমরা যেন ঈমান রাখ। এটা আল্লাহর সীমারেখা। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (সুরা মুজাদালাঃ ৩-৪)।

যিহার একটি অমানবিক কাজ। এধরণের অর্থহীন, অপ্রাসঙ্গিক বাক্য উচ্চারণ কোন সময়ই উচিত নয়। এ ধরনের গর্হিত বাক্য বিনিময় থেকে সম্পূর্ন বিরত থাকা উচিত।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ