না, এতে গুনাহ হবেনা এবং কোনরুপ অপরাধবোধও রাখার দরকার নেই। কিছু অজ্ঞ মানুষ বলে এতে স্ত্রী হারাম (মা) হয়ে যায়, কিন্তু এটা একদমই ভুল ধারণা। মা হওয়ার শর্ত পূরণ করতে হলে অবশ্যই ২ বছর বয়স পার হবার আগে দুধ পান করতে হবে, আর ৫ বার পান করতে হবে। আপনি যদি ৫+ বারও দুধ পান করে ফেলেন তবুও সমস্যা নেই, কারন অপর শর্তটি এখানে অকার্যকর। তবুও ইচ্ছাকৃতভাবে একাজ করা অনুচিত।
রতিক্রীড়ার সময় স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেটে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর মা হয়ে যাবে না। কারণ দুধ পান করিয়ে “মা” হওয়ার দুটি শর্ত আছেঃ (এক) দুধ পান যেন বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার হয়। (দুই) দুধপান যেন দুধপানের বয়সের ভিতরে হয়। আর তা হল দুই বৎসর বয়সের ভিতরে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমি তো মানুষকে তার পিতা মাতার প্রতি সদাচারনের নির্দেশ দিয়েছি। জননী কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দু বছর অতিবাহিত হয়।” (লুকমানঃ ১৪) জননীগণ তাঁদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে; যদি কেউ দুধ পান করার সময় পূর্ণ করতে চায়। (বাকারাহঃ ২৩৩) সুতরাং দু'বছর বয়সের পরে দুধপান করলে মা প্রমাণিত হবে না। আর ‘মা’ প্রমাণিত না হলে স্ত্রী হারাম হবে না। (ইবনে উষাইমীন)
স্ত্রীর স্তন ধরা ও চোষন করা স্বামীর জন্য বৈধ, আর চোষন করতে গিয়ে যদি স্বামীর পেটে স্ত্রীর দুধ চলে যায় তাতে বিবাহের মাঝে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কেননা কোরআন সুন্নাহর আলোকে এটিকে হারাম বলা হয়নি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে স্ত্রীর দুধ পান করা মাকরুহ থেকে খালি নয় বিস্তারিত দেখুন নিচের লিংকে http://m-islah.blogspot.com/2015/03/blog-post_6.html?m=1
স্ত্রী স্তনের দুধ পান করা একটি মারাত্মক গোনাহের কাজ। একাজ থেকে বিরত থাকুন। দলিল: ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ – ﻭَﺍﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﺍﺕُ ﻳُﺮْﺿِﻌْﻦَ ﺃَﻭْﻻَﺩَﻫُﻦَّ ﺣَﻮْﻟَﻴْﻦِ ﻛَﺎﻣِﻠَﻴْﻦِ ﻟِﻤَﻦْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺃَﻥ ﻳُﺘِﻢَّ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ -233 ) ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – ( ﻭﻟﻢ ﻳﺒﺢ ﺍﻹﺭﺿﺎﻉ ﺑﻌﺪ ﻣﺪﺗﻪ ) ﻷﻧﻪ ﺟﺰﺀ ﺁﺩﻣﻲ ﻭﺍﻻﻧﺘﻔﺎﻉ ﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮ ﺿﺮﻭﺭﺓ ﺣﺮﺍﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﻣﻊ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ -ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺮﺿﺎﻉ – 4/397 ) প্রামান্য গ্রন্থাবলী ১. সূরা বাক্বারা-২৩৩ ২. সূরা আহকাফ-১৫ ৩. ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৯৭ ৪. তাফসীরে মাযহারী-১/৩৫৬ ৫. কেফায়াতুল মুফতী-৫/১৬২ সূএঃ http://trickbd.com/hadith-quran/145029
নিজের স্ত্রীর বুকের দুধ খাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি?.এখানে উল্লেখ্য যে,আমার একটি নবজাতক রয়েছে এবং সে খাওয়ার পরেও দুধ উদ্বৃত্ত্ব থেকে যায়… বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব. জবাব: بسم الله الرحمن الرحيم নিজের স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হয়না। কারণ সর্বোচ্চ ২বছর বয়সে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর পান করলে হয়না। তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা আপনার স্ত্রী আপনার উপর হারাম হয়ে যায়নি। কিন্তু স্ত্রী স্তনের দুধ পান করা একটি মারাত্মক গোনাহের কাজ। একাজ থেকে বিরত থাকুন। দলিল: قوله تعالى- وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلاَدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ (سورة البقرة-233 وفى رد المحتار-( ولم يبح الإرضاع بعد مدته ) لأنه جزء آدمي والانتفاع به لغير ضرورة حرام على الصحيح (الدر المختار مع رد المحتار-كتاب النكاح، باب الرضاع-4/397 প্রামান্য গ্রন্থাবলী ১. সূরা বাক্বারা-২৩৩ ২. সূরা আহকাফ-১৫ ৩. ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৯৭ ৪. তাফসীরে মাযহারী-১/৩৫৬ ৫. কেফায়াতুল মুফতী-৫/১৬২ والله اعلم بالصواب