আমার জানামতে মানব জাতী সৃষ্টির পূর্ব থেকেই জ্বীন জাতী সৃষ্টি হয়েছে এবং এখনও এরা বিদ্যমান কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাইনা। পবিত্র কুরআন এবং বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমানিত জ্বীন জাতী মানুষকে উপকারও করে আবার ক্ষতিও করে কিন্তু এরা কোথায় বসবাস করে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। বয়বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায় আগে বিভিন্ন লোককে পরীরা নিয়ে যেত পরিস্থানে। আসলে পরিস্থান বলতে কি কোন স্থান আদৌ আছে কি এবং এই পরি কি জ্বীনের স্ত্রীলিংগ? বিভিন্ন স্থানে দেখেছি জ্বীন টানা অথবা হাজির করানো হয়, তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র এমনকি ঔষধও জ্বীন দিয়ে দেয় এবং তারা যাওয়ার সময় যে কোন আলামত রেখে যায় এবং যে যা খেতে চায় সেটা দিয়ে যায় যেমন: কাচা এলাচ, বাতাসা, মিষ্টি এরকম আরও অনেক কিছু? আসলেই কি জ্বীন বা পরী বশে আনা যায়? কেউ কেউ বলে সুরা জ্বীন গভীর রাতে 7 বার পাঠ করে ঘুমালে পর দিন জ্বীন তার সাথে দেখা দেয়। এ রকম আরও আছে যে, সুরা জ্বীন একবারে 300 বার পাঠকরলে জ্বীনের বাদশা ঐ ব্যক্তির গোলাম হয়ে যায় এছাড়াও বিভিন্ন তাবিজের বইতে দেখা যায় বিভিন্ন আয়াত লেখা থাকে এবং সেই আয়াত মেস্ক জাফরান কস্তরি দ্বারা সাদা কপড়ে লিখে সেই কাপড় আগুনে পোরালে নাকি জ্বীন এবং পরী বশে আসতে বাধ্য। কিন্তু আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তরে আমি দেখেছি আপনারা লিখেছেন জ্বীন বা পরী বশে আনা যায় না। আমি পবিত্র কুরআনের আলোকে আপনাদের নিকট থেকে এর সদুত্তর আশা প্রার্থী।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
makahjad

Call

কোরআন অনুযায়ী বুঝলাম মানব জাতী ও জ্বীন জাতী সৃষ্টি করা হয়েছে একত্রে। এবং এখনও এরা বিদ্যমান কিন্তু আমরা তাদের দেখতে পাইনা। পবিত্র কুরআন এবং বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমানিত জ্বীন জাতী মানুষকে উপকারও করে আবার ক্ষতিও করে কিন্তু এরা কোথায় বসবাস করে সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। বয়বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায় আগে বিভিন্ন লোককে পরীরা নিয়ে যেত পরিস্থানে। আসলে পরিস্থান পরিদের আস্হানাকে বুঝানো হয়েছে। পরি জ্বীনের স্ত্রীলিংগ।বিভিন্ন স্থানে দেখেছি জ্বীন টানা অথবা হাজির করানো হয়, তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, মানুষের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র এমনকি ঔষধও জ্বীন দিয়ে দেয় এবং তারা যাওয়ার সময় যে কোন আলামত রেখে যায় এবং যে যা খেতে চায় সেটা দিয়ে যায় যেমন: কাচা এলাচ, বাতাসা, মিষ্টি এরকম আরও অনেক কিছু। আসলেই জ্বীন বা পরী বশে আনা যায়। যেমন হযরত সোলেমা আঃ সঃ বসে এনেছেন।জ্বীন ও জ্বীনের বাদশা হাজিরের বিষয়টি স্পস্ট্র নয়। তবে মানাব জাতি ষেষ্ঠ জাতি কোরআনের কথা, তাই হাজির করতেও পারা যায়। কিন্তু আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তরে আমি দেখেছি আপনারা লিখেছেন জ্বীন বা পরী বশে আনা যায় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
usmanahmad

Call

জ্বী  কোরআন হাদিস দ্বারা জীনের অস্তিত্ব এবং উপকার অপকারের কথা প্রমাণিত। তাদের অবস্থান বাথরুম,কবরস্থান,সমুদ্র হয়।(আবু দাউদ ১ম খন্ড ৪/৬ নং পৃষ্ঠা,হায়াতুল হাইওয়ান)।তাদের স্ত্রী লিঙ্গধারীদের কে পরী বলা হয়।পরি ছেলেকে,জ্বীনরা মেয়েদেরকে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।জীনদেরকে বশে আনা যায়।তবে আনার পন্থা ভিন্ন আছে।বর্ণিত পন্থায় নিজে সাধন করে জীনকে বশে আনা মানে মৃত্যুকে ডেকে আনা।এই জন্য একজন জীন সাধক বা তাবিজ প্রদানকারী আলেম থেকে অনুমতি আনতে হবে।এবং তার বাতলে দেয়া পন্থায় সাধনা করতে হবে।যখন তারা বশে চলে আসে তখন সে ঐ ব্যক্তির ভিতর দিয়ে হাজির হতে পারে।মনে রাখতে হবে,মানুষের রক্তের সাথে জীনরা মিশতে পারে।বিধায় অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।জীনকে বশে আনা যায়না ইহা স্রেফ মনগড়া কথা।সুরা জীনের শানেনুজুল এবং এর তাফসীর পড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে,হযরত সুলাইমান আঃ র বশে জীন ছিলো।মিশকাত শরীফ কিতাবুল ফিতান বাবুদ দাজ্জালের পরে এক বাব আছে,রাসুল সাঃ র জামানার একটি বাচ্চার ঘটনা আছে,যার জীন বশে ছিলো এবং রাসুল সাঃ ও মেনে নিয়েছিলেন।গণকের হাদিসের তাশরীহ পড়লে এমনকি হাদিসই পড়লে সুষ্পষ্ট হয়ে যায় জীন বশে আনার কথা।বিধায় বশে না আসার কথা স্রেফ মনগড়া।।।। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ