শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
manik

Call

ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো বিশেষ সামগ্রী নয়। ক্লাউড কম্পিউটিং একটি বিশেষ পরিসেবা। এই উন্নত পরিসেবাটি কিছু কম্পিউটারকে গ্রিড সিস্টেম এর মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে।

আপনি এই লিঙ্ক থেকে সম্পূর্ণরূপে জানতে পারবেন। এখানে রাগিব হাসান অত্তান্ত সুন্দর ভাবে বিষয়টি ব্যখা করেছেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল ধারণা অনেক গুলো কম্পিউটার টার্মিনাল কে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করে কোনো বড় কম্পিউটার বা ডাটা সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করা. এর প্রধান সুবিধা হছে একই সময়ে অনেক যুক্ত কম্পিউটারে একই সাথে একটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন ক্লাউড এ সংযুক্ত বড় শক্তিশালী কোনো কম্পিউটার এর মাধমে চালানোর ক্ষমতা লাভ করা. সোজা কথায় বলা যেতে পারে ক্লাউড আপনাকে ভার্চুয়ালি একটি বিশাল শক্তিশালী কম্পিউটার এর সেবা বা ফাইল সেভ করার ক্ষমতা দিবে আপনার ক্ষুদ্র ট্যাবলেট বা টার্মিনাল দিয়ে. আবার ধরুন আপনি একটা বিশাল সফটওয়্যার আপনার কোম্পানির জন্য রান করতে চান কিন্তু সেটা সাপোর্ট করার মত প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার আপনার নেই বা খরচ করতে চাচ্ছেন না. সে ক্ষেত্রে আপনি ক্লাউড কনসেপ্ট এ কোনো সেবাপ্রদানকারীর কাছ থেকে এই সার্ভিস নিতে পারেন. সে ক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি আপনি সফটওয়্যার রান করবেন অন্য একটি হার্ডওয়্যার এ আপনার টার্মিনাল দিয়ে.উচ্চ ক্ষমতা নেটওয়ার্ক, কম খরচে কম্পিউটার এবং স্টোরেজ ডিভাইসের বর্তমান প্রাপ্যতা, টেবলেট এর জনপ্রিয় ব্যাবহার আমাদেরকে হার্ডওয়্যার ভার্চুয়ালাইজেশন এর দিকে ধাবিত করছে. আমার মতে ক্লাউড খুব শিগগিরই প্রচলিত কম্পিউটিং দখল করে নিবে.

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কম্পিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে, ক্রেতার সুবিধামতো চাহিবামাত্র এবং ব্যবহার অনুযায়ী ভাড়া দেয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। ক্লাউড কম্পিউটিং হলো পুরানো কিছু প্রযুক্তিকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে ক্লাউডে।l বর্তমানের অধিকাংশ ক্লাউড আসলে খুব বড় আকারের ডেটা সেন্টার, যেখানে হাজার হাজার সার্ভার র‍্যাকে করে সাজানো থাকে, লাখ লাখ ডলার খরচ করে তাদের ঠান্ডা রাখতে হয়। কিন্তু এই হাজার হাজার সার্ভার দিয়ে অজস্র ক্লায়েন্টের জটিল সব সমস্যার সমাধান অনেক সহজে করা চলে। ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ক্রেতার তথ্য ও নানা এপ্লিকেশনকে কোনো সেবাদাতার সিস্টেমে আউটসোর্স করার এমন একটি মডেল যাতে ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে - (১) “যত চাই, ততই পাই” বা রিসোর্স স্কেলেবিলিটি – ছোট হোক, বড় হোক, ক্রেতার সব রকমের চাহিদাই মেটানো হবে, ক্রেতা যতো চাইবে, সেবাদাতা ততোই অধিক পরিমাণে সেবা দিতে পারবে। (২) “চাহিবা মাত্রই” বা অন-ডিমান্ড সেবা – ক্রেতা যখন চাইবে, তখনই সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার ইচ্ছা মত যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে। (৩) পে-অ্যাজ-ইউ-গো – বাংলায় বলতে গেলে “ফেলো কড়ি, মাখো তেল” পেমেন্ট মডেল। অর্থাৎ ক্রেতাকে আগে থেকে কোনো সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে, তার জন্যই কেবল পয়সা দিবে। আরও সহজ ভাবে --- ন: ধরুন আপনার এখন মাইক্রসফ্ট অফিস দরকার কাজের জন্য কিন্তু আপনার পিসিতে তা নেই :( তাই আপনি ইন্টার্নেটের মধ্যমে কোন একটি সর্ভিস প্রভাইডারের সাথে ফ্রি/ অর্থের বিনিময়ে কানেক্ট হবেন যা আপনাকে মাইক্রসফ্ট অফিস ইনভাইরনমেন্ট দেবে ব্যবহারের জন্য। -এটাই হল ক্লাউড পম্পিউটিং অর্থাৎ সার্ভিস পাবার জন্য আপনার কোন হেভি সেটাপের প্রয়োজন হবে না। ধরুন আপনার ১৬/ ৩২ কোর প্রসেসরের প্রসেসিং পাওয়ার দরকার কোন বড় কেককুলেশনের জন্য আর ক্রাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে (সাধারন পিসি থেকেই) আপনি তা কমমূল্য (হয়ত ঘন্টা হিসেবে) ই ঐ সার্ভিস পেতে পারেন। এখন ক্লাউড সার্ভিস প্রভাইডার রা যে সার্ভার ব্যবহার করে তাই ক্লাউড ডার্ভার। ধরুন আপনার পিসি পেন্টিয়াম ৩ মেশিন কিন্তু আপনি একই গেম খেলটে চান যার জন্য কোয়ার্ড কোর মেশিন দরকার। আপনি ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে অতি সহজেই ঐ গেমটি অনলাইনে খেলতে পারবেন কারন গেমটি যে রিমোট সার্ভারে চলছে (ক্লাউড সার্ভার) তা হয়ত ১২৮-২৬৫ কোরের কোন মেশিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ