জীবনে বহুবার ধূমপান ছেড়ে দেবার চেষ্টা করেছি। ৩ দিন ৭ দিন। ১০ দিন, ১৫ দিন, ১ মাস পর আবার শুরু করেছি। এবার চাচ্ছি চিরতরের জন্য ধূমপান ছেড়ে দিব। কিন্তু কিভাবে সম্ভব?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
#1 কাজের চাপ! সময় নেই খাওয়ার! শুধু ধূমপান করার সময়টুকু বের করে নিতেই হয়। না হলে যে কিছুতেই হালকা লাগে না। মাথায় যে কাজের প্রেসার কি আর করা যাবে। কিন্তু ধূমপান করার ফলে যাঁরা মনে করেন চাপ কিছুটা কমে তাঁরা সম্পূর্ণ ভুল ভাবেন। কারণ ধোঁয়া রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের মধ্যে চলে যায়। এছাড়া এটি মাথার মধ্যে গিয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ভাবছেন তো ছাড়বেন কীভাবে? কোনও অসুবিধাই নেই শুধু বদলে ফেলুন নিজের কিছু অভ্যেস।

তবে ওষুধ খেয়ে কখনওই ধূমপানের ইচ্ছাকে দমাবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কোনও ওষুধ না খেয়েই দেখে নিন কীভাবে দূর করবেন আপনার সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা...  

জোড়ে নিঃশ্বাস নিন
একটি ফাঁকা জায়গাতে বসে নিজের চোখ বন্ধ করে জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন। দুটো হাত পেটের ওপর রেখে নিঃশ্বাস ছাড়ুন এবং নিন দেখবেন এতে খুবই শান্তি অনুভব করবেন আপনি। চাপ কমবে এবং সিগারেট খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।

কল্পনা করুন
খুব বেশি চাপ অনুভব করলে নিজের চেয়ারে বা কোনও একটি ঘরে গিয়ে নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটান। কিছু ভালো ভালো কথা চিন্তা করুন। নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকুন, দেখবেন মাথা আবারও ঠিক ঠাক কাজ করতে শুরু করবে।

হেঁটে নিন
কাজের ফাঁকে গিয়ে কিছুটা হেঁটেও আসতে পারেন। অফিসের সামনে যদি মাঠ থাকে কিংবা করিডোর থাকে তাহলে সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ান। কিংবা নিজের কাছের মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন অথবা মা বাব্র খোজ খবর নিন। অথবা রাস্তার ধারে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকুন। দেখুন অন্যান্য মানুষ কীভাবে কাজ করছে। দেখবেন নিজের কাজের বাইরে বেরলে অনেকটা মন হালকা লাগবে।

এক্সাসাইজ
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের শরীর ঠিক রাখতে সাইকেল চালান অথবা সাঁতার কাটুন। দেখবেন এতে মন খুব সতেজ থাকবে। যখন আপনি নিজের মধ্যে পজিটিভ এনার্জি অনুভব করবেন তখন ধূমপান করার প্রবণতা আস্তে আস্তে কমে যাবে।

সময় বের করুন
কখনওই এক ভাবে বসে বসে কাজ করবেন না। যেই সময় ধূমপানের জন্য বরাদ্দ করেছেন সেই সময় কিছু অন্য কাজ করুন। যেমন ধরুন আপনার অফিসের কাছাকাছি থাকা কোনও কফি শপে ডেকে নিতে পারেন আপনার বন্ধুকে। এছাড়া গল্পের বই পড়ার অথবা ছবি তোলার অভ্যেস করুন। সিগারেট খেতে ইচ্ছে হলেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সিগারেটের ধোঁয়াও আর সহ্য হবে না।

বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন
এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন। অথবা যিনি আপনাকে সিগারেট খাওয়ার সময় সঙ্গ দেন তাঁর সঙ্গে কথা বলুন সিগারেট না খেয়ে শুধু কথা বলতে যান। তাঁর অভ্যাসও ধীরে ধীরে ত্যাগ করানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন তিনি না খেলে আপনারও আর খেতে ইচ্ছে করবে না।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি অভ্যাস হলো ধূমপান। কিন্তু এই হানিকারক অভ্যাস দূর করাটা বেশিরভাগ মানুষের জন্যেই ভীষণ কষ্টকর। ধূমপান ত্যাগ করতে গেলে সবচাইতে বেশি কষ্টের হলো উইথড্রয়াল সিনড্রোম। এতে অনেকখানি শারীরিক এবং মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যান ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তিটি। কিন্তু এমন কিছু বৈজ্ঞানিক উপায় আছে যাতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগের প্রক্রিয়াটি যেতে পারে নির্বিঘ্নে। দেখে নিন কার্যকর এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে ধূমপান ত্যাগের ১০টি কৌশল।

১) নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট

ধূমপানের কারণে শরীরে তৈরি হয় নিকোটিনের ওপরে নির্ভরশীলতা। আর তাই ধূমপান হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে শরীর নিকোটিন থেকে বঞ্চিত হয় এবং দেখা যায় বিভিন্ন লক্ষণ। শরীরে যদি অন্য কোনও উপায়ে নিকোটিনের সরবরাহ দেওয়া যায় তবে ধূমপানের ওপরে নির্ভরশীলতা কমে আসে। এর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে নিকোটিন প্যাচ বা নিকোটিন চুইং গাম।

২) একটা দিন ঠিক করে ফেলা

ভাবুন আপনার একটা পরীক্ষা আছে, তাহলে আপনি সেই পরীক্ষার জন্য আগে থেকেই পড়াশোনা করবেন অনেক, তাই না? ঠিক সেভাবে একটা দিন ঠিক করুন যার মাঝে ধূমপান ছারতে হবে আপনার। তাহলে আপনার মাঝে একটা তাগিদ থাকবে। তবে দিনটা বেশি প্রলম্বিত করবেন না। ঠিক করে রাখুন আপনি ছয় মাস বা এক বছরে পরের কোনও একটি দিনের মাঝে ধূমপানের অভ্যাস পুরোপুরিভাবে ছেড়ে দেবেন।

৩) কখন কখন ধূমপান করছেন তা লিখে রাখুন

একটা নোটবই নিন। যতবার ধূমপান করছেন ততবার লিখে রাখুন। এরপর সেই লেখাটা দেখলেই নিজের ওপরে রাগ হবে আপনার। মনে হবে, এতবার ধূমপান করলাম? এর থেকে আপনি নিজের অজান্তেই কমিয়ে ফেলবেন ধূমপান। শুধু তাই নয়, কোন কোন কাজের পড়ে আপনি ধূমপান করছেন তার ব্যাপারেও আপনি সতর্ক হবেন।

৪) কাউন্সেলিং

কাউন্সেলিং শুধুমাত্র মানসিক সমস্যার জন্যেই নয় বরং এমন ক্ষতিকর সব অভ্যাস দূর করার ক্ষেত্রেও কাজে আসে।

৫) প্রিয়জনের সাহায্য নিন

শুধুমাত্র পেশাদার সাহায্য নয়, আপনার কাছের মানুষেরাও কিন্তু আপনার এই অভ্যাস দূর করতে সাহায্য করতে পারে অনেক। তাদের সাহায্য নিন। তারা আপনার অনেক কাছে থেকে আপনার উপকার করতে পারে।

৬) খালি হাতের ব্যায়াম

ধূমপান ছাড়া থাকতে থাকতে যখন খুব ধূমপানের ইচ্ছে করবে এবং শারীরিক কষ্ট হবে, তখন ৫-১০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে আপনার মনোযোগ অন্যদিকে চলে যাবে এবং এই সময়ের মাঝে ধূমপানের ইচ্ছেটা চলে যাবে।

৭) ওয়েট লিফটিং

শুধু খালি হাতে ব্যায়াম নয়, ছোটখাটো ভারোত্তোলন যে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উপকারি হতে পারে তা দেখা গেছে বেশ কিছু গবেষণায়। এর জন্য অফিসের ডেস্কে রাখতে পারেন অজন্দার কিছু এবং ধূমপানের ইচ্ছে হলে তাকে ব্যবহার করতে পারেন।

৮) টেক্সট মেসেজিং

এটা আমাদের দেশের জন্য খুব একটা প্রযোজ্য নয় বটে। পাশ্চাত্যের কিছু দেশে এমন সুবিধে আছে যে যারা ধূমপান ছাড়তে আগ্রহী তাদের ফোনে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা এবং ধূমপানের অপকারিতা সম্বলিত টেক্সট মেসেজ আসবে। আপনি যা করতে পারেন তা হলো, পরিচিত মানুষদের বলতে পারেন আপনাকে নিয়মিত আমন মেসেজ পাঠাতে। তবে আপনার মনে সব সময়েই ধূমপান থেকে দূরে থাকার তাগিদ থাকবে।

৯) স্মার্টফোন অ্যাপ

অনেকেই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন এবং এগুলোতে ব্যবহার্য অনেক অ্যাপ আছে যা ধূমপান ছাড়তে আপনার উপকারে আসতে পারে। এমন কোনো একটি অ্যাপ নামিয়ে নিতে পারেন আপনি।

১০) ই-সিগারেট

এত কিছুর পরেও আপনার ঠোঁটের মাঝে যদি একটি ক্যান্সার স্টিকের অভাব অনুভব করেন, তাহলে একটি ই-সিগারেট নিয়ে নিন। অনেকে দাবি করেন যে তাদের ধূমপান ছাড়তে এটা সাহায্য করেছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি অবশ্যয় ধুমপান চিরতরে ত্যাগ করতে পারবেন।সেটা সম্পূর্ন আপনার কাছে।আর ধুমপান আপনি একদিনে ছাড়তে পারবেননা।এটা আপনাকে ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে যেমন আপনি যদি প্রতিদিন ১০টি সিগারেট পান করেন, তাহলে আপনাকে এর পরের দিন ৯টি সিগারেট খেতে হবে আবার এর পরের দিন ৮টি এমন ভাবে প্রতিদিন একটি করে সিগারেট আপনার কম খেতে হবে।এভাবেই আপনি ধুমপান থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ