শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বড় অংশ জুড়ে যেমন রয়েছে আনন্দ, ঠিক তেমনি একটা অংশ দখল করে রাখে বেদনা এবং ক্রোধের মত দুঃখজনক ব্যাপার। তাই আমাদের সবার জীবনেই এই ক্রোধ রিলেটেড নানা ধরনের বিপত্তির গল্পের অভাবও নেই। আমরা শুনেছি যে ক্রোধ নিবারণে দীর্ঘশ্বাস নেয়াটা বেশ কার্যকর। কেউ যদি এটা চেষ্টা করে থাকেন, তবে কিছুটা হলেও সফলতাও পাবেন। কেননা এই সিস্টেমটা বৈজ্ঞানিক ভাবেই সত্য প্রমাণিত। ক্রোধ প্রধানত স্নায়ুতন্ত্র তথা নার্ভাস সিস্টেম আর এন্ডোক্রাইন বা হরমোনাল সিস্টেমের উপর নির্ভর করে। রাগ বা ক্রোধ আমাদের সেরিব্রাল হেমিস্ফেয়ারেই সৃষ্টি হয় (ব্রেনের ডিসিশান মেকিং এবং মেমোরি অংশে)। আর ক্রোধ প্রথম ২-৫ সেকেন্ড ডিপেন্ডেন্ট থাকে নার্ভাস সিস্টেমের উপর আর ২ সেকেন্ড পর থেকে এর ইফেক্ট অনেকটাই হরমোন প্রিডমিনেন্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দীর্ঘশ্বাস নেয়ার পদ্ধতিটা কাজ করে উভয় (নার্ভাস+হরমোনাল) সিস্টেমের উপরই। তবুও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাগ কমিয়ে আনার পদ্ধতি ফলো করাই ভালো। কেননা রাগান্বিত অবস্থায় কেউই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বরং রাগান্বিত অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাগ হলে প্রথমে বসে পরতে হবে, রাগ না কমলে শুয়ে পরতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মাটির দিকে চেয়ে থাকা। নিজের ঠোট কাঁমড়ে ধরা। আর মনে মনে "আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লী হালিন" বলুন রাগ নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আবেগ অনুভুতির উপর নিয়ন্ত্রন খুব কম মানুষেরই থাকে। তাই হঠাৎ রাগ উঠে যেতেই পারে। কিন্তু হঠাৎ খুব বেশি রাগ উঠে গেলে বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলার আছে কিছু উপায়। যেন-তেন উপায় নয়, রীতিমত বৈজ্ঞানিক কৌশল। আসুন জেনে নেয়া যাক ঝটপট রাগ নিয়ন্ত্রনের ৫টি দারুণ বৈজ্ঞানিক কৌশল। রাগ তো কম্বেই, এমনকি হেসেও ফেলতে পারেন আপনি

 

ঠান্ডা পানি পান

খুব বেশি রাগ উঠে গেলে ঢক ঢক করে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিন। ঠান্ডা পানি খেলে কিছুটা হলেও রাগ নামবেই। এটা রাগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অব্যর্থ ও পরীক্ষিত একটি পদ্ধতি। ঠাণ্ডা পানি শরীরে এক রকমের প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয় না মন শান্ত করতে সাহায্য করে।

শুয়ে পরুন

অতিরিক্ত রাগ উঠে গেলে শুয়ে পরা উচিত। প্রচন্ড রাগের মাথায় শুয়ে পড়লে রাগ নেমে যায় অনেকটাই। আশেপাশে শুয়ে পরার জায়গা না থাকলে বসে পরুন। বসে পড়লে কিছুটা রাগ কমে যায়। বসা অবস্থায় রাগ হলে দাঁড়িয়ে যান। পায়চারী করুন। এতেও রাগ কমবে।

উল্টো গুনুন

অনেক বেশি রাগের মাথায় সম্ভব হলে উল্টো গুনুন। ১০০ থেকে মনে মনে গুনতে গুনতে ১ পর্যন্ত আসুন। যদি এতো ধৈর্য্য না থাকে তাহলে অন্তত ১০ থেকে ১ পর্যন্ত গুনুন। তাহলে রাগ কমে যাবে অনেকখানি।

সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন

অনেক বেশি রাগের মাথায় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করলে রাগ কমে যায়। সকল ধর্মেই অতিরিক্ত রাগের কুফল বর্ননা করা আছে। তাই নিজের ধর্মের সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করলে রাগ কিছুটা হলেও কমে যায়।

আয়নার সামনে দাড়ান

অনেক বেশি রাগ উঠে গেলে নিজের রাগী চেহারাটা আয়নায় দেখুন। আয়নার সামনে নিজের রাগী রূপটা কেউই পছন্দ করে না। তাই রাগ কিছুটা নয়, আসলে বেশ খানিকটা কবে যায়। এমনকি নিজেকে দেখে হেসেও ফেলতে পারেন আপনি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ