শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পরমানুর রহস্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিউক্লিয় পদার্থ বিজ্ঞানের সূচনা। ১৮০৮ সালে ডালটন পরমানু তত্তের বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা দেন। তার তত্ত্ব অনুযায়ী পরমানু মৌলের ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য অংশ। ‘পরমানু অবিভাজ্য’- এই ধারনা বহুদিন প্রচলিত থাকলেও তা জ্ঞান পিপাসু মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পরেনি। ১৮৭৯ সালে ক্রুক তড়িৎ ক্ষরণ এর সাহায্যে গ্যাসকে আয়নিত করেন, যেটা পদার্থ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করে; শুরু হয় নিউক্লিয় পদার্থ বিজ্ঞানের আধুনিক যুগ। ১৮৯৫ সালে রন্টজেন তড়িৎ ক্ষরণ নল থেকে উচ্চ ভেদন ক্ষমতা সম্পন্ন রশ্মি (X ray) আবিষ্কার করেন এবং ১৮৯৬ বেকারেল ঠিক একই ধর্মের রশ্মি ( γ ray) পান, যেটা ইউরোনিয়াম থেকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে বিকিরিত হয়। এসকল আবিষ্কার নিউক্লিয় পদার্থ বিজ্ঞানের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে এবং পাশাপাশি প্রমানিত হয় যে বস্তু জগতে পরমানুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর কণার অস্তিত্ব রয়েছে এবং এসব কণার অবস্থান পরমানুর অভ্যন্তরে। স্যার জে জে টমসন ১৮৯৭ সালে এ ধরণের একটি কণা আবিষ্কার করেন। ইলেক্ট্রন নামক অতি ক্ষুদ্র ও ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত এই কণার ভর ৯x১০-৩১ কেজি, যেটা পরমানুর রাসায়নিক গুনাবলী নির্ধারণ করে। পরমানুর অভ্যন্তরে ইলেকট্রন ও পজিটিভ কণার উপস্থিতি আবিষ্কৃত হলেও, পরমানুর প্রকৃত গঠন তখনও অজানা। পরবর্তীতে রাদারফোর্ড এবং বোর এর বিভিন্ন পরীক্ষনের মাধ্যমে প্রমানিত হয় পরমানুর অভ্যন্তরে ধনাত্মক নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রন সমূহ ঘূর্ণয়মান। এরপর বিজ্ঞানীগণ জ্ঞান আহরণের লক্ষ্যে নিউক্লিয়াসের রহস্য অনুসন্ধান করতে তৎপর হলেন। ১৯১৯ সালে রাদারফোর্ড আলফা কণা দ্বারা নাইট্রোজেনকে আঘাত করে সর্বপ্রথম নিউক্লিয় রূপান্তর লক্ষ্য করেন। এ সময়ই প্রোটন আবিষ্কৃত হয়। পোলোনিয়াম হতে নির্গত আলফা কণা দিয়ে বেরিলিয়ামকে আঘাত করে ১৯৩২ সালে জেমস্ শ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন। নিউক্লিয়াস যে নিউট্রন-প্রোটন দিয়ে গঠিত- এই সত্যটি বিজ্ঞানীগণ প্রথমবারের মত উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। এই নিউট্রন-প্রোটন কিভাবে একত্রে কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তার উত্তর খুজতে গিয়ে ১৯৩৫ সালে জাপানী বিজ্ঞানী ইউকাওয়া মেসন তত্ত্বের অবতারণা করেন। পরে নভোরশ্মি গবেষাণায় ১৯৪৭ সালে মেসন আবিষ্কৃত হলে নিউক্লিয় পদার্থ বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী অধ্যায় সংযোজিত হয়। কণাত্বরণ যন্ত্রের আবিষ্কারও এক নব যুগের সূচনা করে। এদের সাহায্যে সৃষ্ট শক্তিশালী কণা সমূহকে প্রবল বেগে ছুঁড়ে দেয়া হয় বিভিন্ন নিউক্লিয়াসের দিকে। এতে নানা জাতের বিক্রিয়া ঘটে- ফলে ক্ষেপণক কণা নিউক্লিয়াসের কাঠামো সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানিয়ে দেয়। এছাড়া চার্জ নিরপেক্ষ হওয়ায় ধীর নিউট্রন অতি সহজেই নিউক্লিয়াসের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে এবং এজন্য নিউট্রন বিক্রিয়া নিউক্লিয়াসের ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য গবেষণায় বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=50&t=1628

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ