শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এই সময়ে ফরাসি দেশে ‘চিকেন কলেরা’ নামে এক মারাত্মক রোগে লক্ষ লক্ষ বাচ্চা মুরগি মরে যাচ্ছিল। চিকেন পালকেরা পাস্তুরের সাহায্য ভিক্ষা করল। পাস্তুর এগিয়ে এলেন তাদের সাহায্য করতে। তিনি সুস্থ বাচ্চাগুলোকে টিকা দিলেন, দেখা গেল বাচ্চাগুলোর কলেরা রোগ হলো না। চিকেন কলেরা রোগের কবল থেকে বাঁচল ফরাসি দেশের কোটি কোটি মুরগির বাচ্চা। গরু-মোষ ভেড়া প্রভৃতি গৃহপালিত পশুর এই সময় ‘অ্যানথ্রাক্স’ রোগ হতো। এই রোগে বহু গৃহপালিত পশু মারা যেতো। তিনি টিকাদানের মাধ্যমে ঐ রোগের মারাত্মক আক্রমণ থেকে রক্ষা করলেন। রোগ প্রতিরোধের জন্য জন্তুদের টিকা দিয়ে অসামান্য সাফল্য লাভ করায় পাস্তুর খুব আনন্দিত হন এবং টিকার মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ করা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করতে থাকেন। তখনও জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয় নি। তিনি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলেন মানুষকে কি টিকা দিয়ে জলাতঙ্ক রোগের কবল থেকে বাঁচানো যায় না? আরম্ভ হলো পাস্তুরের গবেষণা। টিকার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা মানুষকে দিলে এর সুফল পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে দিন রাত ভাবতে থাকেন পাস্তুর। এমন সময় ১৮৮৫ সালে একদিন ‘যোশেফ মাইস্টার’ নামে নয় বছরের একটি ছেলেকে পাগলা কুকুরে কামড়ায়। কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত ছেলেটিকে নিয়ে তার মা উদ্বিগ্নচিত্তে লুই পাস্তুরের গবেষণাগারে এসে উপস্থিত হন। পাস্তুর ছেলেটিকে পরীক্ষা করলেন। ভাবলেন- টিকা দেবেন কি দেবেন না। না দিলে ছেলেটি মারা যাবে। তবুও দেখা যাক একবার শেষ চেষ্টা করে- এই ভেবে ছেলেটির মায়ের অনুমতি নিয়ে পাস্তুর যোসেফ মাইস্টারের চিকিৎসা শুরু করে দিলেন। ওষুধে কাজ হলো। ছেলেটির আর জলাতঙ্ক রোগ হলো না। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা এই যে, সেদিন প্রথম প্রমাণিত হলো যে, টিকা দিয়ে মানুষকেও জলাতঙ্ক রোগের কবল থেকে বাঁচানো যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ