শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sanjoyrand1

Call

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। নতুন সব চাহিদা যোগ হচ্ছে জীবনে। রূপচর্চায় মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, তাই বিউটিশিয়ানের খোঁজ পড়ছে। আপনিও হতে পারেন একজন বিউটিশিয়ান, আয়ও করতে পারেন ভালো। বিস্তারিতজানাচ্ছেন মাসিদ রণ ভ্রাম্যমাণ বিউটিশিয়ানদের কোনো প্রতিষ্ঠান, পার্লারের দরকার নেই। রূপচর্চায় অভিজ্ঞ হলে এমনিতেই ভালো করা যায়। দোকান ভাড়া, ডেকোরেশন, কর্মচারী ও আলাদা বিউটিশিয়ান লাগে না বলে বড় পুঁজির ভাবনা নেই। আন্তরিকতা আর নিষ্ঠা থাকলে সফলতা ধরা দেবে। কাজের সময়ও ধরাবাঁধা নেই। পুরোপুরি নিজের মতো করে কাজ করা যায়। নির্দিষ্ট নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকতে হয় না। যোগ্যতা রূপচর্চার প্রতিটি বিষয় জানা থাকতে হবে যেন ঠিকমতো সেবা দেওয়া যায়। ত্বক ও চুল সম্পর্কে ভালো মেডিক্যাল সেন্স থাকতে হবে। সময়ের চাহিদাও জানা থাকতে হবে। পরিবেশ বুঝে পোশাক-পরিচ্ছদ, রং, উপস্থাপনা নিয়ে ভাবতে হবে। কমপক্ষে এসএসসি উত্তীর্ণ হলে বিষয়গুলো জানা-বোঝা সহজ হবে। তা ছাড়া রূপচর্চাবিষয়ক কোর্স করায় যেসব প্রতিষ্ঠান এসএসসি পাস না হলে সেগুলোয় ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না। রূপচর্চার দক্ষতা অর্জন রূপচর্চাকে পেশা হিসেবে নিতে হলে অবশ্যই রূপচর্চার বিষয়বস্তু গভীরভাবে জানতে হবে। তাই বিভিন্ন ধরনের কোর্স করার পাশাপাশি পার্লারে গিয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ নেওয়া যেতে পারে। কোর্স বৃত্তান্ত দেশের খ্যাতনামা রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন মেয়াদের কোর্স করায়। কোর্সের মেয়াদ অনুযায়ী খরচ নির্ভর করে। কোর্স করতে গেলে প্রথমেই যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন তার আইডি কার্ড দেখাতে হবে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অবশ্য এ নিয়ম কিছুটা শিথিল। ছয় মাস মেয়াদি বেসিক ফুল কোর্স, তিন বা আড়াই মাস মেয়াদি লং কোর্স ও এক মাস বা ১৫ দিন মেয়াদি কিছু শর্ট কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। শর্ট কোর্সগুলোতে অবশ্য একটি সেবার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। লং কোর্সগুলোতে প্যাকেজ আকারে কিছু কিছু আইটেম শেখানো হয়। বেসিক ফুল কোর্সে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে মোটামুটিভাবে প্রশিক্ষণার্থী সব রূপচর্চা সেবা দিতে পারে যথাযথভাবে। এই কোর্সগুলোর মধ্যে জরুরিগুলো হলো_ শিখন পদ্ধতি উন্নতমানের প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রশিক্ষণার্থীদের রূপচর্চাবিষয়ক শিক্ষার ৭০ শতাংশ দেওয়া হয় হাতে-কলমে; অর্থাৎ প্র্যাকটিসের মাধ্যমে। আর ৩০ শতাংশ দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকাশিত বই পাঠের মাধ্যমে। অর্থাৎ তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই একজন প্রশিক্ষণার্থী সার্টিফিকেট অর্জন করবেন। খরচ কত প্রতিষ্ঠানভেদে কোর্সের খরচ কমবেশি হতে পারে। তবে বেসিক ফুল কোর্সে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা লাগবে। লং কোর্সগুলোতে খরচ পড়বে ২০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। শর্ট কোর্সগুলো করা যাবে পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। কাজ পাবেন কিভাবে প্রথম দিকে একটু বেগ পেতে হয়। তবে এ সমস্যা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। এ জন্য প্রথম দিকে বড় কাজ হলো পরিচিতি অর্জন করা। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। আস্তে আস্তে পরিচিতি বেড়ে গেলে কাজের অভাব হবে না। স্থায়ী সফলতা পেতে পরিচিতি বাড়াতে পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া যেতে পারে। লিফলেটও বিলি করতে পারেন। ভিজিটিং কার্ড তো লাগবেই। সব সময় চেষ্টা করবেন রূপচর্চার উপকরণ ও সেবার মান ভালো রাখতে। পুঁজি সাজের বা রূপচর্চার উপকরণ কেনার জন্য কিছু পুঁজি লাগবে। কে কত পরিমাণ উপকরণ কিনবে বা কোন ব্র্যান্ডের উপকরণ কিনবে তার ওপর পুঁজির পরিমাণ নির্ভর করবে। তবে প্রথমেই একগাদা উপকরণ না কিনে শুধু যেগুলো আবশ্যক সেগুলোই কেনা ভালো। এ ছাড়া যোগ হবে গ্রাহকের বাড়িতে যাওয়া-আসার পরিবহন খরচ। এ জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে কোনো ট্যাক্সি বা সিএনজি মাসিক ভাড়া নিলে খরচ কমবে। আর নিজের উপস্থাপনটাও জরুরি এ পেশায়। তাই পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত পোশাকের জন্য কিছু খরচ লাগবে। কী কী উপকরণ লাগবে বিভিন্ন ধরনের বেইজ মেকআপ, লিকুইড মেকআপ, কনসিলার, ফেস পাউডার, গ্লসি পাউডার, শেড ও চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, নখের সাজ, হেয়ার কাট, ফেসিয়াল, থ্রেডিং, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ম্যাসেজ, স্পা, কন্ডিশনিং, চুল রং করা, ব্লিচ, চুল কার্লি স্ট্রেইটসহ রূপচর্চার বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ কিনতে হবে এবং প্রতিটি উপকরণের ব্র্যান্ড যাতে ভালো হয় ও মেয়াদোত্তীর্ণ না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা থাকা জরুরি। আয় কেমন প্রথম দিকে আয়ের পরিমাণ কিছু কম হয়, তবে পরিচিতি পেয়ে গেলে মাসিক ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ