ব্যাখ্যামূলক উত্তর দিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আদম (রহঃ) আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ ফিরিশতা ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর থাকে এবং ঐ ঘরেও না, যে ঘরে ছবি থাকে। লায়স (রহঃ) আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) থেকে (এ বিষয়ে) শুনেছি।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ পোষাক-পরিচ্ছদ হাদিস নাম্বারঃ ৫৫২৫
 , , , ,

ইয়াহইয়া ইবন সুলাইমান (রহঃ) সালিম (রাঃ) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবী (সাঃ) -কে (সাক্ষাতে) ওয়াদা দিয়েছিলেন। (কিন্তু তিনি সময় মত আসেন নি। নাবী (সাঃ) -এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০০০

মুসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি কুকুর রাখবে প্রতিদিন তার আমল নামা তাতে এক ক্বীরাত করে সাওয়াব কমতে থাকবে। তবে কৃষি খামার অথবা পশুর পাল রক্ষার কাজে নিয়োজিত শিকারী কুকুর এর ব্যতীক্রম।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০৯০

মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেন তিনি বলতেনঃ যে ব্যাক্তি এমন কুকুর পালন করে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়। তার আমল থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ হ্রাস পাবে।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ যবাহ করা, শিকার করা হাদিস নাম্বারঃ ৫০৮৫

মাককী ইবন ইবরাহীম (রহঃ) আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যাক্তি শিকারী কুকুর কিংবা , পশু রক্ষাকারী কুকুর ব্যতীত অন্য কোন কুকুর পোষে, সেই ব্যাক্তির আমলের সাওয়াব থেকে প্রত্যহ দুই কীরাত পরিমাণ কমে যায়।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ যবাহ করা, শিকার করা হাদিস নাম্বারঃ ৫০৮৬

আব্দুল্লাহ ইবন মাসলামা (রহঃ) আদী ইবন হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি আমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর (শিকারের জন্য) ছেড়ে দেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যখন তুমি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলো ছেড়ে দেবে এবং যদি সে কোন শিকার ধরে আনে তাহলে তা খেতে পার। আর যদি ধারাল তীর নিক্ষেপ কর এবং এতে যদি শিকারের দেহ ফেড়ে দেয়, তবে তা খেতে পার।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ তাওহীদ প্রসঙ্গ হাদিস নাম্বারঃ ৬৮৯৩

আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুকুরের মূল্য যিনাকারিনার মজুরী ও গণকের পারিশ্রমিক দিতে নিষেধ করেছেন।

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ চিকিৎসা হাদিস নাম্বারঃ ৫৩৪৯

আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) কুকুর মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। ’

সহীহ বুখারি অধ্যায়ঃ সৃষ্টির সূচনা হাদিস নাম্বারঃ ৩০৮৯

 ,

এরকম আরও হাদিস পেতে http://hadis .sinhatalk.com  ,এখানে বিভাগ অনুযায়ী হাদিস সাজানো আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুকুর পোষ্য বানানো হারাম। যেহেতু কুকুর মানুষের ভীতিগ্রস্ত করে এবং এর কারণে ফেরেশতারা ঘরে প্রবেশ করে না, এর মধ্যে নাপাকি ও নোংড়ামি তো রয়েছেই, উপরন্তু কুকুর পোষ্যকারীর সওয়াব প্রতিদিন দুই কিরাত করে কমে যায়। হ্যাঁ, কেউ যদি শিকারের জন্য, চড়ানোর জন্য অথবা ক্ষেত পাহাড়া দেয়ার প্রয়োজনে কুকুর পোষ্য বানায় তার কথা ভিন্ন। • কুকুর কোন শিকার করলে অথবা কোন শিকার তার মুখে আটকে রাখলে, তা সাত বার ধোয়া জরুরি নয়, কারণ মানুষের সুবিধার জন্যই কুকুরের শিকার বৈধ করা হয়েছে। • যদি কোন ব্যক্তি লাঠি বা এ জাতীয় কিছুর দ্বারা শিকার করে, আর ধারালো দিক যদি শিকারের গায়ে আঘাত করে, তবে তা হালাল, অন্যথায় হালাল নয়, ধরে নেয়া হবে তা আঘাতের কারণে মারা গেছে। • শিকার নিয়ে খেলা করা : খেলতামাশার জন্য শিকার করা ও ছেড়ে দেয়া এবং তার দ্বারা কোনোভাবে উপকৃত না হওয়া হারাম। • শিকারের সময় অথবা যবেহ করার সময় রুহ বের হওয়ার পূর্বে পশু থেকে যে রক্ত বের হয় তা নাপাক, এর দ্বারা উপকৃত হওয়া হারাম। • লুণ্ঠিত অথবা চুরিকৃত অস্ত্র দিয়ে শিকার করা হালাল কিন্তু শিকারকারী গুনাহগার হবে। • সালাত ত্যাগকারীর শিকার বা যবেহ করা পশু হালাল নয়, কারণ সে কাফের। • পাখি দ্বারা বাচ্চাদের শান্তনা দেয়ার বিধান : বাচ্চাদের শান্তনা দেয়ার জন্য পাখি শিকার করা বৈধ। কিন্তু বাচ্চাদের দেখে রাখতে হবে, যাতে সে শিকারকে কোন কষ্ট না দেয় কিংবা ক্ষুধার্থ না রাখে। • নিরাপরাধ ব্যক্তির দিকে অস্ত্র তাক করা বা অস্ত্র দিয়ে তার দিকে ইশারা করা মসকরা বা সত্যিসত্যি উভয় অবস্থাতেই হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ