সবুজ শাকপাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কারণ এর ক্লোরোফিল শরীর সুস্থ রাখে। আর পালং শাক তার অন্যতম। এই শাকে রয়েছে অ্যালকাইন মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রচুর ক্যারটিনয়েড, আয়রন, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম।
সাধারণত শাক রান্না করতে গেলে প্রায়ই অতিরিক্ত সিদ্ধ হয়ে যায়, এর ফলে পুষ্টিগুণ চলে যায়। তাই প্রথমে অল্প ভাপিয়ে নিয়ে হালকা ভেজে খান।
পালং শাক ক্যানসার প্রতিরোধী। বড়দের অন্ধত্ব প্রতিরোধেও সাহায্য করে। আধাকাপ সিদ্ধ পালং শাক খেলে সারাদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ, ফোলেট মিটে যাবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ফোলেট খুবই উপকারী। এর অভাবে অ্যানিমিয়া হতে পারে। আয়রনের অভাবের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা অবশ্যই পালং শাক খাবেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে পালং শাক খেতে পারেন, সমস্যার সমাধান হবে।
পালং শাক যেমন খেতে ভালো, তেমনি কাজেও দারুণ। পালং শাক খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন পালং শাক। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, পালং শাকের কিছু অসাধারণ গুণগুলোর সম্পর্কে-
১। পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং বিটা কেরোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে।
২। বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাইগ্রেশন, মাথাব্যথা দূর করতে প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে।
৩। পালং শাক স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।
৪। পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৫। পালং শাক পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। তাছাড়া রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে, দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়।
৬। কিডনিতে পাথর থাকলে, তা গুড়ো করতে সাহায্য করে। দেহ ঠাণ্ডা ও স্নিগ্ধ রাখে পালং শাক।
৭। অনেকের মেদবৃদ্ধি ও দুর্বলতায় হাঁফ ধরে, তারা পালং পাতার রস খেলে উপকার পাবেন। পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৮। পালং শাকে ১৩ প্রকার ফাভোনয়েডস আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।
৯। পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
১০। পালং শাক দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পালং শাক খুব উপকারী।