Vaginal discharge অর্থাৎ সাদা স্রাব আর সাদাস্রাবের প্রথম কারণ হল, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ। শরীরে নানাভাবে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। পরিষ্কারপরিচ্ছনতার অভাব, পাবলিক টয়েলেটে মূত্রত্যাগ, আনপ্রোটেক্টেড সেক্স, মলদ্বার থেকে হওয়া সংক্রমণ – ইত্যাদি নানা কারণে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে এবং ফলস্বরূপ সাদা স্রাব হতে পারে এছাড়াও মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে, যৌন উত্তেজনা হলে কিংবা শরীরে হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে যোনিপথ থেকে এই তরল নিঃসৃত হয়ে থাকে। সাধারণত সাদাস্রাব জলের মতো নির্গত হয়ে থাকে। তবে কখনও-কখনও এটি ঘন, অদ্ভুত রঙের এবং দুর্গন্ধযুক্তও হয়। তখন কিন্তু দেরি না করে গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত
যার কারনে যোনি চুলকায় ও সাদা স্রাব যায়। আবার অনিয়মিতভাবে পিরিয়ড হতে পারে। আপনি বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
-
আপনি লবন মিশানো হালকা গরম পানি দিয়ে দিনে দুইবার যোনি পরিস্কার করবেন (সকাল ও রাতে)
-
রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
-
ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন।
-
আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। আর প্রসাব বা পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
-
সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন।
-
ওজন কমান।
-
যোনি আর্দ্র ও ভেজা রাখবেন না।
-
মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করুন।
-
নিয়মিত গোসল করুন।
-
রাতে প্যাড পরে ঘুমাবেন না ও রাতে হালকা গরম পানি দিয়ে যোনি পরিস্কার করে ঘুমাবেন।
-
সহবাসের পর হালকা গরম পানিতে যোনি পরিস্কার করবে।
যদি অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব যায় তাহলে এই সমস্যার জন্য অবশ্যই একজন গাইনি যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন। অবহেলা করবেন না বা লজ্জা পাবেন না। কারণ এর ফলে পরবর্তীতে আরও খারাপ কিছু হতে পারে ।আর অতিরিক্ত সাদা স্রাব গেলে শরীর শুকিয়ে যায় চোখ ও গাল বসে যায় মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায়, খাবারে অরুচি লাগে,মাসিক ঠিক মত হয় না, সবার সাথে মিশতে ইচ্ছে করে না,। অতিরিক্ত সাদাস্রাবে কোমরে ব্যাথা করে,। তল পেট ভারী হয়ে থাকা। শরীর দুর্বল লাগা। চোখের নীচ কালো হয়ে যাওয়া, বা গর্তে ঢুকে যাওয়া। বদহজম ,। মুখের মলিনতা নষ্ট হয়ে যাওয়া,
জরায়ূ তে জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি । মানুসিক ভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তাই যত সম্ভব চিকিৎসা ও সেবা নিন সুস্থ্য থাকুন।
ঘরোয়া পদ্ধতি হলো:- ভাজা পোড়া খাওয়া বন্ধ করে দিন, রোজ নিয়মিত চা খান, এলাইচি এই রোগের জন্য বিশেষ উপকারী তাই রোজ নিয়ম করে এলাইচি দানা খান। তা না পারলে রোজ রাতে এক গ্লাস জলে ৪-৫ টি এলাইচি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে উঠে সেই জল পান করুন খুবই উপকার পাবেন। এছাড়াও,কলা,পাকা পেপে,বেদনা,আপেল, খাবেন।
আশা করি পরবর্তী সমস্য গুলো আমাদের জানিয় দিবেন চেস্টা করবো সঠিক পরামর্শ দিতে।
ধন্যবাদ।