আল কুরআন হচ্ছে ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যা আল্লাহর বাণী।
আল কুরআন মুত্তাক্বীদের জন্য পথ নির্দেশঃ এটা ঐ মহান কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা মুত্তাক্বীদের জন্য পথ নির্দেশ। (সুরা আল-বাকারাঃ ২)।
আল কুরআন সর্বশ্রেষ্ট আসমানী কিতাবঃ
পবিত্র কুরআন স্বয়ং আল্লাহর তায়ালার বাণী যা
সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর নাযিল
করা হয়েছে।
আল-কুরআন বিশ্বজনীন গ্রন্থঃ আল-কুরআন
নির্দিষ্ট জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, দেশ বা কালকে
কেন্দ্র করে নাযিল হয়নি। বরং সর্বোকালের সমগ্র
বিশ্বমানবতার হিদায়াতের সওগাত নিয়ে নাযিল হয়েছে।
তাই এটা চিরন্তন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ। যা মানব জাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং
এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য সঠিক পথ
দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে
দেয়। (সূরা আল-বাকারাঃ ১৮৫)।
আল কুরআন নিরভুল ও অতীব বিশুদ্ধ গ্রন্থঃ আল্লাহর
নাযিলকৃত জীবন বিধান আল্লাহর কুরআন নিরভুল ও
অতীব বিশুদ্ধ গ্রন্থ। এর মধ্যে কোন
সন্দেহের লেশমাত্র নেই। পবিত্র কুরআনে বলা
হয়েছে: এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন
সন্দেহ নেই। (সূরা আল-বাকারাঃ ১)।
আল কুরআন পরিপূর্ণ জীবন বিধানঃ মহাগ্রন্থ আল-
কুরআন হচ্ছে সর্বশেষ পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
এতে মানব জাতীর পরিপূর্ণ সব সমস্যার সমাধান
রয়েছে। কারণ এ গন্থে মানব
জীবনের ইহকালিন ও পর কালীন সমস্ত বিষয়
উল্লেখ রয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বললেন,
আমি এ কিতাব তোমার প্রতি নাযিল
করেছি, যা সব জিনিস পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে এবং যা
সঠিক পথনির্দেশনা, রহমত ও সুসংবাদ বহন করে
তাদের জন্য যারা আনুগত্যের শির নত করে
দিয়েছে। (সূরা আন-নাহলঃ ৮৯)।
আল কুরআন চিরন্তর চ্যালেঞ্জের মুকাবিলায়
নাযিলকৃত গ্রন্থঃ যখন এ গ্রন্থ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর
নিকট নাযিল হয় তখন আরবের লোকেরা কুরআনের
ভাষার বিশুদ্ধতা, ভাষা অলংকার, রচনাশৈলী, বলিষ্ট যুক্তিধারা,
অনুপম বিন্যাস ও ভাষার মাধুর্যে বিমোহিত হয়ে
ইসলামের দিকে ধাবিত হতে শুরু করে। কিন্তু কতিপয়
ইসলাম বিদ্বেষী কপট মুনাফিক জিদের বশবতী
হয়ে একে কবিতা, যাদু বলে নানা অপবাদ রটাতে
থাকে। আল্লাহ তায়ালা তাদের লক্ষ্য করে
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি তোমরা সত্যি ইহা
কোন মানুষের রচনা হয়ে থাকে তা হলে অনুরূপ
একটি বাক্য রচনা করে দেখাও। কুরআনে বলা
হয়েছে, আর যে কিতাবটি আমি আমার বান্দার ওপর
নাযিল করেছি সেটি আমার কিনা এ ব্যাপারে যদি
তোমরা সন্দেহ পোষণ করে থাকো তাহলে তার
মতো একটি সূরা তৈরি করে আনো এবং নিজেদের
সমস্ত সমর্থক গোষ্ঠীকে ডেকে আনো এক
আল্লাহকে ছাড়া আর যার যার চাও তার সাহায্য নাও, যদি
তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে এ কাজটি করে
দেখাও। (সূরা আল-বাকারাঃ ২৩)।
বলে দাও, যদি মানুষ ও
জিন সবাই মিলে কুরআনের মতো কোনো একটি
জিনিস আনার চেষ্টা করে তাহলে তারা আনতে
পারবে না, তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়ে
গেলেও। (সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৮৮)।
আল কোরআন মুক্তির একমাত্র পথঃ আল-
কুরআন অনুসরণেই পথহারা জাতির পথের দিশা পেতে
পারে। কুরআন হচ্ছে মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।
কুরআনে এরশাদ হয়েছে, এটি মানব জাতির জন্য একটি
সুস্পষ্ট সর্তকবাণী এবং যারা আল্লাহকে ভয় করে
তাদের জন্য পথনির্দেশ ও উপদেশ। (সূরা আলে-
ইমরানঃ ১৩৮)।