মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের কাছে কুরআন পাঠ করা একটি বিদআতী কাজ। কেননা এধরণের কাজ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে ছিল না। তিনি এরূপ করেন নি করার আদেশও করেন নি। বরং দাফনের পর কি করতে হয় তা বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ব্যক্তিকে দাফন করার পর সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াতেন এবং বলতেন, তোমাদের মৃত ভায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার দৃঢ়তার জন্য দুআ কর, কেননা এখনই সে জিজ্ঞাসিত হবে। (আবু দাঊদ)
কবরের কাছে কুরআন পাঠ করা যদি শরীয়ত সম্মত হত বা তাতে কোন কল্যাণ থাকত তবে অবশ্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম সে নির্দেশ দিতেন এবং দলীল পাওয়া যেত। অনুরূপভাবে কোন গৃহে হাফেয-কারীদেরকে একত্রিত করে কুরআন পাঠ করে তা মৃতের রূহে বখশে দেয়াও একটি বড় ধরনের বিদআতী কাজ। শরীয়তে যার কোন দলীল নেই। সালাফে ছালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরামের কেউ একাজ করেননি। একজন মুসলিম ব্যক্তি যখন কোন বিপদে পড়বে বা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হবে তখন সে ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহ্র কাছে এর প্রতিদান আশা করবে। আর ধৈর্য ধারণকারীদের মত দুআ করবে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন, আল্লাহুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফলী খাইরান্ মিনহা। (শায়খ ইবনু ঊছাইমীন)