পবিত্র কুরআন বুঝতে হলে অবশ্যই তাফসীরের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, তাফসীরের প্যাটার্ন হলো - শাব্দিক কিছু ব্যাখ্যা করা, কুরআনের একটি আয়াতের তাফসীরে অন্য আয়াত নিয়ে আসা, হাদীস থেকে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বর্ননা নিয়ে আসা, সালাফদের ব্যাখ্যা এনে ইত্যাদি সকলকিছু খুব বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা, যাতে ব্যাপারটা খুব সহজে মস্তিষ্কে ধারন করে।
এছাড়াও, 'তাফছীর ইবনে কাছীর'-এ ইবনে কাছীর রাহিমাহুল্লাহ নিজের মত পেশ করেছেন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে করেননি। আবার এসমস্ত তাফসীরে উসুলে হাদিসের বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রাথমিক লেভেলের জ্ঞানপিপাসুদের বোধগম্য হওয়া কঠিন। কিন্তু সংক্ষিপ্ত তাফসীরগুলোতে আয়াতের মূল প্রেক্ষাপট সামনে এনে একটি বা দুটি হাদিসের মাধ্যমে বা আয়াতের মূলভাব কুরআন ও হাদিসের আলোকে লিখে দেওয়া। এতে অতি সহজেই আয়াতের ব্যাখ্যা বুঝে নেওয়া যায়। এটাই সংক্ষিপ্ত তাফসীরের মর্ম।
জনাব, এককথায় - কুরআন ও হাদীস ভালোভাবে সহজরূপে বুঝতে হলে তাফসীরের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কেননা, একমাত্র তাফসীরের কারণে বিষয়টি আরো সহজরূপে বুঝতে পারা যায়৷
তাছাড়াও, আপনি বলেছেন - 'তাফসীরকারকগণ জোড়াতালি দিয়ে, আয়াতে যা বুঝানো হয়নি সেটা বাড়িয়ে বলে, মান বাচানোর জন্য কি কুরআনের তাফসীর করতে পারেন না?'
উত্তরঃ আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। যারা তাফসীর করেন, তারা সবসময় চেষ্টা করেন সর্বোপরিভাবে শ্রতাকে ব্যাপারটা কিভাবে বুঝানো যায় বা সহজরূপে বোঝানো যায়৷ আর, সহজরূপে বুঝাতে গেলে অবশ্যই ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত ভাবেই আলোচনা করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনার পাঠ্য বইতে সবকিছু দেয়া আছে, আপনি পড়লেই অনেক কিছু বুঝতে পারেন, তারপরও আপনাকে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে যেতে হয়। আপনার শিক্ষক যা বলেন সেটা শুনতে হয়। বোঝানোর জন্য শিক্ষক অনেক ধরণের উদাহরণ দেন। পৃথিবীর সীমিত জ্ঞান বোঝার জন্যই যদি আপনার এতো কিছু করতে হয়, তাহলে পবিত্র কোরআন মাজিদ বুঝতে হলে আপনাকে অবশ্যই শিক্ষক এর প্রয়োজন পড়বে। তাফসির গুলো এদিকে লক্ষ্য করেই রচিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। ব্যখ্যা ছাড়া সরাসরি আয়াত সমূহ পড়ে পূর্ণ অর্থ অনুধাবন সম্ভব নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।