মেয়েদের মাসিক না হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি রয়েছে। যার কারণে মাসিক সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-
গর্ভাবস্থা: সহবাসের পর মাসিক না হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন কিনা।
বয়স: অল্প বয়সী ও মধ্যবয়সী মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে অনিয়মিত মাসিক দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস: দীর্ঘ সময় স্ট্রেসে থাকলে বা কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত বা পেরেশানি থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আর্লি প্রেগন্যান্সি লস: একজন নারী সহবাসের পর হঠাৎ গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা তিনি নিজেও জানতেন না। এরপর তা নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। তখন পিরিয়ড অনেক দেড়িতে হয়। আর এইরকম হলে সাধারণত মাসিকের তুলনায় কিছু দিন পর অনেক রক্তপাত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। অনেকেই মনে করেন দেড়িতে মাসিক হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
কম ওজন: শারীরিকভাবে ওজন কমে গেলে বা স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলে সময়মতো মাসিক নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন মাসিক বন্ধও থাকতে পারে।
হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল: জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করলে মাসিক দেরিতে হতে পারে। যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি ইত্যাদি ব্যবহার করলে পিরিয়ড বা মাসিক বিলম্বিত হতে পারে।
স্বাস্থ্য সমস্যা: অনেক সময় শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে পিরিয়ড লেট হয়। যেমন, মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন ইত্যাদি এ ধরনের সমস্যায় মাসিক দেরিতে হতে পারে।