সাইটোপ্লাজম হচ্ছে কোষের ভেতরে বেশির ভাগ অংশ জুড়ে অবস্থিত স্বচ্ছ, সমসত্ব, জেলি-সদৃশ পদার্থ। সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোষের বিভিন্ন জৈবনিক ক্রিয়াকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সজীব বস্তুসমূহকে একত্রে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বলা হয় । সাইটোপ্লাজমের ৮০ শতাংশই পানি এবং সাধারণত বর্ণহীন।
প্রোটোপ্লাস্ট:
কোষের অভ্যন্তরে স্বচ্ছ আঠালো এবং জেলির ন্যায় অর্ধতরল,কলয়ডালধর্মী সজীব পদার্থকে প্রোটোপ্লাজম বলে।প্রোটোপ্লাজমই কোষের তথা দেহের সকল মৌলিক জৈবিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে।এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভিত্তি।
> প্রোটোপ্লাজমঃ
কোষঝিল্লি (plasma membrane) দিয়ে ঘেরা সবকিছুই প্রোটোপ্লাজম, এমনকি কোষঝিল্লি নিজেও প্রোটোপ্লাজমের অংশ।
প্রোটোপ্লাজমের দুইটি অংশ -
১. নিউক্লিয়াস
২. সাইটোপ্লাজম
**প্রোটোপ্লাজমকে বলা হয় জীবনের ভিত্তি।
> সাইটোপ্লাজমঃ
প্রোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে নিলে যে অংশ থেকে যায় তা-ই সাইটোপ্লাজম।
সাইটোপ্লাজমের দুইটি অংশ-
১. সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু
২. সাইটোসল/ সাইটোপ্লাজমীয় ম্যাট্রিক্স /কোষ মাতৃকা।
কোষঝিল্লি বা প্লাজমা মেমব্রেনের ভেতরের সমুদয় বস্তুকে একত্রে প্লোটোপ্লাজম বলে। আর প্লোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াসকে সরিয়ে নিলে যা থাকে, তাকে সাইটোপ্লাজম বলে।
পার্থক্যঃ-
প্লোটোপ্লাজম | সাইটোপ্লাজম |
কোষঝিল্লি বা প্লাজমা মেমব্রেনের ভেতরের সমুদয় বস্তুকে একত্রে প্লোটোপ্লাজম বলে। |
প্লোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াসকে সরিয়ে নিলে যা থাকে, তাকে সাইটোপ্লাজম বলে। |
এর তিনটি অংশ- কোষঝিল্লি, নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম। | এর দুটি অংশ- সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু ও মাতৃকা। |
নিউক্লিয়াস থাকায় বংশগতির ধারক ও বাহক। | বংশগতির ধারক ও বাহক নয়। |
জীবনের আধার হিসেবে কাজ করে। | কোষীয় অঙ্গাণুর আধার হিসেবে কাজ করে। |
***সাইটোপ্লাজম :- নিউক্লিয়াসের চারিদিকে কোশের অভ্যন্তরের জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থকে বলে সাইটোপ্লাজম।
***প্রোটোপ্লাজম :- কোশের অভ্যন্তরের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমকে একত্রে প্রোটোপ্লাজম বলে। এটি কোশমধ্যস্থ সম্পূর্ণ সজীব অংশ।
***পার্থক্য :- (1) নিউক্লিয়াস সহ হয় প্রোটোপ্লাজম ,কিন্তু নিউক্লিয়াস ছাড়়া হয় সাইটোপ্লাজম।
(2) সাইটোপ্লাজমে তুলনায় কম রাইবোজোম থাকে, কিন্তু প্রোটোপ্লাজমে তুলনামুলক ভাবে বেশী রাইবোজোম থাকে।
(3) জীবনের আধার হিসেবে কাজ করে,কিন্তু কোষীয় অঙ্গাণুর আধার হিসেবে কাজ করে।
*আরো রয়েছে তবে সব লেখা যাচ্ছে না।