শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মহাশূন্য এবং মহাকাশ একই। তাই এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পৃথিবীর বায়ুমন্ডল সমৃদ্ধ আকাশ হলো পৃথিবীর আকাশ। আর এই আকাশের বাইরের অনন্ত স্থান হলো মহাশূন্য বা মহাকাশ। মোটামুটি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি উপরে কারমেন লাইনের বাইরে থেকেই মহাশূন্যের শুরু। খালি চোখে শূন্য মনে হলেও মহাশূন্য কিন্তু পুরোপুরি ফাঁকা নয়। প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো ঐ স্থানে অবস্থান করে। তবে মহাশূন্যে বায়ুর কোন চাপ নাই। যে কারনে বিমান চলতে পারে না, রকেট চলতে পারে। কারন বিমান উড়তে বাতাস ব্যবহার করতে হয়। তাই মহাকাশে দূরপাল্লার ভ্রমণ এখনো অত্যন্তবিপজ্জনক। মহাশূন্য এখনো মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। মহাশূণ্য অথবা মহাকাশ বলতে সাধারণভাবে মাথার উপরকার অনন্ত আকাশ বোঝানো হলেও বস্তুত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলসমৃদ্ধ আকাশকে পৃথিবীর আকাশ বলা হয়। তাই পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে মহাকাশ হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরের অনন্ত স্থান। এ আকাশসীমায় অতি অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়। প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান। মহাশূন্য এমন অনেক কিছু আছে যা মানুষ এখনও কল্পনা করতে পারেনি। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নাই, বাতাস নাই, নাই বায়ুমন্ডল। তাই অতি উচ্চমাত্রার তেজষ্ক্রিয় রশ্মি, যাকে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র ঠেকিয়ে দেয় বলে সব প্রাণী বেঁচে আছে, মহাশূন্যে তাকে প্রতিরোধের কোন উপায় নাই। সেখানে তাপমাত্রা অতি উষ্ণ +১২০ ডিগ্রি সে. এর বেশি, নয় অতি শীতল -১২০ ডিগ্রি সে. বা তারও নিচে! এরকম চরম পরিবেশ মোকাবিলা করার ক্ষমতা মানুষের নাই! মজার ব্যাপার, পৃথিবী থেকে ১০০ কিমি উপরের ঐ মহাশূন্য কিন্তু বিশেষ কোন দেশ বা নেশনের না। সেখানে সবার সমান অধিকার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ