Share with your friends
Call

ডিজিটাল ক্যামেরা কে প্রধানত দুটো ভাগে ভাগ করা হয়- ১. এসএলআর/ডিএসএলআর (SLR/dSLR) ও ২. পয়েন্ট এন্ড শ্যুট বা কম্প্যাক্ট (Compact). পয়েন্ট এন্ড শ্যুট (Point & Shoot) ক্যামেরাগুলোকে কম্প্যাক্ট ক্যামেরা বলে, দেশে ডিজিটাল ক্যামেরা নামে বেশী পরিচিত। প্রথম যে পার্থক্যে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন তা হল ক্যামেরার ইমেজ সেন্সরের সাইজ। একটি dSLR ক্যামেরার ইমেজ সেন্সর হয় ৩৬x২৪mm অর্থাৎ ৮৬৮mm2 সার্ফেস এরিয়া থাকে। কম্প্যাক্ট ক্যামেরাগুলোতে সাধারণত ৫x৪mm = ২০ mm2 সার্ফেস এরিয়া পাওয়া যায় মাত্র। এসব কারণেই মেগাপিক্সেল দেখিয়ে ক্যামেরা বিক্রির প্রবণতা বেশী কম্প্যাক্টে। ক্রেতাদের টেন্ডেসী বেশী মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার দিকে। আসলে ক্যামেরা প্রস্তুতকারকেরা মেগা পিক্সেল দেখিয়ে মনোযোগ অন্যদিকে ডাইভার্ট করে। dSLR ক্যামেরায় অ্যাপারচার (Aperture) সাধারণত f/1.2-f/22 হয়, মানে দুটো মানের বিশাল পার্থক্য থাকে । কম্প্যাক্ট ক্যামেরাগুলো সাধারণত f/3.3-f/5.5 হয়, অর্থাৎ দুটোর মানের ব্যবধান কম। দুটোর ব্যবধান যতবেশী হবে ততবেশী সুবিধা পাবেন আপনি। কম্প্যাক্ট ক্যামেরাগুলোতে ৮০ শতাংশ কাজই অটোমেটিক। তবে কিছু ক্যামেরায় ইউজারদের পার্সোনালাইজ করার সুযোগ থাকে বিভিন্ন মুড ব্যবহার করে। কম্প্যাক্ট ক্যামেরায় খুব ভাল ভিডিও পাবার আশা করবেন না। dSLR বা সেমি dSLR কিনতে বড় অংকের পয়সা গুনতে হবে। সিরিয়াস ধরণের ফটোগ্রাফির ইচ্ছে না থাকলে ওদিকে যাবার প্রয়োজন নেই। লেন্সের যত্ন ভালভাবে না নিলে ফাংগাস পড়ে দামী জিনিষটা নষ্ট হবে। প্রথমদিকের ফটোগ্রাফার হলে আমি বলব কম্পাক্ট ক্যামেরা কিনে হাত পাকা করে নিন। তবে বাজেট নিয়ে যদি চিন্তা না থাকে তবে dSLR নিতে সমস্যা নেই।একটি কথা মনেরাখুন, ভালছবি নির্ভর করে ভাল ক্যামেরাম্যানের উপর, ক্যামেরার উপর না। dSLR হাতে থাকলেই ভাল ছবি উঠে না। কম্প্যাক্ট ক্যামেরা দিয়ে আনায়াসেই আপনি ভালমানের ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।

Talk Doctor Online in Bissoy App