তোতলামি দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করুন এবং সব সময় নিজে নিজে কথা বলবেন।তাহলে এটি ধীরে ধীরে সেরে যাবে ইনশআল্লাহ। >br> এছাড়াও আপনি কিছু মুখের ব্যায়াম করতে পারেন।* মুখ বড় করে হা করে জিহ্বাকে টান টান করে চারিদিকে ঘুরাতে থাকুন। প্রথমে ঘড়ির কাটার দিকে, কিছুক্ষণ পরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে। এভাবে কয়েকবার করতে থাকুন। *এছাড়া জিহ্বাকে চুইংগাম-এর মত চিবাতে থাকুন। ডানে বায়ে ঘুড়াবেন যতক্ষণ ভাললাগে। *এছাড়া কিছুক্ষণ মুখ হা করে রাখতে পারেন অথবা মুখে জল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ রাখতে পারেন। আপনি খুব ধীরে কথা বলার অভ্যাস করুন। নার্ভাসনেস কাটিয়ে তুলুন,ঘড়ি ধরে কথা বলা প্রাকটিস করুন,যেসব শব্দের প্রতি জড়তা আছে সেগুলির সঠিক উচ্চারণ জেনে নিন।
নিচের ৬টি পদ্ধতি অনুসরুণ করুন তোতলামি থেকে বাচতে:১. স্বরবর্ণ উচ্চারণ করুন আজ্ঞে হ্যাঁ,এই জলের মতো সহজ ব্যায়ামটাই কিন্তু আপনাকে আপনার আজীবনের তোতলামি থেকে মুক্তি দিতে পারে।কিছুই না,ভালো করে জোরে জোরে স্পষ্ট উচ্চারণে স্বরবর্ণগুলো,যেমন এ,ই,আই,ও,ইউ উচ্চারণ করুন। উচ্চারণ যেন খুব স্পষ্ট হয়,আর মুখ বেঁকিয়ে উচ্চারণ করবেন। ২. থামতে শিখুন কোথায় থামতে হবে না জানলে কিন্তু তোতলামি কোনোদিনই মিটবে না। কোনো বাক্য যখন বলবেন,তখন প্রতিটা শব্দের মাঝে খানিকক্ষণ করে গ্যাপ দিন।একটা শব্দের পর একটু থেমে পরের শব্দটি উচ্চারণ করুন।দিনে একবার অন্তত খানিকক্ষণ করে নিয়মিত করুন।এর ফলে কথা বলার সমস্যাও খানিক কমবে। ৩. চোয়ালের কায়দা চোয়াল ফাঁক করে যতটা সম্ভব বড় করে মুখ খুলুন।এবার আপনার জিভের আগা মুখের ওপরের টাকরায় ঠেকান।এই অবস্থায় জিভের আগাকে মুখের পেছন দিকে নিয়ে যান। ব্যথা হওয়ার আগে অবধি করুন আর জিভকে ওই অবস্থায় খানিকক্ষণ রাখুন। এবার জিভ বের করে নিজের থুতনিকে ধরতে চেষ্টা করুন।ওই অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকুন।এভাবে ৫-৬ বার অন্তত করুন।আস্তে আস্তে ফল পাবেন। ৪. স্ট্র দিয়ে জল খান ঘরে-বাইরে যেখানেই জল খাবেন,একটু কষ্ট করে নাহয় স্ট্র দিয়ে জল খান।স্ট্র দিয়ে জল খাওয়াটাও কিন্তু একধরণের মুখের ব্যায়াম যা আপনার কথা বলার সমস্যাকে কমাতে পারে।স্ট্র দিয়ে জল খাওয়ার সময় মুখের মধ্যে জিভের যে অবস্থান,তা কিন্তু কথা বলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কিছুদিন পর থেকে স্ট্রয়ের সাইজ ছোট করুন।এটা করলে কিন্তু তোতলামি কমতে বাধ্য। ৫. নিঃশ্বাস নিন বুক থেকে নিঃশ্বাস নেবেন না।এর বদলে বরং পেট থেকে নিশ্বাস নিতে চেষ্টা করুন। নিঃশ্বাস কিন্তু গভীরভাবে নেবেন।কারণ পেট থেকে নিঃশ্বাস নিলে পেটের পেশী,স্নায়ুতন্ত্র সবই রিল্যাক্স হয়,এবং তা আপনার সারা শরীরকেই রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে,ফলে কথা বলার সমস্যা খানিক কমে। ৬. ডিপ ব্রিদিং তোতলামি কমাতে চাইলে এই ডিপ ব্রিদিং কিন্তু মাস্ট।আপনার শ্বসনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আর স্নায়ুপেশীকে রিল্যাক্স করতে কিন্তু এর জুড়ি নেই।তাই নির্দিষ্ট ব্রিদিং প্যাটার্নে কথা বললে কথা বলার সমস্যা কমতে পারে।মুখ দিয়ে ডিপ শ্বাস নিয়ে আবার তাড়াতাড়ি মুখ দিয়ে ছাড়ুন।মিনিট খানেক নিয়ম করে করলেই উপকার পাবেন। সুত্র:ইন্টারনেট