যতোই যাচ্ছে আমাদের ব্যস্ততা ততোই বেড়ে চলেছে। অবসরের যেন কোনো ফুরসতই নেই! সময়ের সাথে পাল্লা দিতে হলে এমন ব্যস্ততা থাকবেই এবং সেইসাথে বাস্তবতাকেও মেনে নিতে হবে। কিন্তু ব্যস্ততার সাথে সাথে আমাদের মানসিক চাপও বাড়ে। আমরা অনেকেই এটাকে সহজে মেনে নিতে পারিনা যার ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হই এবং কোনো কিছুই ঠিকমতো হয়ে উঠেনা। তাই বলাই বাহুল্য, শারীরিক সুস্থতায় মানসিক সুস্থতাও অনেকাংশে জড়িত। সেজন্যই মানসিকভাবে ভালো থাকতে হলে নানান কাজের মাঝেও থাকতে হবে চাপমুক্ত।
এর জন্য আপনি সর্বপ্রথম সমস্ত ব্যাস্ততার মাঝেও একটু ফ্রী হওয়ার চেষ্টা করুন।বন্ধুদের সময় দিন।কোন একজন আপন মানুষকে নিজের সব কষ্ট খোলে বলোন। অনেকটা হালকা হয়ে যাবেন।আর নামাজ পড়ুন। প্রার্থনা করুন।
মানুষের জন্য ভালোলাগার বিষয়টি আপেক্ষিক। সংশ্লিষ্টজনের শিক্ষা-সচেতনতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য, স্থান-কাল-পাত্র ইত্যাদি বহুকিছুর উপর ভালোলাগার অনুভূতি নির্ভর করে। তবে সবসময়ই নিজের ভালোলাগাকে নিজেকেই সততার সাথে মূল্যায়ন করতে হয়, অন্যথায় ভালোলাগা স্থায়ী হয় না, তখন কষ্ট বাড়ে।আমার মনে হয়,আপনার মনের কোন অপূর্ণতা রয়েছে।তাই হয়তো এমন হচ্ছে। আপনি এই সমস্যা দূর করতে সব অসন্তুষ্টির কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।নিজের মনকে শান্ত রাখুন।কোথাও ঘুরতে যান,বন্ধুদের সাথে গল্প করুন,ছোটদের সাথে খেলুন।আর নিজের মনকে বোঝান "আমার সবকিছুই ভালো লাগছে"।নিজের কাজে মন দিন,আনন্দের সাথে কাজ করুন।তাহলে,সবকিছুই ভাল লাগবে।