আপনি নিচের নিয়ম গুলি মেনে চলুন,
১) আপনে কিটোকোনাজল সেম্পু ব্যবহার করেন ( সাপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন) মাথায় দিয়ে ফেনা হওয়ার পরে তিন মিনিট বসে থাকেন!
২) পেঁয়াজ বেটে মাথায় দিন, দেওয়ার পরে শুকানো পর্যন্ত বসে থাকেন, তার পরে গোসল করেন। সাপ্তাহে দুই দিন!
৩) কাস্টার ওয়েলের সাথে নারিকেলের তেল মিশিয়ে মাথায় দিন,, তার জন্য চুল খুব ছোট করতে হবে, যাতে চুলের গোঁড়ায় গোঁড়ায় তেল প্রবেশ করে। প্রতি রাতেই দিবেন,, এইটাই সবচেয়ে কার্যকারি।
৪) ই কাপ টেবলেট প্রতিদিন একটা।।
৫) সকালে খালি পেটে রিকার টেবলেটটি খাবেন,, টেবলেট খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে ভাত কিংবা নাস্তা করবেন। ( মহিলারা রিকার টেবলেট খেতে পারবে না) ( স্কয়ার কোম্পানি)
৬) প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
৭) ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে হবে।
৮) আগুন এবং অধিক তাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৯) টেনশন করা যাবে না, রাতে ঘুমাতে হবে।
১০) মাঝে মাঝে মেথি বেটে মাথায় দিতে হবে।
১১) এলার্জির কারণে চুল উঠে তার জন্য মাথায় নিম পাতা বেটে দিতে হবে,, না শুকানো পর্যন্ত গোসল করা যাবে না।
১২) গরম পানি কিংবা মধুর সাথে মিশিয়ে কালো জিরার তেল খেতে হবে।
আপনি পিয়াজের রস দিতে পারেন মাথায় । অথবা আমলকির রস এছাড়া ভিটামিন ইক্যাপ চুলের গোড়া মজবুত রাখে । তাছাড়া আপনি আপনার চুল এক সপ্তাহ পর পর কয়েক বার মুন্ডন করে ফেলুন । এতে আপনার চুল অনেকটাই ঘন হবে । কালোজির নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে অনেক সাহায্য করে । আপনি কালোজিরার তেল বা কালোজিরা বেটে তার রস মাথায় নিলে অনেক উপকার পাবেন । এতেই আপনার কাজ হয়ে যাবে ।
অাপনি নিচের টিপস ফলো করুনঃ . * অনেকেই ভাবেন চুল লম্বা করতে বা চুলের ঘনত্ব ঠিক রাখতে গেলে চুল একেবারেই কাটা ঠিক নয়। কিন্তু ৬ থেকে ১০ সপ্তাহ পরপর অন্তত ১ ইঞ্চি চুল কাটা চুলের জন্য খুবই জরুরী। এতে চুলের আগা ফাটা দূর হবে যা চুল বাড়তে সহায়তা করবে। চুলের ডগায় তৈরী হয় স্প্লিট এন্ডস অর্থাৎ চুলের ডগা ফেটে যায় ফলে চুল রুক্ষ হয় এবং চুল বাড়তে পারে না৷ ফলে চুলের ওইঅংশ কেটে বাদ দিয়ে দিতে হয়। *চুলের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির জন্য জাফরান তেলের অন্য কোনো বিকল্প নেই। চুলের বৃদ্ধিতে জাফরান তেল যতটা কাজ করে অন্য কোনো কেমিক্যাল সমৃদ্ধ উপাদান তা করতে পারে না। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে জাফরান অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। আর সপ্তাহে ১ দিন নারিকেল তেল ছারা শুধু জাফরান অয়েল চুলের গোরায় একটু ভারি করে দিন। মাসে ১/২ বার করে গরম তেল দিয়ে পুরো চুলে ও মাথার তালু ম্যাসেজ করুন। * রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে অন্তত ৫০বার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে শোওয়া দরকার৷ এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো হয়৷ চুল পড়া কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়৷ চুল আঁচড়ানোর সময় মনোযোগ দিন চুল অনেক জোরে ঘষে আঁচড়ানো, চুলে টান লাগা, চুলের জট এক টানে ছাড়িয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এতে করে চুলের গোঁড়া নরম হয়, চুল পড়া বাড়ে এবং চুল ভেঙেও যায়। চুল খুব ভালো করে সময় নিয়ে আঁচড়ান। *প্রতিবার গোসলের সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।চুল পরিষ্কার রাখা জরুরী, কিন্তু তাই বলে প্রতিবার গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহারে *চুলের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যার ফলে চুল সহজে বাড়তে চায় না ও চুলের স্বাভাবিক উজ্জলতা নষ্ট হয়। তাই অন্তত ১/২ দিন পরপর চুল শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু চুলের গোরায় সরাসরি না দেয়াটাই উত্তম, কেননা এতে ক্যামিকেলের প্রভাবে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। একটি পাত্রে বা হাতের তালুতে শ্যাম্পু নিয়ে এর সাথে খানিক পানি মিশিয়ে ফোম করে চুলে ব্যবহার করা উচিত। সেনসেটিভ চুলের অধিকারিণীরা প্রতিবার শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে কিছুটা পিউর অ্যালেভেরা মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের চুলে ড্যানড্রাফ আছে তারা সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পুর সাথে সমপরিমান আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ব্যবহার করলে ড্যানড্রাফ দুর হবে আর চুল অনেক সিল্কি হবে। *ভেজা চুল তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন না। চুল শুকানোর জন্য অনেকেই গোসল শেষে ভেজা চুল তোয়ালেতেই পেঁচিয়ে রাখেন যা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে চুলের গোঁড়া একেবারেই নরম হয়, যার কারণে চুল পড়া বাড়ে। চুল বৃদ্ধি একেবারেই কমে যায়। *অবশেষে, শুধু বাহ্যিকভাবেই নয় চুলের বৃদ্ধি হয় ভেতরের পুষ্টিগুণ থেকে। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং চুল বৃদ্ধিতে সহায়ক খাবার রাখেন তাহলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতই হবে। দ্রুত চুল বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই, এ, ফলিক অ্যাসিড, ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। প্রতিদিন ২ বেলা ১ টা করে ডিমের শুধু সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে আপনার চুল ভেতর থেকে শক্তি পাবে ধন্যবাদ!