নামাযের সময় মোবাইল বেঁজে উঠলে করণীয় সম্পর্কে ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলোঃ মোবাইলের দিকে না তাকিয়ে এক হাত দিয়ে দ্রুত মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া। তাহলে নামায নষ্ট হবে না। চাই পকেটের ওপর থেকে বন্ধ করা হোক বা ভেতরে হাত দিয়ে বন্ধ করা হোক। নামায অবস্থায় মোবাইল বেঁজে উঠলে তা বন্ধ করার এটাই উত্তম ব্যবস্থা। পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করলে, এক হাত দিয়ে বন্ধ করলেও নামায ভেঙে যাবে। কারণ এ অবস্থায় কোনো আগন্তুক তাকে দেখলে সে নামাযে নেই বলেই প্রবল ধারণা করবে। যেটাকে ইসলামে পরিভাষায় আমলে কাসির বলে। আর নামাযে আমলে কাসির করলে নামায ভেঙে যায়। জনাব! নামাযে বিশেষ প্রয়োজনে কেবল এক হাত ব্যবহারেরই অনুমতি রয়েছে। যেমন: টুপি উঠানো, জামার হাতা নামানো, সেজদার স্থানের কঙ্কর সরানো, শরীরের কোন স্থান চুলকানো ইত্যাদি কাজে এক হাত ব্যবহার করা শরীয়তসম্মত। তাই মোবাইল দেখে এক হাত দ্বারাও বন্ধ করা আমলে কাসিরের সাদৃশ্য হওয়ায় তা করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় কেউ তাকে দেখলে বলবে সে নামাযে নেই। আর এতটুকু মনে করাই আমলে কাসীর হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। সুতরাং এমনটি করলে তাকে পুনরায় এ নামায আদায় করতে হবে। আবার দূর থেকে যদি কেউ কোন মুসল্লিকে দেখে মনে করে যে সে নামাযে নেই তাহলে সেটা আমলে কাসির বলেই গণ্য হবে। দুই হাত দ্বারা মোবাইল বন্ধ করার হুকুমঃ নামাযে মোবাইল বন্ধ করার জন্য একসাথে দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। যদি একসাথে দুই হাত ব্যবহার করে তবে নামায নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ এটাও আমলে কাসিরের অন্তর্ভুক্ত।