দোয়া একটি সুন্নত আমল। হাদীসে একে স্বতন্ত্র ইবাদত হিসেবে অবিহিত করা হয়েছে। রাসূল সা. সম্মিলিত মুনাজাত করেছেন, মুনাজাতের সময় বুক পর্যন্ত হাত তুলেছেন এবং ফরজ নামাযের পর দোয়া করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন।
হাদীস ভান্ডারে নামাযের পর দোয়া সম্পর্কে বিপুল পরিমান হাদীসও রয়েছে। কিন্তু ফরজ নামাযের পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাতের আমলটি একসাথে একই হাদীসে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে নামাজের বিধানবলীও একাধিক হাদীসে খন্ড খন্ড করে বর্ণিত হয়েছে। যার সবগুলো বর্ণনাকে পরম্পরায় একত্রিত করার মাধ্যমেই পূর্ণাঙ্গ নামাযের একটি চিত্র সামনে আসে।
এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন একটি আমল শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য ও প্রমাণিত হওয়ার জন্য একটি হাদীসের মাধ্যমেই তার পূর্ণাঙ্গ রূপ সামনে আসা জরুরী নয়।
সুতরাং, ফরয নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিত মুনাজাত একাধিক হাদীসের বর্ণনার মাধ্যমে প্রমাণিত একটি মুবাহ ও মুস্তাহসান আমল, বেদআত নয়। কারণ বিদআত বলা হয় ঐ আমলকে শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই। অথচ উক্ত মোনাজাত ও দোয়া বহু হাদীস থেকে প্রমাণিত। তবে আলোচ্য আমলটির ব্যাপারে রাসূল সা. এর থেকে সরাসরি আমল ও مواظبة না পাওয়া যাওয়ার কারণে তাকে জরুরী মনে করা বৈধ নয়। এ ধরণের মুস্তাহাব আমল নিয়ে উম্মতের মাঝে বাড়াবাড়ি করা ফিৎনা সৃষ্টির শামিল।
[তিরমীযি:৫/৩৪৯ দারুল হাদীস,ইলাউস সুনান:২০/৯৯০ দারুল ফিকির, বাদায়া:১/৩৯৩ যাকারিয়া, এমদাদুল ফাতাওয়া:১/৬৫৩, কেফায়াতুল মুফতি:৩/৩৩০]