শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হ্যাঁ হবে ৷ কেননা স্ত্রী সহবাসের পর পবিত্র হওয়ার আগে সকাল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে অপবিত্র অবস্থায় সেহরী খেয়ে রেজার নিয়ত করে নিতে পারবেন । আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রামাযানের রাত্রিতে স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করে পবিত্র হওয়ার আগেই কখনও কখনও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর সকাল (ফজর) হয়ে যেত। অতঃপর সকাল হয়ে যাওয়ার পর তিনি গোসল করতেন এবং রোজা রাখতেন। (বুখারী ও মুসলিম) এক্ষেত্রে রোজা হালকা হবে বা মাকরূহ হবে এমন বলা নেই ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গোসল ফরজ অবস্থায় রোজা রাখার জন্য সেহরি খেলে রোজা হবে। তবে এমতাবস্থায় আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়ার পর উভয় হাত ধুয়ে অজু করে তারপর সেহরি খেতে হবে। এবং ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময় মতো নামাজ আদায় করে নিতে হবে। সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফতোয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য এক ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলো। এ সময় তিনি দরজার পেছন থেকে কথাগুলো শুনছিলেন। লোকটি বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! জানাবাতের অবস্থায় আমার ফজরের সালাতের সময় হয়ে যায়, এমতাবস্থায় আমি রোজা পালন করতে পারি কি? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জানাবাতের অবস্থায় আমারও ফজরের সালাতের সময় হয়ে যায় আমি তো রোজা পালন করি। এরপর লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো আমাদের মত নন। আল্লাহ তাআলা আপনার পূর্বাপর সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার আশা, আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে সর্বাধিক ভয় করি এবং আমি সর্বাধিক অবগত ঐ বিষয় সম্পর্কে, যা থেকে আমার বিরত থাকা আবশ্যক। সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উম্মু সালামাহ (রাঃ) কে প্রশ্ন করলেন, জানাবাতের অবস্থায় যার ভোর হয়, সে রোজা পালন করবে কি? তিনি বললেন, ইহতিলাম ছাড়াই জানাবাতের অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভোর হতো এবং তিনি রোজা পালন করতেন। (রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ২৪৬৪, ২৪৮৪ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ