পড়া অসম্ভব হলেও রুটিন দিচ্ছি।ফজরের নামাজের আগে তিন ঘণ্টা,ফজর নামাজর পরে চার ঘণ্টা।তারপর খাওয়া দাওয়া বিশ্রাম। সকাল 10টার পর থেকে তিন ঘণ্টা।যোহর নামাজ পড়ার পর , তারপর 2টার পূর্বে খাওয়া দাওয়া শেষ করা।2 টা থেকে আছরের নামাজ পর্যন্ত।আছরের পর থেকে মাগরিব নামাজ পর্যন্ত।মাগরিবের পর থেকে এশা এবং তারপর যত রাত পরতে পারেন।এতে আপনার অনেক সমস্যা হবে । পুরোটা না মানাই আপনার জন্য ভালো।(আমার এক ভাতিজা থেকে সংগ্রহিত)
বেস্ট রুটিন আমার মতে এইটা। ৬ ঘণ্টা করে ৩ বার পড়া। পড়ালেখা ছাড়া আপনার নিক্ত সময় থাকবে ৬ ঘণ্টা এইক্ষেত্রে আপনাকে দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।(একটু কম হলেও, এটি অস্বাস্থ্যকর নয়। আপনার ক্লান্তি লাগলেও আপনি শারীরিকভাবে ঠিক থাকবেন। মানুষের বেঁচে থাকতে ৪ ঘণ্টা ঘুমালেই যথেষ্ট, তাও আমি ১ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি।) বাকি ১ ঘণ্টা কে ২০ মিনিটে ৩ টুকরো করে (প্রয়োজনে ১৫ মিনিটের ৪ টুকরো অথবা ১০ মিনিটের ৬ টুকরো করতে পারেন। কিন্তু ৫ মিনিটের ১২ টুকরো করবেন না, মাত্র ৫ মিনিট কোনো কাজে লাগে না খুব একটা।) ব্যবহার করুন খাওয়া-দাওয়া, বিনোদন, বিবিধি কাজে প্রয়োগ করুন। রাত ১২ঃ০০ঃ ঘুমাতে যান। সকাল ০৫ঃ০০ঃ ঘুম থেকে উঠুন সকাল ০৫ঃ০০ থেকে ০৫ঃ১০ঃ হাত-মুখ ধোয়া,নাস্তা করা (সকাল সকাল নাস্তা করা উচিত, ভরা পেটে পড়ালেখার জন্য Stamina বেশি থাকবে।) সকাল ০ ৫ঃ১০ থেকে ১১ঃ১০ঃ ১ম স্টাডি সেশন কমপ্লিট। সকাল ১১ঃ১০ থেকে ১১ঃ৩০ঃ খাওয়া-দাওয়া, স্নান (২০ মিনিট একটা মানুষের লাঞ্চ এবং স্নান কমপ্লিট হয়ে যাবে। প্রত্যেক দিন স্নান করবেন, এতে ব্রেইন একটু রিলাক্সড হবে। অনেকে একটু দেরীতে স্নান করে। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে এই যে, ১২ঃ০০ এর মধ্যে স্নান করা উচিত।) দুপুর ১১ঃ৩০ থেকে ০৫ঃ৩০ঃ স্টাডি সেশন ২ কমপ্লিট (এই সময় পড়তে পড়তে হাল্কা নাস্তা করতে পারেন, যেমন চা-কফি/কেক-বিস্কুট/ফল-ফ্রুট; পড়তে পড়তে খাবেন, এই সামান্য কাজের করতে পড়া ছেড়ে উঠবেন না।) বিকাল ০৫ঃ৩০ থেকে ০৫ঃ৪০ঃ এই ১০ মিনিট একটু ব্রেক নিন। বিকালের আবহাওয়া খুব ভালো থাকে। একটু ছাদে গিয়ে রোদ পোহান, কারো সাথে একটু গল্প করুন, কিংবা একটু নীচে গিয়ে হেটে আসলেন। এই পায়চারী করায় মন ও বডি দুইটাই রিফ্রেশড হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে না ঢোকা ভালো, কারন এখানে সময় কোথা দিয়ে কেটে যায়, টের পাবেন না। বিকাল ০৫ঃ৪০ থেকে ১১ঃ৪০ঃ স্টাডি সেশন ৩ কমপ্লিট। রাত ১১ঃ৪০ থেকে ১২ঃ০০ঃ এই সময়টায় ডিনার করুন। বাবা-মা/ভাই বোন দের সাথে হাল্কা পাতলা কথোপকথন করুন, ভাল্লাগবে। কিংবা ঘুমানোর আদ অব্দি খেতে খেতে টিভি কিংবা ইন্টারনেটে একটা গান কিংবা নাটক দেখতে পারেন। (মজার ব্যাপারঃ আপনি ইউটিউবে কোনো ভিডিও এর স্পীড X1.25 অথবা X1.5 কিংবা এর বেশি দিলেও কোনো প্রব্লেম হয় না, আপনি স্বাভাবিকভাবে নাটকের ভিডিও টা দেখতে পারবেন এবং কথা বুঝতে পারেবেন। শুধু ভিডিওটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। আমি এই ট্রিকটা ইউজ করতাম বোর্ড এক্সামের সময়, ৪০ মিনিটের টেলিফিল্ম/নাটক স্পীড আপ করে মাত্র ১৫-২০ মিনিটে মজা করে দেখে ফেলতাম।) এই রুটিন টা দেখলে খারাপ লাগলেও এইটা বাস্তবিক। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হলেও আপনি একটা সময় পর আপনার কাছে এইটা অত্যন্ত নরমাল লাগবে। আমি নিজে সহ আমার পরিচিত অনেকে এই রুটিন টি ব্যবহার করি প্রয়োজনে। আমার এক ভাইয়া এইবার ২০১৮ তে মেডিক্যাল এক্সামে পুরো বাংলাদেশে ১৭তম হয়েছে ২,০০,০০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে, উনিও এই রুটিন ফলো করতো। প্রথম ১৫ দিন ৫ ঘণ্টা ঘুমানোতে অভ্যস্ত হয়ে জাবার পর উনি আস্তে আস্তে ঘুমের টাইম কম করে পড়ার টাইম আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ৫ ঘণ্টার পর নেক্সট ১৫ দিন ৪ঃ৩০ ঘণ্টা এবং শেষের দিকে ৪ঃ০০ ঘুমানো ওনার হাতের মোয়া হয়ে গিয়েছিল।
১দিনে ১৮ ঘণ্টা আসলেই অনেক বেশি। একবার চিন্তা করলে (২৪-১৮=৬ ঘন্টা) বঁাচে যেখানে একজন সুস্থ মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ। বাদ দিলাম আপনার ঘুমানো আপনার তো শরীর সুস্থ রাখতে একটু খেলা ধুলার সময় লাগবে তাই না? খেলা ধুলা সুস্থতার একটি অংশ। আমি আপনাকে এতটুকু সাজেশন দেব আপনি যেকোনো ৮ ঘণ্ট র রুটিন বানান।তবে সেটা বানানোর সময় খেলা ধুলা, বিশ্রাম, খাওয়াদাওয়া খেয়াল রাখবেন।
আপনি আপনার শরীরের জন্যে পরিমিত বিশ্রাম না নিলে আপনি অসুস্থ হয়ে পরবেন। এর ফলে আপনার পড়াশোনার ক্ষতি হবে। আপনি আপনার রুটিনটি সংশোধন করুন। আপনার বিশ্রাম দরকার তাই আপনি ১৮ ঘন্টা সময় থেকে কমিয়ে ৬-৭ ঘন্টা ঠিক করুন। বেশি পড়লেই যে বেশি ভালো রেজাল্ট এমনটা নয়। পাঠগুলো বুঝে বুঝে পড়ুন এবং প্রতিটি বিষয়ের মূলভাব নিয়ে আলোচনা করুন। আপনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাস আপনাকে সাহায্য কাজে লাগাতে হবে। আপনি যদি আগামী আপনার তৈরি রুটিন মনোযোগের সহিত নিয়মিত অনুসরণ করতে পারেন, তবে এতেই আপনি পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন। রুটিনমাফিক চলার চেষ্টা করুন এতে আশা করি এতে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাবেন।