এটি যৌনাঙ্গের চুলকানি বা হওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত Candida Albicans, এই ছত্রাকের কারণে যোনিতে চুলকানি হয়। এই ছত্রাক নরমালি মেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবী হিসেবে থাকে। কিছু ল্যাকলোব্যাসিলাস নামে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ছত্রাকের বংশবিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক খেলে, গর্ভাবস্থায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকলে, হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকলে ও খাদ্যাভাসের কারণে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, ফলে ঈস্টগুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকূল পরিবেশ পায়। এর কারণে যোনিতে ইনফেকশন হয়।
যে কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ফাংগাল ইনফেকশনের শত্রু হল নুন। বাড়িতে বাথটাব থাকলে তাতে ইষদুষ্ণ জল ভরে আধ কাপ নুন ফেলে দিন। এই নুন-জলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বসে থাকুন। দিনে দু’তিনবার করলে অনেকটা কমে যাবে চুলকানি। কিন্তু যোনির আশপাশে বা নিম্নাঙ্গের কোথাও কোনও ক্ষত থাকে তবে এই টোটকা একেবারেই চলবে না। যাঁদের বাথটাব নেই তাঁরা বালতির জলে নুন দিয়ে আস্তে আস্তে ওয়াশ করবেন। আর আপনি নিম্নের নিয়ম গুলো মেনে চলুন।
-
সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন। সিনথেটিক পেন্টি পরবেন না।
-
ওজন কমান।
-
সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
-
যোনি আর্দ্র ও ভেজা রাখবেন না।
-
মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করুন।
-
সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন। ধুয়ে ফেলুন।
-
সহবাসের পর প্রসাব করুন।
-
ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন। যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও ইচিং হতে পারে , তাই সাবধান হন।
-
. আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। আর প্রসাব বা পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
এই সমস্যার জন্য অবশ্যই একজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। অবহেলা করবেন না । কারণ এর ফলে পরবর্তীতে আরও খারাপ কিছু হতে পারে।
আশা করি আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি।