ঈদ অর্থ উৎসব।মিলাদ অর্থ জন্ম বা জন্মকাল।আর নবী বলতে আমাদের নবী আলাইহি সালাম উদ্দেশ্য। প্রশ্নে বর্ণিত বাক্য দ্বারা একদল মুসলমান একথা বুঝান যে মুসলমানদের বৎসরে যে দুই ঈদ দেয়া হয়েছে তার চাইতে বেশি ও বড় খুশির ঈদ হলো নবী আলাইহি সালামের জন্মকাল বা জন্মদিন পালন করা। উল্লেখ্যঃ বিষয়টি নিয়ে আলেমদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে।তাই ভাল করে বুঝার জন্য কোন আলেমের সাথে পরামর্শ করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ঈদ অর্থ আনন্দ, মিলাদ অর্থ জন্ম। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্ননবী মানে নবীর জন্মে আনন্দ। সকল ঈদের সেরা ''ঈদ'' ঈদে মিলাদুন্ননবী পালন করা যাবে কিনা। বা সেই দিন এখনো আনন্দ করা যাবে কিনা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নব-প্রচলিত বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ প্রতিটি অভিনব বিষয় বিদআত। আর প্রতিটি বিদআত হচ্ছে ভ্রান্তি। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজী) আর এই বিদআতে যুক্ত হয়েছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ন স্থানের কতিপয় লোক। যারা কিনা বলে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্ননবী। একটি বিষয় স্পষ্ট যে নবীর আগমনে-ও খুশি ছিলেন আবু লাহাব। কিন্ত সিরাত মানেনি বলেই জাহান্নামি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তার কসম করে বলছি, ইহূদী হৌক বা নাছারা হৌক এই উম্মতের যে কেউ আমার আগমনের খবর শুনেছে, অতঃপর মৃত্যুবরণ করেছে, অথচ আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি, তার উপরে ঈমান আনেনি, সে ব্যক্তি অবশ্যই জাহান্নামী হবে। শরীয়তের দিক থেকে জন্মদিন পালন করা যদি সঠিক হত, তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা করতেন অথবা তাঁর উম্মতকে করতে বলতেন। আর কুরআনে বা হাদীছে অবশ্যই তা সংরক্ষিত থাকতো। আল্লাহ বলেনঃ আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। (সূরা হিজরঃ ৯) যেহেতু মীলাদের বিষয়টি সংরক্ষিত হয়নি, তাই বুঝা গেল যে, তা পালন করা দ্বীনের কোন অংশ নয়। আর যা দ্বীনের অংশ নয়, তা দ্বারা আল্লাহর ইবাদত এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা বৈধ নয়। আল্লাহ বলেনঃ আজকের দিনে তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নেয়ামতকে পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদাঃ ৩) অতএব, যদি তা পরিপূর্ণ দ্বীনের অংশ হতো, তাহলে অবশ্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর পূর্বেই তা বলে যেতেন। আর যদি তাঁর দ্বীনের কোন অংশ না হয় তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর তা দ্বীনের অংশ হতে পারেনা। কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট দলিল ও মুসলমানদের ইজমার ভিত্তিতে জানা যায় যে, ইসলামে উৎসব শুধু দুটি- ঈদুল ফিতর রোযা ভঙ্গের উৎসব ও ঈদুল আযহা পশু উৎসর্গের উৎসব। খ্রিস্টানগণ কর্তৃক ঈসা (আঃ) এর জন্মদিবস পালনের অনুকরণে অথবা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালবাসা ও সম্মান দেখাতে গিয়ে কিছু কিছু লোক যা কিছুর প্রচলন করেছে সলফে সালেহিনগণ এসব করেননি। অথচ যদি এটা নেক আমল হতো তাহলে তাঁরা সেটা না করার কোন কারণ নেই। ইসলামি শরিয়তে যে দিনগুলো সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃত যেমন- আশুরার দিন, আরাফার দিন, দুই ঈদের দিন ইত্যাদি। যা কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমানিত। আল্লাহ আমাদের তা জেনে বুঝে পালন করার তৌফিক দান করুন। [বিস্তারিত বন্ধু হৃদয় উত্তর দ্রষ্টব্য]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ